মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলার প্রথম বার্ষিকী আজ
আজ সেই ২৬/১১। গত বছরের এই দিনে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এ দিন পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা মহারাষ্ট্রের রাজধানীর আটটি স্থানে হামলা চালিয়েছিল। এতে প্রাণহানি ঘটে ১৭৩ জনের। আহত হন ৩০৮ জন। এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে দিনটি। আজই সেদিনের সেই সন্ত্রাসী হামলার বিচারাধীন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হচ্ছে। ফের হামলার আশঙ্কায় মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার জঙ্গিরা করাচি থেকে সমুদ্রপথে আরব সাগর হয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকে। এরপর ভারতীয় একটি মাছধরার ট্রলার বন্দুকের মুখে ছিনতাই করে এর ক্রুকে হত্যা করে মুম্বাইয়ের দিকে আসে। মুম্বাই বন্দরের কাছাকাছি এসে তারা ট্রলারে থাকা একটি রাবার বোটে করে মুম্বাই উপকূলে অবতরণ করে। তারপর জঙ্গিরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে মুম্বাইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালায়। স্থান আটটি হচ্ছে, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল বা সিএসটি, ওবেরয় ট্রিডেন্ট হোটেল, হোটেল তাজমহল প্যালেস ও টাওয়ার, লিওপোল্ড কাফে, ক্যামা হসপিটাল, নরিম্যান হাউস এবং মেট্রো সিনেমা। এ ছাড়া তারা বিস্ফোরণ ঘটায় মুম্বাইয়ের বন্দর এলাকার মাঝাগাঁও এবং ভিলে পার্লে ট্যাক্সিতে। ২৬ নভেম্বর এই হামলা শুরু হলেও শেষ হয় ২৯ নভেম্বর। ওই দিন ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) সদস্যরা সর্বশেষ হোটেল তাজমহলকে সন্ত্রাসীমুক্ত করেন। তাঁরাই ওবেরয় থেকে ২৫০, তাজমহল থেকে ৩০০ ও নরিম্যান হাউস থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করেন।
জঙ্গিরা সবচেয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি স্টেশনে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে এখানে জঙ্গিরা নিরীহ মানুষের ওপর একটানা গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৫২ জনকে। আর জখম করে ১০৯ জনকে। এখানেই জীবিত ধরা পড়ে পাকিস্তানি জঙ্গি মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাব। এখন সেই কাসাবের বিচার চলছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে মারা যায় নয় পাকিস্তানি জঙ্গি। ওই নয় জঙ্গির মৃতদেহ এখনো পড়ে আছে মুম্বাইয়ের জে জে হাসপাতালের মর্গে।
মুম্বাই হামলা মামলার বিচার চলছে মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালতে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই মামলার বিচার করছেন বিশেষ বিচারক এম এল তাহিলিয়ানি। গত বছরের ৮ মে শুরু হয়েছিল বিচারপর্ব। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ। শুনানি শেষে রায় দেওয়া হবে।
এ মামলার সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এরই মধ্যে ২৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩০০ সাক্ষী হলফনামার মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাব ছাড়াও এই মামলায় দুই ভারতীয় জঙ্গিকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ফাহিম আনসারি ও সাবা উদ্দিন আহমেদ। তাঁরা সবাই এখন মুম্বাইয়ের আর্থা রোড কারাগারে বন্দী।
পাকিস্তানের আদালতে সাতজনকে অভিযুক্ত
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাকিস্তানের একটি আদালত মুম্বাই হামলার ঘটনায় সাতজন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
এঁদের মধ্যে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাকিউর রেহমান লাকভি ও লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য জারার শাহ রয়েছেন।
আইনজীবী শাহবাজ রাজপুত বলেন, সন্দেহভাজন সাতজনকেই মুম্বাই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগের পক্ষে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পাকিস্তান দণ্ডবিধির অধীনে তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার জঙ্গিরা করাচি থেকে সমুদ্রপথে আরব সাগর হয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকে। এরপর ভারতীয় একটি মাছধরার ট্রলার বন্দুকের মুখে ছিনতাই করে এর ক্রুকে হত্যা করে মুম্বাইয়ের দিকে আসে। মুম্বাই বন্দরের কাছাকাছি এসে তারা ট্রলারে থাকা একটি রাবার বোটে করে মুম্বাই উপকূলে অবতরণ করে। তারপর জঙ্গিরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে মুম্বাইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালায়। স্থান আটটি হচ্ছে, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল বা সিএসটি, ওবেরয় ট্রিডেন্ট হোটেল, হোটেল তাজমহল প্যালেস ও টাওয়ার, লিওপোল্ড কাফে, ক্যামা হসপিটাল, নরিম্যান হাউস এবং মেট্রো সিনেমা। এ ছাড়া তারা বিস্ফোরণ ঘটায় মুম্বাইয়ের বন্দর এলাকার মাঝাগাঁও এবং ভিলে পার্লে ট্যাক্সিতে। ২৬ নভেম্বর এই হামলা শুরু হলেও শেষ হয় ২৯ নভেম্বর। ওই দিন ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) সদস্যরা সর্বশেষ হোটেল তাজমহলকে সন্ত্রাসীমুক্ত করেন। তাঁরাই ওবেরয় থেকে ২৫০, তাজমহল থেকে ৩০০ ও নরিম্যান হাউস থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করেন।
জঙ্গিরা সবচেয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি স্টেশনে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে এখানে জঙ্গিরা নিরীহ মানুষের ওপর একটানা গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৫২ জনকে। আর জখম করে ১০৯ জনকে। এখানেই জীবিত ধরা পড়ে পাকিস্তানি জঙ্গি মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাব। এখন সেই কাসাবের বিচার চলছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে মারা যায় নয় পাকিস্তানি জঙ্গি। ওই নয় জঙ্গির মৃতদেহ এখনো পড়ে আছে মুম্বাইয়ের জে জে হাসপাতালের মর্গে।
মুম্বাই হামলা মামলার বিচার চলছে মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালতে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই মামলার বিচার করছেন বিশেষ বিচারক এম এল তাহিলিয়ানি। গত বছরের ৮ মে শুরু হয়েছিল বিচারপর্ব। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ। শুনানি শেষে রায় দেওয়া হবে।
এ মামলার সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এরই মধ্যে ২৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩০০ সাক্ষী হলফনামার মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাব ছাড়াও এই মামলায় দুই ভারতীয় জঙ্গিকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ফাহিম আনসারি ও সাবা উদ্দিন আহমেদ। তাঁরা সবাই এখন মুম্বাইয়ের আর্থা রোড কারাগারে বন্দী।
পাকিস্তানের আদালতে সাতজনকে অভিযুক্ত
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাকিস্তানের একটি আদালত মুম্বাই হামলার ঘটনায় সাতজন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
এঁদের মধ্যে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাকিউর রেহমান লাকভি ও লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য জারার শাহ রয়েছেন।
আইনজীবী শাহবাজ রাজপুত বলেন, সন্দেহভাজন সাতজনকেই মুম্বাই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগের পক্ষে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পাকিস্তান দণ্ডবিধির অধীনে তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
No comments