বিদেশ মিশনে নিয়োগ চেয়ে পুলিশের প্রস্তাব by মিজানুর রহমান
বিদেশ
মিশনে পোস্টিং চায় পুলিশ। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দেশে
ফেরানোর কাজে সহায়তা, বিদেশের মাটিতে বসে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের লঙ্ঘনসহ
নানা অপরাধে যুক্ত বাংলাদেশিদের আটক এবং দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি
করা, প্রবাসীদের পাসপোর্টের আবেদন সংক্রান্ত ভেরিফিকেশনে সময়ক্ষেপন রোধ এবং
পুলিশের পদায়ন ও পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ওই পোস্টিংয়ের প্রস্তাব
করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
প্রস্তাবটিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেগুনবাগিচায় পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পত্রে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বের ৪০টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৪০টি মিশনে পুলিশ সুপার পদ-মর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের নিমিত্তে ১৪১টি পদ সৃজন এবং ৩টি জীপ কার পুলিশ সদর দপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিশনগুলোতে পুলিশ সুপাররা ‘পুলিশ লিয়াঁজো কর্মকর্তা’ হিসাবে প্রেষণে নিযুক্ত হবেন। ৪০ জন পুলিশ লিয়াঁজো অফিসারের প্রত্যেকের সঙ্গে ২ জন করে মোট ৮০ জন সহায়কও নিযুক্ত হবেন। মিশনে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখভাল তথা তত্ত্বাবধানে ঢাকাস্থ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অতিরিক্ত আইজির একটি এবং দু’টি ডিআইজি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই ৩ তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ১৮টি সহায়ক পদ তৈরিরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি সূত্র মতে, পুলিশ যে ৪০টি মিশনে নিয়োগ চায় তা হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, কানাডা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালী, ফ্রান্স, জার্মানী, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, তুরস্ক, কুয়েত, থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, কাতার, ওমান, মিশর, বাহরাইন, ব্রুনাই, মিয়ানমার, নেপাল, জর্ডান, ইরাক, আফগানিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, গ্রীস, স্পেন, মরিশাস, লিবিয়া ও মরক্কো। প্রস্তাবে বলা হয়েছে- উপরোল্লিখিত দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাই কমিশনে পুলিশ লিয়াঁজো অফিসার নিযুক্ত হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন, প্রত্যাবাসন, সংশ্লিষ্ট দেশে পুলিশি হয়রানি রোধসহ যাবতীয় কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়াদি তারা সরাসরি তদারকি করতে পারবেন। এতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ, অপরাধী প্রত্যাবর্তন, ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্ট আদান-প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ জোরদার হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সিদ্ধান্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠনো প্রস্তাবটির যৌক্তিকতা বিবেচনায় ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের জনবল কাঠামো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেস বা কার্যপরিধি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় এটা নিশ্চিত হয়েছে যে, ঢাকাস্থ বিদেশী দূতাবাসগুলোতে পুলিশ লিয়াঁজো অফিসার বা এ ধরণের কোন পদ নেই। কিছু দূতবাসের নিরাপত্তার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে নিরাপত্তা টিম বা কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা একান্তভাবে দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন- সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মবন্টন বা অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী বিদেশ থেকে যে কোন অপরাধী বা অন্য কারণে কোন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি অন্য কোন বিভাগ, সংস্থা বা মন্ত্রণালয়কে দিতে হলে অ্যালোকেশন অব বিজনেসে পরিবর্তন আনতে হবে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফেরাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কাজ করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উপযুক্ত প্রতিনিধিরা এতে রয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি সমন্বয় করছে। মন্ত্রণালয়ের কাজের ‘অগ্রাধিকার’ হিসাবে বিষয়টি রয়েছে। পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়ে এসবির সক্রিয়তা এবং দূতাবাসগুলোর পাসপোর্ট উইং এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিশনগুলোর পাসপোর্ট উইংয়ের কাজে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার নিয়োগ করলেই ভেরিফিকেশনের কাজ দ্রুততর হবে- এমনটা মনে করে না সেগুনবাগিচা।
প্রস্তাবটিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেগুনবাগিচায় পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পত্রে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বের ৪০টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৪০টি মিশনে পুলিশ সুপার পদ-মর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের নিমিত্তে ১৪১টি পদ সৃজন এবং ৩টি জীপ কার পুলিশ সদর দপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিশনগুলোতে পুলিশ সুপাররা ‘পুলিশ লিয়াঁজো কর্মকর্তা’ হিসাবে প্রেষণে নিযুক্ত হবেন। ৪০ জন পুলিশ লিয়াঁজো অফিসারের প্রত্যেকের সঙ্গে ২ জন করে মোট ৮০ জন সহায়কও নিযুক্ত হবেন। মিশনে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখভাল তথা তত্ত্বাবধানে ঢাকাস্থ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অতিরিক্ত আইজির একটি এবং দু’টি ডিআইজি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই ৩ তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ১৮টি সহায়ক পদ তৈরিরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি সূত্র মতে, পুলিশ যে ৪০টি মিশনে নিয়োগ চায় তা হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, কানাডা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালী, ফ্রান্স, জার্মানী, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, তুরস্ক, কুয়েত, থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, কাতার, ওমান, মিশর, বাহরাইন, ব্রুনাই, মিয়ানমার, নেপাল, জর্ডান, ইরাক, আফগানিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, গ্রীস, স্পেন, মরিশাস, লিবিয়া ও মরক্কো। প্রস্তাবে বলা হয়েছে- উপরোল্লিখিত দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাই কমিশনে পুলিশ লিয়াঁজো অফিসার নিযুক্ত হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন, প্রত্যাবাসন, সংশ্লিষ্ট দেশে পুলিশি হয়রানি রোধসহ যাবতীয় কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়াদি তারা সরাসরি তদারকি করতে পারবেন। এতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ, অপরাধী প্রত্যাবর্তন, ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্ট আদান-প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ জোরদার হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সিদ্ধান্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠনো প্রস্তাবটির যৌক্তিকতা বিবেচনায় ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের জনবল কাঠামো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেস বা কার্যপরিধি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় এটা নিশ্চিত হয়েছে যে, ঢাকাস্থ বিদেশী দূতাবাসগুলোতে পুলিশ লিয়াঁজো অফিসার বা এ ধরণের কোন পদ নেই। কিছু দূতবাসের নিরাপত্তার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে নিরাপত্তা টিম বা কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা একান্তভাবে দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন- সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মবন্টন বা অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী বিদেশ থেকে যে কোন অপরাধী বা অন্য কারণে কোন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি অন্য কোন বিভাগ, সংস্থা বা মন্ত্রণালয়কে দিতে হলে অ্যালোকেশন অব বিজনেসে পরিবর্তন আনতে হবে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফেরাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কাজ করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উপযুক্ত প্রতিনিধিরা এতে রয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি সমন্বয় করছে। মন্ত্রণালয়ের কাজের ‘অগ্রাধিকার’ হিসাবে বিষয়টি রয়েছে। পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়ে এসবির সক্রিয়তা এবং দূতাবাসগুলোর পাসপোর্ট উইং এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিশনগুলোর পাসপোর্ট উইংয়ের কাজে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার নিয়োগ করলেই ভেরিফিকেশনের কাজ দ্রুততর হবে- এমনটা মনে করে না সেগুনবাগিচা।
No comments