ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডি: দ্বিতীয় জীবন পাওয়ার বর্ণনা ওদের মুখে by জিয়া চৌধুরী
ভয়ঙ্কর
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে হবে ছোট্ট নৌকায়। একটি নৌকায় প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি ও
সোমালিয়ান নাগরিক। এ যেন জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সাগর জয়ের চেষ্টা।
সিলেটের ছায়েদুল ইসলামের বয়স সবে মাত্র ১৬। ভূমধ্যসাগরের বিশাল জলরাশি
কিংবা দালাল চক্রের নির্যাতন এমন অমানবিক গল্প ডিঙ্গিয়ে তৈরি করতে চেয়েছিল
এক নতুন ইতিহাস। সিলেট থেকে ইউরোপ এমন স্বপ্নে বিভোর ছায়েদুলকে দেখতে
হয়েছে ভাগ্যের নির্মমতা।
পরিবার-পরিজন, কিংবা কিশোর বয়সের উচ্ছ্বলতা সবকিছু পেছনে ফেলে যার কাছে ইউরোপ পৌঁছানোই ছিল মূখ্য। ভাগ্যের তাড়নায় অগত্যা ঘর ছাড়ে ছায়েদুল, পাড়ি জমায় এক ভয়ঙ্কর যাত্রায়। সিলেট থেকে যাত্রা শুরু হয় ইউরোপের উদ্দেশ্যে। ভারত, দুবাই, জর্ডান হয়ে স্বপ্নের ইউরোপের একেবারে কাছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ের দেশ লিবিয়ায়। লিবিয়া থেকে ত্রিপোলি উপকূলে পৌঁছে সিলেটে থাকা পরিবারের সঙ্গে কথাও হয় ছায়েদুলের। আর মাত্র কয়েক দিন পর ইউরোপ পৌঁছে যাবার কথা জানায় মুঠোফোনে। এর মধ্যে দালাল চক্রকে বুঝিয়ে দেয়া হয় প্রায় নয় লাখ টাকাও। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরের ত্রিপোলি উপকূলে পৌঁছালে ছায়েদুলের ঠাঁই হয় ‘গেইম ট্র্যাপ’ নামে ঘরে। যেখানে আটকদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিতে চলে নির্যাতন। তবুও হাল ছাড়েনি ছায়েদুল, সে তখন স্বপ্ন থেকে মাত্র কয়েক হাজার কিলোমিটার সমুদ্র পথ দূরে। গেইম ঘর থেকে মুক্তির পর ত্রিপোলি উপকূল থেকে দালালদের হাত বদলে ছায়েদুলের ঠাঁই হয় নৌকায়।
জাহাজে করে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রার কথা বললেও তাকে নৌকায় তুলে দেয় বাংলাদেশি দালাল চক্রের সদস্যরা। পঞ্চাশ জন করে তিনটি নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবার ভয়ঙ্কর যাত্রা শুরু হয় তার। ত্রিপোলি উপকূল থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার পর ছায়েদুল শুধু ক্ষণ গুনছিলেন কখন ইতালি পৌঁছাবেন। ত্রিপোলি থেকে ইতালি সাগরপথে প্রায় দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুরত্ব। পাড়ি দিতে সময় লাগে সময়ভেদে ত্রিশ ঘণ্টারও বেশি। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, ছায়েদুলও পৌঁছে যাচ্ছিলেন তার স্বপ্নের কাছে। তবে, তিউনিসিয়া উপকূলে পৌঁছালে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় নৌকার ইঞ্জিন। পাশে থাকা আরেকটি নৌকাও দেখা দেয় একই গোলযোগ। ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন অনেকে। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সাগরে ভাসতে হয় দু’দিন। তাদের সঙ্গে যাত্রা শুরু করে তিনটি নৌকার দুটিতে জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। এই দুই নৌকায় থাকা বাংলাদেশি ও সোমালিয়ান নাগরিকদের ১১ মে তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনী। অন্য একটি নৌকার তলা ফেটে গেলে তাদের সঙ্গে ছায়েদুলদের আর যোগাযোগ হয়নি।
গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়ায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৫জনকে দেশে ফিরিয়ে আনে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন(আইএওএম)। তিউনিসিয়া উপকূলে জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেও ভাসতে থাকায় এরা জীবিত ফিরতে পেরেছে বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়া থেকে বেঁচে ফিরে আসা ১৫ জন হলো: মাদারীপুরের শাহীন বিজয়(২৬), সিলেটের ইকবাল হোসেন(২৩), সেন্টু চন্দ্র সাহা(৪৭), মো. ছায়েদুল ইসলাম(১৬), মো. সোহেল আহমেদ(১৮), শাহেদ আহমেদ(৪০), মো. রুবেল আহমেদ(৩১), মাসুম খান(৩২), সুনামগঞ্জের আনোয়ার হাসান(২৬) ও মোহাম্মদ আবদুল মতিন(৪১), ভৈরবের আমির হোসেন(৩৫), কিশোরগঞ্জের এরফান চৌধুরী(২৬), ) হবিগঞ্জের রাশেদ মিয়া(২৫), সজীব মিয়া(১৯) ও মো. সোহেল রানা(২৬)। আউটপাস নিয়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মঙ্গলবার দুুপরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এই ১৫জন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে দালাল চক্রের বিষয়ে জানতে কথা বলে ইমিগ্রেশন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব), পুলিশের বিশেষ শাখা ও অনান্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। কথোপকথনে লিবিয়া ও বাংলাদেশে থাকা মানপাচারের চক্রটির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
পরে মঙ্গলবার রাতে তাদের যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয়। তিউনিসিয়া থেকে বেঁচে ফিরে আসা হবিগঞ্জের সোহেল রানার সঙ্গে রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সোহেল রানা জানান, গত ২৮ জানুয়ারি নিজ এলাকার এক দালাল বুলবুলের সহায়তায় লিবিয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট ছাড়েন তিনি। ভারত, জর্ডান হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর বুলবুলকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দেয় তার পরিবার। পরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আরেক দালালকে ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হয় আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা। সোহেল রানা জানান, দালালদের সঙ্গে চুক্তি ছিল, লিবিয়া থেকে জাহাজে করে ইতালি নেয়া হবে এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তবে লিবিয়ায় নিয়ে প্রায় তিন মাস একটি ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। গত ৯ মে সন্ধ্যায় লিবিয়া থেকে মোট ৫৭ জনকে একটি নৌকায় তুলে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। নৌকাটিতে ৮ জন নারী ও তিন শিশুও ছিল। ১০ মে সারাদিন সাগরে ভাসার পর নৌকায় পানি উঠতে শুরু করে। ভাসতে ভাসতে এক সময় তিউনিসিয়া উপকূলে পৌঁছালে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। পরে তিউনিশয়ার কোস্টগার্ডের সহায়তার তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিলেটের রুবেল আহম্মেদ জানান, তারা ১১ বন্ধু সিলেট থেকে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমান।
পথে পথে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তারা। শেষমেষ ত্রিপোলি থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে আলাদা নৌকায় রওনা হন ১১ বন্ধু। তবে, নিজেদের মধ্যে মাত্র ৪ জন বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। বাকি সাত বন্ধুর খবর এখনো জানেন না তারা। নৌকা ডুবে যাওয়ায় আর বাকি বন্ধুদের হদিস পায়নি তারা। এদিকে, আইওএমের বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার চৌধুরী আসিফ মহিউদ্দিন হারুন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, বুধবার আরো একজন তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে। এছাড়া, তিউনিসিয়ায় থাকা ১৪ বাংলাদেশিদের মধ্যে কেউ ফিরতে আগ্রহী হলে তাদেরও ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ই মে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ বাংলাদেশী নিখোঁজ হন। একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৪০ জনের সবাই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
পরিবার-পরিজন, কিংবা কিশোর বয়সের উচ্ছ্বলতা সবকিছু পেছনে ফেলে যার কাছে ইউরোপ পৌঁছানোই ছিল মূখ্য। ভাগ্যের তাড়নায় অগত্যা ঘর ছাড়ে ছায়েদুল, পাড়ি জমায় এক ভয়ঙ্কর যাত্রায়। সিলেট থেকে যাত্রা শুরু হয় ইউরোপের উদ্দেশ্যে। ভারত, দুবাই, জর্ডান হয়ে স্বপ্নের ইউরোপের একেবারে কাছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ের দেশ লিবিয়ায়। লিবিয়া থেকে ত্রিপোলি উপকূলে পৌঁছে সিলেটে থাকা পরিবারের সঙ্গে কথাও হয় ছায়েদুলের। আর মাত্র কয়েক দিন পর ইউরোপ পৌঁছে যাবার কথা জানায় মুঠোফোনে। এর মধ্যে দালাল চক্রকে বুঝিয়ে দেয়া হয় প্রায় নয় লাখ টাকাও। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরের ত্রিপোলি উপকূলে পৌঁছালে ছায়েদুলের ঠাঁই হয় ‘গেইম ট্র্যাপ’ নামে ঘরে। যেখানে আটকদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিতে চলে নির্যাতন। তবুও হাল ছাড়েনি ছায়েদুল, সে তখন স্বপ্ন থেকে মাত্র কয়েক হাজার কিলোমিটার সমুদ্র পথ দূরে। গেইম ঘর থেকে মুক্তির পর ত্রিপোলি উপকূল থেকে দালালদের হাত বদলে ছায়েদুলের ঠাঁই হয় নৌকায়।
জাহাজে করে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রার কথা বললেও তাকে নৌকায় তুলে দেয় বাংলাদেশি দালাল চক্রের সদস্যরা। পঞ্চাশ জন করে তিনটি নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবার ভয়ঙ্কর যাত্রা শুরু হয় তার। ত্রিপোলি উপকূল থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার পর ছায়েদুল শুধু ক্ষণ গুনছিলেন কখন ইতালি পৌঁছাবেন। ত্রিপোলি থেকে ইতালি সাগরপথে প্রায় দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুরত্ব। পাড়ি দিতে সময় লাগে সময়ভেদে ত্রিশ ঘণ্টারও বেশি। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, ছায়েদুলও পৌঁছে যাচ্ছিলেন তার স্বপ্নের কাছে। তবে, তিউনিসিয়া উপকূলে পৌঁছালে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় নৌকার ইঞ্জিন। পাশে থাকা আরেকটি নৌকাও দেখা দেয় একই গোলযোগ। ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন অনেকে। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সাগরে ভাসতে হয় দু’দিন। তাদের সঙ্গে যাত্রা শুরু করে তিনটি নৌকার দুটিতে জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। এই দুই নৌকায় থাকা বাংলাদেশি ও সোমালিয়ান নাগরিকদের ১১ মে তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনী। অন্য একটি নৌকার তলা ফেটে গেলে তাদের সঙ্গে ছায়েদুলদের আর যোগাযোগ হয়নি।
গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়ায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৫জনকে দেশে ফিরিয়ে আনে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন(আইএওএম)। তিউনিসিয়া উপকূলে জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেও ভাসতে থাকায় এরা জীবিত ফিরতে পেরেছে বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়া থেকে বেঁচে ফিরে আসা ১৫ জন হলো: মাদারীপুরের শাহীন বিজয়(২৬), সিলেটের ইকবাল হোসেন(২৩), সেন্টু চন্দ্র সাহা(৪৭), মো. ছায়েদুল ইসলাম(১৬), মো. সোহেল আহমেদ(১৮), শাহেদ আহমেদ(৪০), মো. রুবেল আহমেদ(৩১), মাসুম খান(৩২), সুনামগঞ্জের আনোয়ার হাসান(২৬) ও মোহাম্মদ আবদুল মতিন(৪১), ভৈরবের আমির হোসেন(৩৫), কিশোরগঞ্জের এরফান চৌধুরী(২৬), ) হবিগঞ্জের রাশেদ মিয়া(২৫), সজীব মিয়া(১৯) ও মো. সোহেল রানা(২৬)। আউটপাস নিয়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মঙ্গলবার দুুপরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এই ১৫জন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে দালাল চক্রের বিষয়ে জানতে কথা বলে ইমিগ্রেশন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব), পুলিশের বিশেষ শাখা ও অনান্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। কথোপকথনে লিবিয়া ও বাংলাদেশে থাকা মানপাচারের চক্রটির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
পরে মঙ্গলবার রাতে তাদের যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয়। তিউনিসিয়া থেকে বেঁচে ফিরে আসা হবিগঞ্জের সোহেল রানার সঙ্গে রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সোহেল রানা জানান, গত ২৮ জানুয়ারি নিজ এলাকার এক দালাল বুলবুলের সহায়তায় লিবিয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট ছাড়েন তিনি। ভারত, জর্ডান হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর বুলবুলকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দেয় তার পরিবার। পরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আরেক দালালকে ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হয় আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা। সোহেল রানা জানান, দালালদের সঙ্গে চুক্তি ছিল, লিবিয়া থেকে জাহাজে করে ইতালি নেয়া হবে এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তবে লিবিয়ায় নিয়ে প্রায় তিন মাস একটি ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। গত ৯ মে সন্ধ্যায় লিবিয়া থেকে মোট ৫৭ জনকে একটি নৌকায় তুলে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। নৌকাটিতে ৮ জন নারী ও তিন শিশুও ছিল। ১০ মে সারাদিন সাগরে ভাসার পর নৌকায় পানি উঠতে শুরু করে। ভাসতে ভাসতে এক সময় তিউনিসিয়া উপকূলে পৌঁছালে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। পরে তিউনিশয়ার কোস্টগার্ডের সহায়তার তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিলেটের রুবেল আহম্মেদ জানান, তারা ১১ বন্ধু সিলেট থেকে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমান।
পথে পথে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তারা। শেষমেষ ত্রিপোলি থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে আলাদা নৌকায় রওনা হন ১১ বন্ধু। তবে, নিজেদের মধ্যে মাত্র ৪ জন বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। বাকি সাত বন্ধুর খবর এখনো জানেন না তারা। নৌকা ডুবে যাওয়ায় আর বাকি বন্ধুদের হদিস পায়নি তারা। এদিকে, আইওএমের বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার চৌধুরী আসিফ মহিউদ্দিন হারুন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, বুধবার আরো একজন তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে। এছাড়া, তিউনিসিয়ায় থাকা ১৪ বাংলাদেশিদের মধ্যে কেউ ফিরতে আগ্রহী হলে তাদেরও ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ই মে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ বাংলাদেশী নিখোঁজ হন। একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৪০ জনের সবাই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
No comments