জলবায়ু আন্দোলনে ফুটবল-শক্তি
ম্যাচটার নাম অনায়াসে দেওয়া যেতে পারে, ‘জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনের স্মারক ম্যাচ!’
জলবায়ুর পরিবর্তনটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হয়তো তেমনভাবে অনুভব এখনো করে না। তবে অসময়ে বৃষ্টিপাত, এক একটি ‘সিডর’ বা ‘আইলা’ ছোবল দিয়ে সতর্কসংকেত দিয়ে যায়। আর বিধ্বস্ত জনপদে মানুষের হাহাকার আগামী দিনের একটি ভয়াল ছবি আঁকে।
উন্নত বিশ্বের মানুষ অবশ্য অনেক আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু বিপর্যয় সম্পর্কে অবহিত। এই বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ। সুতরাং এই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনে বা জনসচেতনতায় বাংলাদেশের আগ্রহটা একটু বেশিই হওয়ার কথা। আগামী ৭ ডিসেম্বর কোপেনহেগেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের উদ্যোগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলে খবর।
সেই সম্মেলনের আগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এরই একটি বিশেষ প্রচারণা। মানুষকে খুব কাছাকাছি নেওয়ার বিরাট ক্ষমতা ফুটবলের, তাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রচারণার। বেলা সাড়ে তিনটায় বাফুফে ও কোপেনহেগেন একাদশের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ থেকে জনগণের কাছে আহ্বান জানানো হবে, ‘আসুন, জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে শামিল হোন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ওয়েবসাইটে নিজের মন্তব্য লিখুন।’ ওয়েবসাইট ঠিকানা: www. sealthedeal2009.org, www. volunteeringforourplanet.org)।
কোপেনহেগেন একাদশ নামটা শুনে ভাবতে পারেন ডেনমার্কের রাজধানী থেকে কোনো দল আসছে কি না। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কোপেনহেগেনে জলবায়ু সম্মেলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এমন নামকরণ। যাতে কোপেনহেগেন সম্মেলনের গুরুত্বটা মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজটা করছে ঢাকার জাতিসংঘের সহযোগী সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস ভলান্টিয়ার (ইউএনভি)। আজকের ম্যাচ তো বটেই, আজ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় নানা কর্মসূচি পালন করবে ইউএনভি। যেটাকে বলা হচ্ছে ‘সিল দি ডিল ক্যাম্পেইন, ২০০৯’। এই প্রচারণায় যারা ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না, তাঁদের জন্য স্বাক্ষর অভিযান থাকবে ৪ ডিসেম্বর সাফ ফুটবলের উদ্বোধনী দিনে।
এই কর্মসূচিগুলোর বিস্তারিত কাল জানালো হলো বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। ইউএনভির প্রোগ্রাম অফিসার নগোজি ব্লেসিং ওট্টি ঘুরেফিরে এই গুরুত্বই বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বললেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, তাই এ দেশে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। আমরা আশা করি, মানুষ এতে সাড়া দেবে।’ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ধন্যবাদ জানালেন নাইজেরীয় ভদ্রমহিলা, ‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলেরই দেশের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে।’
২৫ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক সপ্তাহ পালন করছে ইউএনভি। এই প্রচারণার অন্য একটা নামও দেওয়া হয়েছে, ‘ভয়েস অব ভিকটিম’। অর্থাত্ আক্রান্তদের কণ্ঠ। যার অন্যতম হলো, ‘গো গ্রিন’। পরিবেশদূষণ কমাতে হাঁটাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশেষ দিন রাখা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর পালন করা হবে বিশ্ব এইডস দিবস।
ফুটবলকে এই প্রচারণায় নিয়ে আসায় খুশি ফুটবলাররা। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের একাদশের খেলোয়াড় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় বললেন, ‘এটা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে দারুণ এক সুযোগ।’ জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আলফাজের কথা, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে এগিয়ে যাওয়ার।’ বিদেশি ফুটবলারদের সমন্বয়কারী পুমা বললেন, ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা খুবই খুশি।’ এ ম্যাচটা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি সবার প্রতি। প্রীতি ম্যাচ হলেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হবে পুরস্কার। পদক পাবেন সব খেলোয়াড়ই।
বাফুফে সহসভাপতি শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল প্রমুখ কর্মকর্তাও এর গুরুত্ব নিয়ে কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে।
জলবায়ুর পরিবর্তনটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হয়তো তেমনভাবে অনুভব এখনো করে না। তবে অসময়ে বৃষ্টিপাত, এক একটি ‘সিডর’ বা ‘আইলা’ ছোবল দিয়ে সতর্কসংকেত দিয়ে যায়। আর বিধ্বস্ত জনপদে মানুষের হাহাকার আগামী দিনের একটি ভয়াল ছবি আঁকে।
উন্নত বিশ্বের মানুষ অবশ্য অনেক আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু বিপর্যয় সম্পর্কে অবহিত। এই বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ। সুতরাং এই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনে বা জনসচেতনতায় বাংলাদেশের আগ্রহটা একটু বেশিই হওয়ার কথা। আগামী ৭ ডিসেম্বর কোপেনহেগেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের উদ্যোগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলে খবর।
সেই সম্মেলনের আগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এরই একটি বিশেষ প্রচারণা। মানুষকে খুব কাছাকাছি নেওয়ার বিরাট ক্ষমতা ফুটবলের, তাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রচারণার। বেলা সাড়ে তিনটায় বাফুফে ও কোপেনহেগেন একাদশের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ থেকে জনগণের কাছে আহ্বান জানানো হবে, ‘আসুন, জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে শামিল হোন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ওয়েবসাইটে নিজের মন্তব্য লিখুন।’ ওয়েবসাইট ঠিকানা: www. sealthedeal2009.org, www. volunteeringforourplanet.org)।
কোপেনহেগেন একাদশ নামটা শুনে ভাবতে পারেন ডেনমার্কের রাজধানী থেকে কোনো দল আসছে কি না। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কোপেনহেগেনে জলবায়ু সম্মেলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এমন নামকরণ। যাতে কোপেনহেগেন সম্মেলনের গুরুত্বটা মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজটা করছে ঢাকার জাতিসংঘের সহযোগী সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস ভলান্টিয়ার (ইউএনভি)। আজকের ম্যাচ তো বটেই, আজ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় নানা কর্মসূচি পালন করবে ইউএনভি। যেটাকে বলা হচ্ছে ‘সিল দি ডিল ক্যাম্পেইন, ২০০৯’। এই প্রচারণায় যারা ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না, তাঁদের জন্য স্বাক্ষর অভিযান থাকবে ৪ ডিসেম্বর সাফ ফুটবলের উদ্বোধনী দিনে।
এই কর্মসূচিগুলোর বিস্তারিত কাল জানালো হলো বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। ইউএনভির প্রোগ্রাম অফিসার নগোজি ব্লেসিং ওট্টি ঘুরেফিরে এই গুরুত্বই বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বললেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, তাই এ দেশে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। আমরা আশা করি, মানুষ এতে সাড়া দেবে।’ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ধন্যবাদ জানালেন নাইজেরীয় ভদ্রমহিলা, ‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলেরই দেশের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে।’
২৫ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক সপ্তাহ পালন করছে ইউএনভি। এই প্রচারণার অন্য একটা নামও দেওয়া হয়েছে, ‘ভয়েস অব ভিকটিম’। অর্থাত্ আক্রান্তদের কণ্ঠ। যার অন্যতম হলো, ‘গো গ্রিন’। পরিবেশদূষণ কমাতে হাঁটাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশেষ দিন রাখা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর পালন করা হবে বিশ্ব এইডস দিবস।
ফুটবলকে এই প্রচারণায় নিয়ে আসায় খুশি ফুটবলাররা। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের একাদশের খেলোয়াড় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় বললেন, ‘এটা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে দারুণ এক সুযোগ।’ জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আলফাজের কথা, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে এগিয়ে যাওয়ার।’ বিদেশি ফুটবলারদের সমন্বয়কারী পুমা বললেন, ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা খুবই খুশি।’ এ ম্যাচটা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি সবার প্রতি। প্রীতি ম্যাচ হলেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হবে পুরস্কার। পদক পাবেন সব খেলোয়াড়ই।
বাফুফে সহসভাপতি শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল প্রমুখ কর্মকর্তাও এর গুরুত্ব নিয়ে কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে।
No comments