কী হবে যুবলীগের ট্রাইব্যুনালে? by কাজী সোহাগ
সন্ত্রাস
ও চাঁদাবাজি নিয়ে আত্মবিচারে নেমেছে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন
যুবলীগ। গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে
বিষয়টি নজিরবিহীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার
ক্ষোভের কথা জেনে সংগঠনের অভিযোগবিদ্ধ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ
উদ্যোগ নিয়েছে যুবলীগ। যুবলীগ ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন
করবেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। এদিকে যুবলীগ ট্রাইব্যুনাল
নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কয়েক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম
প্রকাশ করে এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। কয়েক নেতা জানান, সাধারণত
ট্রাইব্যুনালে তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে হয়। এক্ষেত্রে চাঁদাবাজি আর
সন্ত্রাসীর তথ্য-প্রমাণ কি হবে। কাগজে-কলমে তো আর চাঁদাবাজি হয় না।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব অভিযোগ তদন্ত
করবে যুবলীগ ট্রাইব্যুনাল। সাম্প্রতিক সময়ে যুবলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের
বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
নিজস্ব ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তদন্ত করবে। এতে আরও বলা হয়েছে, যুবলীগের
কোন নেতা বা কোন শাখার বিরুদ্ধে যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে তা আওয়ামী
যুবলীগের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাতে পারেন। তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে
যুবলীগের কোন নেতা বা শাখার(যে পর্যায়েরই হোক না কেন) বিরুদ্ধে নুন্যতম
অভিযোগের যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে ওই ব্যক্তি ও কমিটির
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যুবলীগ।
যদি অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় তাৎক্ষনিকভাবে অভিযোগটি পাঠাবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের জন্য ওই থানাকে অনুরোধ করবে। এসব বিষয়ে যুবলীগের সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এদিকে একই বিষয় নিয়ে যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, সমপ্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব তথ্য ও বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চায় যুবলীগ। সংগঠনের ভেতর কেউ যেন নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ না করে সেজন্য শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে চলে এ সংগঠন। এজন্য আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালে যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করা হয়। দোষী নেতা-কর্মী তিনি যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। যুবলীগ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,যুবলীগ তো নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। তারা নিজেরাই শুনানির ব্যবস্থা করেছে। ভালো কথা, শুভ উদ্যোগ। যুবলীগ নিজেদের সংকট, অনিয়মের অভিযোগ সমাধান করবে। এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করব। জঙ্গি দমনের মত চাঁদাবাজদের মোকাবেলা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন,এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী তথ্য পাচ্ছেন। দলের লোকের বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। যত বড় নেতাই হোক, যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক, কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এ ব্যপারে জোর তদন্ত চলছে। সবই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে তেমন নয়। কিছু কিছু প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলা হয়েছে, যারাই অপকর্ম করবে- দলের লোক হোক, আর বাইরের লোক হোক, যত প্রভাবশলী হোক সবার সঙ্গে আইনের ভাষায় কথা বলবে।
এদিকে যুবলীগ নিয়ে দলীয় প্রধানের সমালোচনার পর রোববার থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংগঠনটির বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ের আশপাশে উপস্থিতি কমে গেছে। গত শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগের কতিপয় নেতার কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর যুবলীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা শোভন-রাব্বানীর (ছাত্রলীগ থেকে অপসারিত দুই শীর্ষ নেতা) চেয়েও খারাপ। সভায় যুবলীগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এরা তো জন্মদিন (শেখ হাসিনার) পালনের নামে চাঁদাবাজি করতে পারে, এমনভাবে আমার জন্মদিন পালনের দরকার নেই। যুবলীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ আমার কাছে আছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বেপরোয়া চলাচল বরদাশত করা হবে না। এরপর যুবলীগ নিয়ে তার কাছে আসা নানা অভিযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে। আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। সদলবলে অস্ত্র নিয়ে ঘোরেন। এসব বন্ধ করতে হবে। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেন, তারা সাবধান হয়ে যান,এসব বন্ধ করুন। তা না হলে, যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে। এরপরই যুবলীগের চেয়ারম্যান সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার হন। তিনি নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরণের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হুশিয়ার করেন।
যদি অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় তাৎক্ষনিকভাবে অভিযোগটি পাঠাবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের জন্য ওই থানাকে অনুরোধ করবে। এসব বিষয়ে যুবলীগের সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এদিকে একই বিষয় নিয়ে যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, সমপ্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব তথ্য ও বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চায় যুবলীগ। সংগঠনের ভেতর কেউ যেন নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ না করে সেজন্য শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে চলে এ সংগঠন। এজন্য আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালে যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করা হয়। দোষী নেতা-কর্মী তিনি যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। যুবলীগ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,যুবলীগ তো নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। তারা নিজেরাই শুনানির ব্যবস্থা করেছে। ভালো কথা, শুভ উদ্যোগ। যুবলীগ নিজেদের সংকট, অনিয়মের অভিযোগ সমাধান করবে। এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করব। জঙ্গি দমনের মত চাঁদাবাজদের মোকাবেলা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন,এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী তথ্য পাচ্ছেন। দলের লোকের বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। যত বড় নেতাই হোক, যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক, কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এ ব্যপারে জোর তদন্ত চলছে। সবই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে তেমন নয়। কিছু কিছু প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলা হয়েছে, যারাই অপকর্ম করবে- দলের লোক হোক, আর বাইরের লোক হোক, যত প্রভাবশলী হোক সবার সঙ্গে আইনের ভাষায় কথা বলবে।
এদিকে যুবলীগ নিয়ে দলীয় প্রধানের সমালোচনার পর রোববার থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংগঠনটির বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ের আশপাশে উপস্থিতি কমে গেছে। গত শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগের কতিপয় নেতার কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর যুবলীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা শোভন-রাব্বানীর (ছাত্রলীগ থেকে অপসারিত দুই শীর্ষ নেতা) চেয়েও খারাপ। সভায় যুবলীগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এরা তো জন্মদিন (শেখ হাসিনার) পালনের নামে চাঁদাবাজি করতে পারে, এমনভাবে আমার জন্মদিন পালনের দরকার নেই। যুবলীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ আমার কাছে আছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বেপরোয়া চলাচল বরদাশত করা হবে না। এরপর যুবলীগ নিয়ে তার কাছে আসা নানা অভিযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে। আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। সদলবলে অস্ত্র নিয়ে ঘোরেন। এসব বন্ধ করতে হবে। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেন, তারা সাবধান হয়ে যান,এসব বন্ধ করুন। তা না হলে, যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে। এরপরই যুবলীগের চেয়ারম্যান সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার হন। তিনি নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরণের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হুশিয়ার করেন।
No comments