যেসব কারণে চরম দুরবস্থায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী শ্রমিকের
কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত- তৈরি পোশাক শিল্প। বিগত শতাব্দীর আশির দশকের
মাঝামাঝি শিল্পোন্নত দেশগুলোতে শ্রমঘন এ শিল্পটি যখন পাততাড়ি গুটাতে শুরু
করে তখন বাংলাদেশে শুরু হয় এ শিল্পের বিকাশ। চারদশক রমরমা বাণিজ্য করা
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত এখন চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে।
গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে অন্তত ১,৩০০ কারখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও হাতে কাজ না থাকায় সাময়িকভাবে উৎপাদনে নেই আরো অন্তত দেড় হাজার কারখানা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রফতানি আয়ে।
এ প্রসঙ্গে সরকারপন্থি বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি রেডিও তেহরানকে জানান, তৈরি পোশাক খাতের এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এখনই জরুরি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে কারখানা বন্ধ হয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক, বিশেষ করে নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ছাড়াও মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী বোর্ডের এ সদস্য।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের দাম না বেড়ে প্রতিনিয়ত কমছে। এ সময়ে প্রধান রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের প্রভাবে দুর্যোগের ঘনঘটা বাজছে রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী দেশের সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাক শিল্পখাতে।
ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষের মতে, তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক অসন্তোষ। এ সমস্যাও ততটাও জটিল হতো না যদি শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে পানি ঘোলা করায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ তৎপর না থাকত।
দুর্নীতি বিরোধী গবেষণা সংস্থা টিআইবি সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকরা সবচেয়ে কম মজুরী পান। বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০১ ডলার, সেখানে ভারতে ১৬০ ডলার, কম্বোডিয়ায় ১৯৭ ডলার, ভিয়েতনামে ১৩৬ ডলার ও ফিলিপাইনে ১৭০ ডলার।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে আসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মালিকেরা ২৫ হাজার শ্রমিককে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এ সেক্টরকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।
বন্ড-সুবিধা অপব্যবহার
ওদিকে, বন্ড-সুবিধার অপব্যবহারে অভিযুক্ত ৬৬টি গার্মেন্টসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বন্ড-সুবিধার অপব্যবহার ইস্যুতে ৬৬টি গার্মেন্টস কারখানার একাটি তালিকা বিজিএমইএ’র কাছে পাঠিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতোমধ্যে ২৬টি কারখানা বিজিএমইএ’র কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে কাপড় বিক্রিসহ গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের বিষয়ে উভয়পক্ষ পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধের পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব কারখানার বিরুদ্ধে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেটা বিজিএমইএর নিজস্ব টিম দিয়ে গোপনে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে অন্তত ১,৩০০ কারখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও হাতে কাজ না থাকায় সাময়িকভাবে উৎপাদনে নেই আরো অন্তত দেড় হাজার কারখানা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রফতানি আয়ে।
এ প্রসঙ্গে সরকারপন্থি বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি রেডিও তেহরানকে জানান, তৈরি পোশাক খাতের এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এখনই জরুরি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে কারখানা বন্ধ হয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক, বিশেষ করে নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ছাড়াও মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী বোর্ডের এ সদস্য।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের দাম না বেড়ে প্রতিনিয়ত কমছে। এ সময়ে প্রধান রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের প্রভাবে দুর্যোগের ঘনঘটা বাজছে রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী দেশের সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাক শিল্পখাতে।
ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষের মতে, তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক অসন্তোষ। এ সমস্যাও ততটাও জটিল হতো না যদি শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে পানি ঘোলা করায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ তৎপর না থাকত।
দুর্নীতি বিরোধী গবেষণা সংস্থা টিআইবি সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকরা সবচেয়ে কম মজুরী পান। বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০১ ডলার, সেখানে ভারতে ১৬০ ডলার, কম্বোডিয়ায় ১৯৭ ডলার, ভিয়েতনামে ১৩৬ ডলার ও ফিলিপাইনে ১৭০ ডলার।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে আসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মালিকেরা ২৫ হাজার শ্রমিককে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এ সেক্টরকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।
বন্ড-সুবিধা অপব্যবহার
ওদিকে, বন্ড-সুবিধার অপব্যবহারে অভিযুক্ত ৬৬টি গার্মেন্টসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বন্ড-সুবিধার অপব্যবহার ইস্যুতে ৬৬টি গার্মেন্টস কারখানার একাটি তালিকা বিজিএমইএ’র কাছে পাঠিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতোমধ্যে ২৬টি কারখানা বিজিএমইএ’র কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে কাপড় বিক্রিসহ গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের বিষয়ে উভয়পক্ষ পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধের পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব কারখানার বিরুদ্ধে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেটা বিজিএমইএর নিজস্ব টিম দিয়ে গোপনে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
No comments