আলোকচিত্রে তিনি চিনিয়েছেন বিচিত্র রং -রদ্ধাঞ্জলি by নাসির আলী মামুন
ভুলেও পাবে না তাঁকে। ২৪ নভেম্বর একমাত্র অনিবার্য গন্তব্যে চলে গিয়েছেন তিনি। গতকাল সমাহিত করা হয়েছে মানিকগঞ্জের পারিল নওয়াধা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে। দুঃখিত নওয়াজেশ আহমদ, দীর্ঘ ৬১ বছর আপনার ক্যামেরা সৃষ্টিশীল থাকলেও রাষ্ট্র আপনাকে কোনো স্বীকৃতি বা সম্মান জানাতে পারেনি। আপনার ভাগ্যে মেলেনি কোনো জাতীয় পুরস্কার! কোনো সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আপনার সত্যিকার মূল্যায়ন করতে আসেনি এগিয়ে। বাংলাদেশের আলোকচিত্রণের প্রতিষ্ঠানগুলো নীরবে উপেক্ষা করেছে আপনাকে। আপনি সবই জানতেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মনে পড়ে না। আমরা যারা আপনার বর্ণিল আলোকচিত্রগুলো পাঠ করি, সেখান থেকে উদ্ধার করি একজন নিঃসঙ্গ কবিকে, তখন তো আপনাকে পাই এই বাংলার সবখানে। প্রকৃতি কীভাবে স্থির ফটোগ্রাফে পাঠ করতে হয়, শিখিয়েছেন আপনি। আমরা আপনাকে স্মরণ করব বহুকাল।
নওয়াজেশ আহমদ আমাদের আলোকচিত্রের সাম্রাজ্যকে বহুবর্ণিল করে গেছেন। ১৯৪৮ সালে প্রকৃতি তাঁর আরাধনার বিষয় হয়। মায়াবী এক ক্যামেরা চলে আসে তাঁর নিয়ন্ত্রণে। আমানুল হক ও নাইব উদ্দিন আহমেদ—পূর্বসূরি এই দুজন এবং নওয়াজেশ এ দেশে সূচনা করেন সৃষ্টিশীল আলোক-চিত্রণের ভূখণ্ড। অগ্রজ নাইব উদ্দিনের আলোকচিত্রের বিষয় নদী, নৌকা এবং এর অববাহিকার জনপদ। আমানুল হকের ছবি রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থেকেও বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠের জনপদ গ্রামকে বিচ্ছিন্ন রাখেনি। লোকায়ত বাংলার এক বিশাল শিল্পময় সত্তা আমানুল হকের আলোকচিত্রে দীপ্যমান। নওয়াজেশ, আমানুল ও নাইব উদ্দিনের ক্যামেরার ফোকাস গ্রামবাংলায় নিবদ্ধ থাকলেও প্রত্যেকেই নিজস্ব ভঙ্গি ও চেহারায় সম্পূর্ণ আলাদা। বিস্তর তফাতের দৃষ্টিকোণ থেকে নওয়াজেশের আলোকচিত্র নিস্তব্ধ, নীরব ও নিঃসঙ্গ। বাংলাদেশের প্রকৃতির মধ্য দিয়ে আজীবন প্রবাহিত হয়েছেন এই শিল্পী।
কেন নওয়াজেশ আহমদের ক্যামেরা এত বর্ণিল বিষয়কে আলিঙ্গন করেও শেষ পর্যন্ত থেকেছে নিশ্চুপ, নিঃসঙ্গ? তিরিশ ও চল্লিশের দশকের দুঃখিত কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার রসায়ন তাঁর আলোকচিত্রে ব্যাপকভাবে প্রবাহিত হয়েছিল। তিনি যখন আমাদের উপহার দিচ্ছেন শীতের শিশিরভেজা কান্নাময় সকাল, ধুধু প্রান্তর, কোথাও কোনো মানব নেই। ছবির ফোরগ্রাউন্ডে গাছের শুকনো ডালে চুপটি বসে থাকা পাখিটি যেন কোনো দিন উড়তে পারে না—এমন দৃশ্য দেখে শুধু মন খারাপ হয় না, আমাদের কাঁদায়ও। তাঁর ব্যক্তিজীবন ও আলোকচিত্রী-সত্তা আলাদা কিছু নয়। অকৃতদার এই মানুষটি বিষণ্ন নাবিকের মতো বিচরণ করেছেন এই বাংলায়। একদিন ধানসিড়ি নদীটির পাশে আলোকচিত্র-গ্রন্থটি তাঁর একাকিত্বের মহিমা জানান দেয়। তিনি হয়ে ওঠেন আরেক জীবনানন্দ দাশ। অক্ষরে নয়, ছবিতায়। রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’ অবলম্বনে তাঁর আলোকচিত্রের সম্ভার দুরূহ এক ব্যতিক্রমী কাজ। রবীন্দ্রসম্পদকে স্থির ক্যামেরার ভাষায় যেভাবে তিনি উপস্থাপন করলেন, একজন আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রশিল্পীর জন্য এটি একটি শ্লাঘার বিষয়।
আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলোকচিত্রী যখন গ্রামবাংলার সৌন্দর্য ও জনপদকে পুঁজি করে চিত্রসাধনায় ব্যস্ত, নওয়াজেশ একই বিষয় অবলম্বন করে তাঁর সৃষ্টিশীল ক্যামেরায় ধারণ করেছেন ভিন্ন এক বাংলা, অন্যদের চেয়ে আলাদা এক পৃথিবী। প্রকৃতি তাঁর ছবিতে ধরা পড়েছে বনলতা সেনের মতো স্বপ্নময় ও প্রেমময় এক অলৌকিক সম্পদে। তাঁর বিজ্ঞানপাঠকে প্রকৃতির রসায়নে ঢেলে সাজিয়েছেন ছবিতে—নর-নারীর অপার্থিব মুখ; যা দেখলে তাঁর সৃজনশীল শক্তির প্রতি বাহবা দিতে হয় আমাদের।
ছবির ভেতর দিয়ে অন্য এক মোহনীয় জগতে নিয়ে চলেন তিনি। আমরা প্রশ্ন করি আর উপভোগ করি নওয়াজেশের বিপন্ন প্রকৃতিকে। বোধ করি, আর কারও নয়, তাঁর ছবিতেই চিত্রকরদের তেলরঙের মতো রঙের বুনট বা টেকচার সমৃদ্ধ করে তাঁর শিল্পকর্মকে। একের ওপর আরেকটা রং বুনে বুনে যেন মোহনীয় রঙের জাল তৈরি করে।
পঞ্চাশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় সাদা-কালো পোর্ট্রেট করেছিলেন তিনি বেশ কিছু। পরিচিতজন, সহপাঠিনীদের বিষণ্ন মুখ। এই পোর্ট্রেটগুলো দেখা হয়নি আমাদের। নওয়াজেশের অন্তরঙ্গ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন, প্রকৃতি ও ভিনদেশি মানুষের মুখ তিনি আলাদা কিছু ভাবেননি। মানুষের মুখের যে অবয়ব তিনি নির্মাণ করেছেন তাঁর পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতে, তা কেবল রহস্যময় নয়, বনলতা সেনদের মতো স্বপ্নময়।
লিখেছেন বিস্তর। আমাদের জানিয়েছেন বিচিত্র বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার আর্কাইভ থেকে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাতটি। একসময় নওয়াজেশ গল্প লিখতেন, ছোটগল্প। গল্পগুলো বাংলার প্রকৃতির মতো নির্ভেজাল, ছায়াময়, কিন্তু একা। রং ফেলে তিনি বর্ণময় করেছেন নিজের লেখাকেও। তাঁর গল্পগুলো আর আলোকচিত্রকে আলাদা রাখা যায় না। ক্যামেরা ও কলমে সমান সচল সদ্যপ্রয়াত আন্তর্জাতিক মানের এই শিল্পী, এঁকেছেন-লিখেছেন কত ছবি, কত মুখ। তাঁর বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা বা প্রবন্ধ অনেক। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে, এ খবর আমরা রাখিনি। ব্যক্তিজীবনে নিজের লেখালেখি সম্পর্কে খুব বেশি আলোচনা করতেন না তিনি। সম্ভবত সে কারণেও তাঁর লেখালেখির মেজাজটা আমাদের অজানা। দুরূহ বিষয়ের ওপর তোলা তাঁর আলোকচিত্রণের কাজের ভবিষ্যত্ নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে চাইতেন ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। মেনে নিতেন তাঁদের পরামর্শ। তরুণ আলোকচিত্রীদের কাজ সম্পর্কে তাঁর আগ্রহের সীমানা ছিল বিস্তৃত।
সম্পূর্ণ এক নতুন ঘরানা নির্মাণ করেছিলেন আমাদের নওয়াজেশ আহমদ। সবার মধ্যে থেকে ছিলেন একেবারেই আলাদা। মাত্র এক মাস আগে ক্যানন জি-১০ ক্যামেরা কিনে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে। বলেছিলেন, অনেক কাজ তাঁর করা হয়নি। এই ক্যামেরাটি দিয়ে নতুন ধরনের আরও অনেক আলোকচিত্র ধারণ করবেন। নিরহংকার নওয়াজেশ আহমদ আমাদের যা উপহার দিয়েছেন, আমরা পেয়েছি অনেক। আলোকচিত্রে তিনি আমাদের বিচিত্র সব রং চিনিয়েছেন। তাঁকে ভুলে থাকা অসম্ভব।
নাসির আলী মামুন: আলোকচিত্রী।
নওয়াজেশ আহমদ আমাদের আলোকচিত্রের সাম্রাজ্যকে বহুবর্ণিল করে গেছেন। ১৯৪৮ সালে প্রকৃতি তাঁর আরাধনার বিষয় হয়। মায়াবী এক ক্যামেরা চলে আসে তাঁর নিয়ন্ত্রণে। আমানুল হক ও নাইব উদ্দিন আহমেদ—পূর্বসূরি এই দুজন এবং নওয়াজেশ এ দেশে সূচনা করেন সৃষ্টিশীল আলোক-চিত্রণের ভূখণ্ড। অগ্রজ নাইব উদ্দিনের আলোকচিত্রের বিষয় নদী, নৌকা এবং এর অববাহিকার জনপদ। আমানুল হকের ছবি রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থেকেও বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠের জনপদ গ্রামকে বিচ্ছিন্ন রাখেনি। লোকায়ত বাংলার এক বিশাল শিল্পময় সত্তা আমানুল হকের আলোকচিত্রে দীপ্যমান। নওয়াজেশ, আমানুল ও নাইব উদ্দিনের ক্যামেরার ফোকাস গ্রামবাংলায় নিবদ্ধ থাকলেও প্রত্যেকেই নিজস্ব ভঙ্গি ও চেহারায় সম্পূর্ণ আলাদা। বিস্তর তফাতের দৃষ্টিকোণ থেকে নওয়াজেশের আলোকচিত্র নিস্তব্ধ, নীরব ও নিঃসঙ্গ। বাংলাদেশের প্রকৃতির মধ্য দিয়ে আজীবন প্রবাহিত হয়েছেন এই শিল্পী।
কেন নওয়াজেশ আহমদের ক্যামেরা এত বর্ণিল বিষয়কে আলিঙ্গন করেও শেষ পর্যন্ত থেকেছে নিশ্চুপ, নিঃসঙ্গ? তিরিশ ও চল্লিশের দশকের দুঃখিত কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার রসায়ন তাঁর আলোকচিত্রে ব্যাপকভাবে প্রবাহিত হয়েছিল। তিনি যখন আমাদের উপহার দিচ্ছেন শীতের শিশিরভেজা কান্নাময় সকাল, ধুধু প্রান্তর, কোথাও কোনো মানব নেই। ছবির ফোরগ্রাউন্ডে গাছের শুকনো ডালে চুপটি বসে থাকা পাখিটি যেন কোনো দিন উড়তে পারে না—এমন দৃশ্য দেখে শুধু মন খারাপ হয় না, আমাদের কাঁদায়ও। তাঁর ব্যক্তিজীবন ও আলোকচিত্রী-সত্তা আলাদা কিছু নয়। অকৃতদার এই মানুষটি বিষণ্ন নাবিকের মতো বিচরণ করেছেন এই বাংলায়। একদিন ধানসিড়ি নদীটির পাশে আলোকচিত্র-গ্রন্থটি তাঁর একাকিত্বের মহিমা জানান দেয়। তিনি হয়ে ওঠেন আরেক জীবনানন্দ দাশ। অক্ষরে নয়, ছবিতায়। রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’ অবলম্বনে তাঁর আলোকচিত্রের সম্ভার দুরূহ এক ব্যতিক্রমী কাজ। রবীন্দ্রসম্পদকে স্থির ক্যামেরার ভাষায় যেভাবে তিনি উপস্থাপন করলেন, একজন আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রশিল্পীর জন্য এটি একটি শ্লাঘার বিষয়।
আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলোকচিত্রী যখন গ্রামবাংলার সৌন্দর্য ও জনপদকে পুঁজি করে চিত্রসাধনায় ব্যস্ত, নওয়াজেশ একই বিষয় অবলম্বন করে তাঁর সৃষ্টিশীল ক্যামেরায় ধারণ করেছেন ভিন্ন এক বাংলা, অন্যদের চেয়ে আলাদা এক পৃথিবী। প্রকৃতি তাঁর ছবিতে ধরা পড়েছে বনলতা সেনের মতো স্বপ্নময় ও প্রেমময় এক অলৌকিক সম্পদে। তাঁর বিজ্ঞানপাঠকে প্রকৃতির রসায়নে ঢেলে সাজিয়েছেন ছবিতে—নর-নারীর অপার্থিব মুখ; যা দেখলে তাঁর সৃজনশীল শক্তির প্রতি বাহবা দিতে হয় আমাদের।
ছবির ভেতর দিয়ে অন্য এক মোহনীয় জগতে নিয়ে চলেন তিনি। আমরা প্রশ্ন করি আর উপভোগ করি নওয়াজেশের বিপন্ন প্রকৃতিকে। বোধ করি, আর কারও নয়, তাঁর ছবিতেই চিত্রকরদের তেলরঙের মতো রঙের বুনট বা টেকচার সমৃদ্ধ করে তাঁর শিল্পকর্মকে। একের ওপর আরেকটা রং বুনে বুনে যেন মোহনীয় রঙের জাল তৈরি করে।
পঞ্চাশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় সাদা-কালো পোর্ট্রেট করেছিলেন তিনি বেশ কিছু। পরিচিতজন, সহপাঠিনীদের বিষণ্ন মুখ। এই পোর্ট্রেটগুলো দেখা হয়নি আমাদের। নওয়াজেশের অন্তরঙ্গ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন, প্রকৃতি ও ভিনদেশি মানুষের মুখ তিনি আলাদা কিছু ভাবেননি। মানুষের মুখের যে অবয়ব তিনি নির্মাণ করেছেন তাঁর পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতে, তা কেবল রহস্যময় নয়, বনলতা সেনদের মতো স্বপ্নময়।
লিখেছেন বিস্তর। আমাদের জানিয়েছেন বিচিত্র বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার আর্কাইভ থেকে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাতটি। একসময় নওয়াজেশ গল্প লিখতেন, ছোটগল্প। গল্পগুলো বাংলার প্রকৃতির মতো নির্ভেজাল, ছায়াময়, কিন্তু একা। রং ফেলে তিনি বর্ণময় করেছেন নিজের লেখাকেও। তাঁর গল্পগুলো আর আলোকচিত্রকে আলাদা রাখা যায় না। ক্যামেরা ও কলমে সমান সচল সদ্যপ্রয়াত আন্তর্জাতিক মানের এই শিল্পী, এঁকেছেন-লিখেছেন কত ছবি, কত মুখ। তাঁর বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা বা প্রবন্ধ অনেক। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে, এ খবর আমরা রাখিনি। ব্যক্তিজীবনে নিজের লেখালেখি সম্পর্কে খুব বেশি আলোচনা করতেন না তিনি। সম্ভবত সে কারণেও তাঁর লেখালেখির মেজাজটা আমাদের অজানা। দুরূহ বিষয়ের ওপর তোলা তাঁর আলোকচিত্রণের কাজের ভবিষ্যত্ নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে চাইতেন ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। মেনে নিতেন তাঁদের পরামর্শ। তরুণ আলোকচিত্রীদের কাজ সম্পর্কে তাঁর আগ্রহের সীমানা ছিল বিস্তৃত।
সম্পূর্ণ এক নতুন ঘরানা নির্মাণ করেছিলেন আমাদের নওয়াজেশ আহমদ। সবার মধ্যে থেকে ছিলেন একেবারেই আলাদা। মাত্র এক মাস আগে ক্যানন জি-১০ ক্যামেরা কিনে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে। বলেছিলেন, অনেক কাজ তাঁর করা হয়নি। এই ক্যামেরাটি দিয়ে নতুন ধরনের আরও অনেক আলোকচিত্র ধারণ করবেন। নিরহংকার নওয়াজেশ আহমদ আমাদের যা উপহার দিয়েছেন, আমরা পেয়েছি অনেক। আলোকচিত্রে তিনি আমাদের বিচিত্র সব রং চিনিয়েছেন। তাঁকে ভুলে থাকা অসম্ভব।
নাসির আলী মামুন: আলোকচিত্রী।
No comments