ওল্ড ট্রাফোর্ডে বেসিকতাসের ম্যানইউ-বধ
মাথার ওপর এখনো ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। অপরাধ—রেফারির সমালোচনা। কিন্তু তাতেও নিবৃত্ত নন অ্যালেক্স ফার্গুসন। পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ শেষে আরেক দফা রেফারিকে তুলাধুনো করলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ। এবার তাঁর শূলে ফরাসি রেফারি স্টেফানি লেনয়। ফার্গুসনের দাবি, নিশ্চিত একটা পেনাল্টি থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন।
ওই পেনাল্টি পেলেও অবশ্য জয় আসত না। কারণ নিজেদের মাঠে পরশু ম্যানইউ ১-০ গোলে হেরেছে তুরস্কের ক্লাব বেসিকতাসের কাছে। চ্যাম্পিয়ন লিগে নিজেদের মাঠে টানা ২৩ ম্যাচ এবং সাড়ে চার বছর পর তাদের এই পরাজয়। তাতে অবশ্য ক্ষতিবৃদ্ধি হচ্ছে না। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে ম্যানইউ। তবে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে তাদের ‘নকআউট’ পর্বে যাওয়াটা নির্ভর করছে ৮ ডিসেম্বর ভলফসবুর্গের মাঠে ম্যাচটির ফলাফলের ওপর।
ওদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে বোর্দো, পরশু জুভেন্টাসকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ঝুলে আছে বায়ার্ন মিউনিখ আর ‘জুভ’দের ভাগ্য। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পাওয়া বায়ার্ন পরশু ম্যাকাবি হাইফাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস-বায়ার্ন। নিজেদের মাঠে ড্র করলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে জুভরা, জিততেই হবে বায়ার্নকে।
একমাত্র ‘ডি’ গ্রুপ থেকেই দুটো দলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত। পরশু আনেলকার একমাত্র গোল নিজেদের মাঠে হারলেও চেলসির সঙ্গী হয়েই নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে পোর্তো। ‘ডি’ গ্রুপের যেমন দুই দল নিশ্চিত হয়েছে, তেমনি ‘সি’ গ্রুপ থেকে এখনো কারোরই নিশ্চিত হয়নি দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। তবে এক পা দিয়ে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরশু বার্নাব্যুতে গঞ্জালো হিগুয়েইনের একমাত্র গোলে তারা হারিয়েছে এফসি জুরিখকে। এক পা দিয়ে রাখতে পারত এসি মিলানও। কিন্তু পরশু নিজেদের মাঠে অলিম্পিক মার্শেইয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করায় দুটো পয়েন্ট হাতছাড়া হয়ে গেছে সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
‘সি’ গ্রুপে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। মিলানের পয়েন্ট ৮। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে মার্শেই। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সে মার্শেইয়ের বিপক্ষে রিয়ালের জয়টাই কাম্য হবে মিলানের জন্য। মার্শেই জিতলে একই দিন জুরিখের বিপক্ষে ড্র করলেও বাদ পড়ে যাবে মিলান।
এক নজরে ফলাফল দেখে বুঝতেই পারছেন, পরশু ইউরোপীয় ফুটবল গোল করার ক্ষেত্রে কার্পণ্যই দেখিয়েছে। ২ গোলের ব্যবধানে জিতেছে কেবল বোর্দো। সেটিও হতো না, যদি ৯৪ মিনিটে, একেবারে শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে গোল না পেতেন মারুয়ানে শামাখ। দুটো গোল করেছে সিএসকেএ মস্কোও। যদিও প্রথমার্ধে এডিন জেকোর গোলে এগিয়ে ছিল (১-০) ভলফসবুর্গ।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউও। এদিন অবশ্য ফার্গুসন তরুণ একটা দল নামিয়েছিলেন। আক্রমণভাগে ফেদেরিকো মাচেদার সঙ্গী ছিলেন ড্যানি ওয়েলব্যাক। ফন ডার সারের বদলে গোলপোস্টের নিচে ছিলেন বেন ফস্টার। ওয়েইন রুনি দলেই ছিলেন না। মাইকেল ওয়েন, মাইকেল ক্যারিক, পল স্কোলস, ড্যারেন ফ্লেচার, নানিদের বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে। কিন্তু প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেনি তরুণেরা।
ফার্গুসন অবশ্য তরুণদের দোষারোপ না করে সব ক্ষোভ উগরে দিলেন রেফারির ওপর, ‘ইউরোপে টানা দুটো ম্যাচে আমরা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হলাম। এটা খেলাটির চেতনা-বিরুদ্ধ, কিন্তু আমি আর কী করতে পারি? এ ধরনের পেনাল্টিগুলো না দিলে খেলাটাই সমস্যাতে পড়ে যাবে।’
এমন মন্তব্যের পর ফার্গুসন আবারও সমস্যায় পড়ে যান কি না কে জানে। ওদিকে বার্নাব্যুতে কিন্তু রিয়ালকে খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি মিলানকে তাদের মাঠে হারিয়ে আসা জুরিখ। তবে মাত্র একটা গোল নিয়ে নিশ্চয়ই অস্বস্তিতে ছিল সমর্থকেরা। সেই অস্বস্তি তো ঘুচেছেই, সবচেয়ে বেশি স্বস্তির ছিল আট সপ্তাহ পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মাঠে ফেরা। ৬৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারটি। তেমন কোনো কারিশমা দেখাননি। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বরের ‘এল ক্লাসিকো’র জন্য তিনি প্রস্তুত।
ওই পেনাল্টি পেলেও অবশ্য জয় আসত না। কারণ নিজেদের মাঠে পরশু ম্যানইউ ১-০ গোলে হেরেছে তুরস্কের ক্লাব বেসিকতাসের কাছে। চ্যাম্পিয়ন লিগে নিজেদের মাঠে টানা ২৩ ম্যাচ এবং সাড়ে চার বছর পর তাদের এই পরাজয়। তাতে অবশ্য ক্ষতিবৃদ্ধি হচ্ছে না। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে ম্যানইউ। তবে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে তাদের ‘নকআউট’ পর্বে যাওয়াটা নির্ভর করছে ৮ ডিসেম্বর ভলফসবুর্গের মাঠে ম্যাচটির ফলাফলের ওপর।
ওদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে বোর্দো, পরশু জুভেন্টাসকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ঝুলে আছে বায়ার্ন মিউনিখ আর ‘জুভ’দের ভাগ্য। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পাওয়া বায়ার্ন পরশু ম্যাকাবি হাইফাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস-বায়ার্ন। নিজেদের মাঠে ড্র করলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে জুভরা, জিততেই হবে বায়ার্নকে।
একমাত্র ‘ডি’ গ্রুপ থেকেই দুটো দলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত। পরশু আনেলকার একমাত্র গোল নিজেদের মাঠে হারলেও চেলসির সঙ্গী হয়েই নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে পোর্তো। ‘ডি’ গ্রুপের যেমন দুই দল নিশ্চিত হয়েছে, তেমনি ‘সি’ গ্রুপ থেকে এখনো কারোরই নিশ্চিত হয়নি দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। তবে এক পা দিয়ে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরশু বার্নাব্যুতে গঞ্জালো হিগুয়েইনের একমাত্র গোলে তারা হারিয়েছে এফসি জুরিখকে। এক পা দিয়ে রাখতে পারত এসি মিলানও। কিন্তু পরশু নিজেদের মাঠে অলিম্পিক মার্শেইয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করায় দুটো পয়েন্ট হাতছাড়া হয়ে গেছে সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
‘সি’ গ্রুপে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। মিলানের পয়েন্ট ৮। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে মার্শেই। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সে মার্শেইয়ের বিপক্ষে রিয়ালের জয়টাই কাম্য হবে মিলানের জন্য। মার্শেই জিতলে একই দিন জুরিখের বিপক্ষে ড্র করলেও বাদ পড়ে যাবে মিলান।
এক নজরে ফলাফল দেখে বুঝতেই পারছেন, পরশু ইউরোপীয় ফুটবল গোল করার ক্ষেত্রে কার্পণ্যই দেখিয়েছে। ২ গোলের ব্যবধানে জিতেছে কেবল বোর্দো। সেটিও হতো না, যদি ৯৪ মিনিটে, একেবারে শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে গোল না পেতেন মারুয়ানে শামাখ। দুটো গোল করেছে সিএসকেএ মস্কোও। যদিও প্রথমার্ধে এডিন জেকোর গোলে এগিয়ে ছিল (১-০) ভলফসবুর্গ।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউও। এদিন অবশ্য ফার্গুসন তরুণ একটা দল নামিয়েছিলেন। আক্রমণভাগে ফেদেরিকো মাচেদার সঙ্গী ছিলেন ড্যানি ওয়েলব্যাক। ফন ডার সারের বদলে গোলপোস্টের নিচে ছিলেন বেন ফস্টার। ওয়েইন রুনি দলেই ছিলেন না। মাইকেল ওয়েন, মাইকেল ক্যারিক, পল স্কোলস, ড্যারেন ফ্লেচার, নানিদের বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে। কিন্তু প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেনি তরুণেরা।
ফার্গুসন অবশ্য তরুণদের দোষারোপ না করে সব ক্ষোভ উগরে দিলেন রেফারির ওপর, ‘ইউরোপে টানা দুটো ম্যাচে আমরা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হলাম। এটা খেলাটির চেতনা-বিরুদ্ধ, কিন্তু আমি আর কী করতে পারি? এ ধরনের পেনাল্টিগুলো না দিলে খেলাটাই সমস্যাতে পড়ে যাবে।’
এমন মন্তব্যের পর ফার্গুসন আবারও সমস্যায় পড়ে যান কি না কে জানে। ওদিকে বার্নাব্যুতে কিন্তু রিয়ালকে খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি মিলানকে তাদের মাঠে হারিয়ে আসা জুরিখ। তবে মাত্র একটা গোল নিয়ে নিশ্চয়ই অস্বস্তিতে ছিল সমর্থকেরা। সেই অস্বস্তি তো ঘুচেছেই, সবচেয়ে বেশি স্বস্তির ছিল আট সপ্তাহ পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মাঠে ফেরা। ৬৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারটি। তেমন কোনো কারিশমা দেখাননি। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বরের ‘এল ক্লাসিকো’র জন্য তিনি প্রস্তুত।
No comments