একসময়ের কট্টর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নেপালি মাওবাদীদের মুখে এখন ভিন্ন সুর by তিকার প্রধান
মাওবাদীদের দৃষ্টিতে ভারত একসময় ছিল সম্প্রসারণবাদী শক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে।
যদিও ২০০৬ সালের শান্তিচুক্তির ফলে মাওবাদীরা মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে এসে ধীরে ধীরে তাদের মহাশত্রুর বিরুদ্ধে গালাগাল হ্রাস করছিল, প্রায়ই তাদের সাথে দেখাসাক্ষাত করে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সিপিএন-ইউএমএল একীভূত হওয়ার পর তারা তাদের আদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষক ও দলের সদস্যরা একে আদর্শগত পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন না। তাদের মতে, এটা হলো গণতান্ত্রিক মূলধারার সাথে পূর্ণভাবে খাপ খাইয়ে নেয়ার ইঙ্গিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক (তিনি কয়েক দশক ধরে নেপালের বামধারার রাজনীতি অনুসরণ করছেন) শ্যাম শ্রেষ্ঠ বলেন, মাওবাদীরা এখন বিচক্ষণ হচ্ছে। এখনকার মাওবাদীরা যুদ্ধের সময়কার মাওবাদীদের চেয়ে ভিন্ন।
মাওবাদী-ইউএমএল একীভূত হওয়ার পর গঠিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) সর্বশেষ রাজনৈতিক নথিতে ওই দুই দেশের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। অথচ আগে প্রতিটি নথিতে ওই দুই দেশের নাম থাকত।
পুষ্প কমল দহল তথা প্রচন্ড এখন আর নেপালের সব খারাপের জন্য ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন না।
মাওবাদীরা ২০০৮ সালে প্রথম সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতায় চলে আসে। মূলত অন্যান্য দলের মধ্যকার বিভেদের সুযোগটি তারা নিতে পেরেছিল। তবে মাত্র আট মাসের মাথায় প্রচন্ডের সরকারের পতন ঘটে। মাওবাদীরা আবারো ভারতবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। মাওবাদীরা ২০১৩ সালের দ্বিতীয় সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে হেরে যায়। আবার ক্ষমতায় আসতে তার অপেক্ষা করতে হয়েছিল সাত বছর। তবে তা মাত্র সাত মাসের জন্য।
আবার তত দিনে দলটি নানাভাবে বিভক্ত হয়েছে, তার বিপ্লবী ও আদর্শগত অনেক কিছুই খুইয়ে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা বাবুরাম ভট্টরাই, বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট মোহন বৈদ্য ও সিপি গুজুরেলের মতাদর্শ থেকেও সরে এসেছে। বৈদ ও গুজুরেল গঠন করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল রেভুলশনারি মাওয়িস্টস আর ভট্টরাইয়ের নতুন দল নয়া শক্তি পার্টি কয়েক মাস আগে গঠিত সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরামের সাথে মিশে গেছে।
দলের অন্যতম নেতা ইন্দ্র মোহন সিগদেল ২০১২ সালে আদর্শকে জলাঞ্জলি দেয়ার জন্য প্রচন্ডকে অভিযুক্ত করে দল থেকে বের হয়ে যান।
এমনকি প্রচন্ড যখন ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে নিন্দা করেন, তখন নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রচন্ডের বিবৃতিটি আবেগপ্রসূত। এর মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
গুজুরেল মনে করেন, তিনটি কারণে মাওবাদীরা বদলে গেছে। প্রথম কারণটি হলো, শক্তিশালী দেশগুলো তাদের গ্রহণ করেছে। দ্বিতীয়ত, তারা বিলিয়নিয়ার হতে চায়। তৃতীয়ত, তারা ভয় পাচ্ছে যে তাদেরকে হয়তো যুদ্ধাপরাধের জন্য হেগে নেয়া হবে।
দলের প্রতিটি নেতা মনে করেন যে প্রচন্ড বিশ্বাস করেন, বিদেশী প্রধান শত্রুগুলোকে ক্ষেপিয়ে তিনি লাভবান হতে পারবেন না।
তবে মাওবাদী নেতারা মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই তারা বদলে যাচ্ছেন।
যদিও ২০০৬ সালের শান্তিচুক্তির ফলে মাওবাদীরা মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে এসে ধীরে ধীরে তাদের মহাশত্রুর বিরুদ্ধে গালাগাল হ্রাস করছিল, প্রায়ই তাদের সাথে দেখাসাক্ষাত করে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সিপিএন-ইউএমএল একীভূত হওয়ার পর তারা তাদের আদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষক ও দলের সদস্যরা একে আদর্শগত পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন না। তাদের মতে, এটা হলো গণতান্ত্রিক মূলধারার সাথে পূর্ণভাবে খাপ খাইয়ে নেয়ার ইঙ্গিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক (তিনি কয়েক দশক ধরে নেপালের বামধারার রাজনীতি অনুসরণ করছেন) শ্যাম শ্রেষ্ঠ বলেন, মাওবাদীরা এখন বিচক্ষণ হচ্ছে। এখনকার মাওবাদীরা যুদ্ধের সময়কার মাওবাদীদের চেয়ে ভিন্ন।
মাওবাদী-ইউএমএল একীভূত হওয়ার পর গঠিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) সর্বশেষ রাজনৈতিক নথিতে ওই দুই দেশের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। অথচ আগে প্রতিটি নথিতে ওই দুই দেশের নাম থাকত।
পুষ্প কমল দহল তথা প্রচন্ড এখন আর নেপালের সব খারাপের জন্য ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন না।
মাওবাদীরা ২০০৮ সালে প্রথম সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতায় চলে আসে। মূলত অন্যান্য দলের মধ্যকার বিভেদের সুযোগটি তারা নিতে পেরেছিল। তবে মাত্র আট মাসের মাথায় প্রচন্ডের সরকারের পতন ঘটে। মাওবাদীরা আবারো ভারতবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। মাওবাদীরা ২০১৩ সালের দ্বিতীয় সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে হেরে যায়। আবার ক্ষমতায় আসতে তার অপেক্ষা করতে হয়েছিল সাত বছর। তবে তা মাত্র সাত মাসের জন্য।
আবার তত দিনে দলটি নানাভাবে বিভক্ত হয়েছে, তার বিপ্লবী ও আদর্শগত অনেক কিছুই খুইয়ে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা বাবুরাম ভট্টরাই, বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট মোহন বৈদ্য ও সিপি গুজুরেলের মতাদর্শ থেকেও সরে এসেছে। বৈদ ও গুজুরেল গঠন করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল রেভুলশনারি মাওয়িস্টস আর ভট্টরাইয়ের নতুন দল নয়া শক্তি পার্টি কয়েক মাস আগে গঠিত সঙ্ঘীয় সমাজবাদী ফোরামের সাথে মিশে গেছে।
দলের অন্যতম নেতা ইন্দ্র মোহন সিগদেল ২০১২ সালে আদর্শকে জলাঞ্জলি দেয়ার জন্য প্রচন্ডকে অভিযুক্ত করে দল থেকে বের হয়ে যান।
এমনকি প্রচন্ড যখন ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে নিন্দা করেন, তখন নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রচন্ডের বিবৃতিটি আবেগপ্রসূত। এর মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
গুজুরেল মনে করেন, তিনটি কারণে মাওবাদীরা বদলে গেছে। প্রথম কারণটি হলো, শক্তিশালী দেশগুলো তাদের গ্রহণ করেছে। দ্বিতীয়ত, তারা বিলিয়নিয়ার হতে চায়। তৃতীয়ত, তারা ভয় পাচ্ছে যে তাদেরকে হয়তো যুদ্ধাপরাধের জন্য হেগে নেয়া হবে।
দলের প্রতিটি নেতা মনে করেন যে প্রচন্ড বিশ্বাস করেন, বিদেশী প্রধান শত্রুগুলোকে ক্ষেপিয়ে তিনি লাভবান হতে পারবেন না।
তবে মাওবাদী নেতারা মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই তারা বদলে যাচ্ছেন।
No comments