ক্যারিয়ারের সুবিধার্থে ব্রেক্সিট সমর্থন করেছিলেন জনসন: -ক্যামেরনের আত্মজীবনী
নিজের
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সুবিধার্থে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ
বা ব্রেক্সিট সমর্থন করেছিলেন বৃটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
২০১৬ সালে যখন ব্রেক্সিট গণভোট অনুষ্ঠিত হয় তখন ব্রেক্সিটের ওপর বিশ্বাস
করেননি তিনি। সমপ্রতি এমনটা জানিয়েছেন বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড
ক্যামেরন। ব্রেক্সিট নিয়ে বৃটেনে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দেশটির
প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গণভোটের পরপরই পদত্যাগ করেন তিনি। তিনি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন।
পদত্যাগের পর এই প্রথম নিজের কোনো উত্তরসূরির বিপক্ষে এমন সমালোচনামূলক
মন্তব্য করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য টাইমস।
খবরে বলা হয়, দ্য টাইমসের রোববারের সংস্করণ সানডে টাইমস’এ ডেভিড ক্যামেরনের অপ্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়। তাতে জনসন সম্পর্কে উল্লিখিত মন্তব্য করেছেন তিনি। টাইমসে প্রকাশিত সারাংশে, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মাইকেল গোভকে একজন ‘সফেন ফারাজি সমর্থক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ক্যামেরন। তিনি লিখেছেন, ‘গোভ ও জনসন ছিলেন, বিশেষজ্ঞদের অগ্রাহ্যকারী, সত্য-বিকৃতকারী লোকরঞ্জনবাদের যুগের রাষ্ট্রদূত।’
গোভের বিরুদ্ধে তার ও জনসনের প্রতি অনানুগত থাকার অভিযোগ এনেছেন সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। নিজের সাবেক ওই সহকর্মীকে নিয়ে ক্যামেরন লিখেন, তার মধ্যে একটি গুণ উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে: অনানুগত্য। প্রথমে আমার প্রতি ও পরে বরিসের প্রতি অনানুগত্য।
এর আগে শনিবারও ক্যামেরনের বইটির আরো কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে জনসন ও গোভকে ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণায় ‘আতঙ্কজনক’ আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন ক্যামেরন।
প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্যামেরন। ইইউ’তে থাকার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বৃটিশ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেন। ফলাফল প্রকাশের পরপরই পদত্যাগ করেন ক্যামেরন। বৃটেনের প্রায় ২শ’ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ব্রেক্সিট বৃটেনের জন্য ভালো হবে না খারাপ হবে সেটি ভাবছিলেন না জনসন। তিনি ভাবছিলেন, তার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন কোনটি হবে। ক্যামেরন লিখেন, কনজারভেটিভ পার্টির যেকোনো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও রোমান্সের ভাবমূর্তি নিয়ে ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নিতো, তিনিই দলের মধ্যমণিতে পরিণত হতেন। জনসন চাননি দলের অন্য কোনো প্রভাবশালী সদস্য এই ভূমিকা পালন করুক- বিশেষ করে, মাইকেল গোভ যেন ওই মুকুট না পরতে পারেন। তার এমন আচরণে আমি যে উপসংহারে পৌঁছেছি, সেটি হচ্ছে, তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের স্বার্থে এমন একটি অপশন বেছে নিয়েছেন যেটিতে তিনি বিশ্বাস করেন নি।
উল্লেখ্য, ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তেরেসা মে। কিন্তু তিনিও ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন। তার পর আসেন জনসন। সম্প্রতি বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত অন্যতম। আদালতে তার এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডের শীর্ষ আদালত তার এই সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছে। তিনি বহুবার বলেছেন, চুক্তি সহ হোক বা চুক্তি ছাড়া, আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করাই তার মূল লক্ষ্য। কিন্তু ক্যামেরন তার বইয়ে লিখেছেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে দ্বিতীয় একটি গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। ইইউর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শেষে ওই গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা তুলেছিলেন তিনি।
খবরে বলা হয়, দ্য টাইমসের রোববারের সংস্করণ সানডে টাইমস’এ ডেভিড ক্যামেরনের অপ্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়। তাতে জনসন সম্পর্কে উল্লিখিত মন্তব্য করেছেন তিনি। টাইমসে প্রকাশিত সারাংশে, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মাইকেল গোভকে একজন ‘সফেন ফারাজি সমর্থক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ক্যামেরন। তিনি লিখেছেন, ‘গোভ ও জনসন ছিলেন, বিশেষজ্ঞদের অগ্রাহ্যকারী, সত্য-বিকৃতকারী লোকরঞ্জনবাদের যুগের রাষ্ট্রদূত।’
গোভের বিরুদ্ধে তার ও জনসনের প্রতি অনানুগত থাকার অভিযোগ এনেছেন সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। নিজের সাবেক ওই সহকর্মীকে নিয়ে ক্যামেরন লিখেন, তার মধ্যে একটি গুণ উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে: অনানুগত্য। প্রথমে আমার প্রতি ও পরে বরিসের প্রতি অনানুগত্য।
এর আগে শনিবারও ক্যামেরনের বইটির আরো কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে জনসন ও গোভকে ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণায় ‘আতঙ্কজনক’ আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন ক্যামেরন।
প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্যামেরন। ইইউ’তে থাকার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বৃটিশ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেন। ফলাফল প্রকাশের পরপরই পদত্যাগ করেন ক্যামেরন। বৃটেনের প্রায় ২শ’ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ব্রেক্সিট বৃটেনের জন্য ভালো হবে না খারাপ হবে সেটি ভাবছিলেন না জনসন। তিনি ভাবছিলেন, তার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন কোনটি হবে। ক্যামেরন লিখেন, কনজারভেটিভ পার্টির যেকোনো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও রোমান্সের ভাবমূর্তি নিয়ে ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নিতো, তিনিই দলের মধ্যমণিতে পরিণত হতেন। জনসন চাননি দলের অন্য কোনো প্রভাবশালী সদস্য এই ভূমিকা পালন করুক- বিশেষ করে, মাইকেল গোভ যেন ওই মুকুট না পরতে পারেন। তার এমন আচরণে আমি যে উপসংহারে পৌঁছেছি, সেটি হচ্ছে, তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের স্বার্থে এমন একটি অপশন বেছে নিয়েছেন যেটিতে তিনি বিশ্বাস করেন নি।
উল্লেখ্য, ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তেরেসা মে। কিন্তু তিনিও ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন। তার পর আসেন জনসন। সম্প্রতি বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত অন্যতম। আদালতে তার এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ডের শীর্ষ আদালত তার এই সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছে। তিনি বহুবার বলেছেন, চুক্তি সহ হোক বা চুক্তি ছাড়া, আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করাই তার মূল লক্ষ্য। কিন্তু ক্যামেরন তার বইয়ে লিখেছেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে দ্বিতীয় একটি গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। ইইউর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শেষে ওই গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা তুলেছিলেন তিনি।
No comments