কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব বোঝা হিসেবে দেখছে ব্যাংক: ২ লক্ষাধিক হিসাব অচল by প্রতীক ওমর
সরকার
কৃষক থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে
আসার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার
সুবিধা প্রদান করে। পরবর্তীতে কৃষকের ভর্তুকি ও সামাজিক নিরাপত্তা
কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন প্রকার প্রণোদনা ও ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়
কৃষকের ১০ টাকায় খোলা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে। দেশের সরকারি ৫টি ব্যাংক
সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও জনতা
ব্যাংকে এই সুবিধা প্রদান করা হয়। এসব ব্যাংকে বগুড়ায় কৃষকরা ৬ লক্ষাধিক
হিসাব খোলে। এসব হিসাবে ভর্তুকির টাকা ছাড়া অন্য কোনো লেনদেন না হওয়ায়
ব্যাংকগুলো বোঝা হিসেবে দেখছে। অনেক কৃষক তাদের ১০ টাকার হিসাবে লেনদেন
করতে অনাগ্রহী। তারা এ হিসাবের মাধ্যমে শুধুমাত্র সরকারি ভর্তুকি নিতে আসে।
অন্যকোনো লেনদেন করতে আসে না। ফলে ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লাখ হিসাব অচল হয়ে
পড়েছে।
বর্তমানে শুধু জেলার অগ্রণী ব্যাংকে ৪২ হাজার ২০৮টি, রূপালী ব্যাংকে ২ হাজার ২০০টি, সোনালী ব্যাংকে ৪০ হাজার ১৬০টি, জনতা ব্যাংকে ১৮ হাজার ৮৯৮টি, রাকাব উত্তর ৭৬ হাজার ১৯টি ও রাকাব দক্ষিণ ব্যাংকে ৬১ হাজার ৭৮০টি কৃষকের ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে। এ ছাড়া সচল ও অচল মিলে বর্তমানে জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ৬ লাখ ৫ হাজার ২৬৪টি কৃষকের ব্যাংক হিসাব গড়াগড়ি খাচ্ছে। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৯ জন কৃষকের এবং ৩১ হাজার ৬২৫টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে কৃষাণীর ব্যাংক হিসাবে। তবে এসব হিসাবে শুধু ভর্তুকির টাকা উত্তোলন করায় ২ লাখ ৩ হাজার ২৫৮টি ব্যাংক হিসাব অচল রয়েছে। জেলার উপজেলাভিত্তিক কৃষকের ব্যাংক পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
হিসাবের মধ্যে সচল রয়েছে বগুড়া সদরে ৫ হাজার ৩শ’, শাজাহানপুরে ২০ হাজার ৬৫২টি, শেরপুরে ৩১ হাজার ৫১টি, ধুনটে ৪০ হাজার ৬৫০টি, গাবতলীতে ৫৩ হাজার ৯২০টি, সারিয়াকান্দিতে ৪৮ হাজার ৫৮০টি, সোনাতলায় ৩৮ হাজার ৭৭৭টি, শিবগঞ্জে ২২ হাজার ২৮৫টি, কাহালুতে ৫ হাজার ৪৯৫টি, দুপচাঁচিয়ায় ২ হাজার ৮শ’, আদমদীঘিতে ৫ হাজার ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২১ হাজার ৯৫৯টি ব্যাংক হিসাব।
বগুড়া সদরের পাটিতাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, তবিবর রহমান, মোকাব্বর হোসেন, রেজাউল করিম বলেন, কৃষকের ভর্তুকির ব্যাংক হিসাবে সব ধরনের লেনদেন করা যায় তা তাদের জানা নেই। তা ছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছেন, ভর্তুকির হিসাবে অন্যকোনো লেনদেন করা যাবে না। একই এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানালেন, ১ বছর আগে তার ঐ হিসাবে সোনালী ব্যাংক বাজার শাখায় ১০ হাজার টাকার একটি চেক জমা দেন। পরে ব্যাংক থেকে তাকে জানানো হয় ভর্তুকির টাকা ছাড়া তার হিসাবে অন্য কোনো টাকা লেনদেন করা যাবে না। বাধ্য হয়ে তিনি আবেদন করে সেই টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেন। সারিয়াকান্দি উপজেলার পারতিতপরল গ্রামের আব্দুল বাকী, আমিরুল ইসলাম, আচারের পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিন বলেন, ১০ টাকায় খোলা কৃষক হিসাবে অন্য কোনো লেনদেন করা যায় তা তাদের জানা নেই। শিবগঞ্জের মোকামতলার চলনাকাথী গ্রামের কৃষক মো. আইয়ুব আলী লস্করপুর পশ্চিমপাড়ার নাজিম উদ্দিন ও মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে বলা হয় কৃষকের ব্যাংক হিসাবে শুধু ভর্তুকির টাকা উত্তোলন করা যাবে। অন্য কোনো প্রকার টাকা জমা ও উত্তোলন করার বিধান নেই। এসব কারণে তারা ব্যাংকের ঐ হিসাবে লেনদেন করেন না।
সোনালী ব্যাংক বগুড়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম জুলফিকার নাইম খান বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য ১০ টাকার হিসাবে শুধুমাত্র সঞ্চয়ী লেনদেন করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে যে কৃষক ১০ হাজার টাকার চেক তার ১০ টাকায় খোলা হিসেবে জমা দিয়েছিল সেটা ছিল তার ব্যবসার টাকা। ঐ চেক সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে জমা করার নিয়ম বিধায় তার জমা করা টাকা নিয়মমাফিক হয়নি।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, কৃষকের ১০ টাকায় খোলা হিসাবগুলোতে লেনদেন না হওয়ায় তার অনেকটাই অচল হিসেবে পরিণত হয়েছে। যা সংরক্ষণ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হিসাবগুলো এক প্রকার ব্যাংকের কাছে বোঝা হয়ে রয়েছে।
বর্তমানে শুধু জেলার অগ্রণী ব্যাংকে ৪২ হাজার ২০৮টি, রূপালী ব্যাংকে ২ হাজার ২০০টি, সোনালী ব্যাংকে ৪০ হাজার ১৬০টি, জনতা ব্যাংকে ১৮ হাজার ৮৯৮টি, রাকাব উত্তর ৭৬ হাজার ১৯টি ও রাকাব দক্ষিণ ব্যাংকে ৬১ হাজার ৭৮০টি কৃষকের ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে। এ ছাড়া সচল ও অচল মিলে বর্তমানে জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ৬ লাখ ৫ হাজার ২৬৪টি কৃষকের ব্যাংক হিসাব গড়াগড়ি খাচ্ছে। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৯ জন কৃষকের এবং ৩১ হাজার ৬২৫টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে কৃষাণীর ব্যাংক হিসাবে। তবে এসব হিসাবে শুধু ভর্তুকির টাকা উত্তোলন করায় ২ লাখ ৩ হাজার ২৫৮টি ব্যাংক হিসাব অচল রয়েছে। জেলার উপজেলাভিত্তিক কৃষকের ব্যাংক পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
হিসাবের মধ্যে সচল রয়েছে বগুড়া সদরে ৫ হাজার ৩শ’, শাজাহানপুরে ২০ হাজার ৬৫২টি, শেরপুরে ৩১ হাজার ৫১টি, ধুনটে ৪০ হাজার ৬৫০টি, গাবতলীতে ৫৩ হাজার ৯২০টি, সারিয়াকান্দিতে ৪৮ হাজার ৫৮০টি, সোনাতলায় ৩৮ হাজার ৭৭৭টি, শিবগঞ্জে ২২ হাজার ২৮৫টি, কাহালুতে ৫ হাজার ৪৯৫টি, দুপচাঁচিয়ায় ২ হাজার ৮শ’, আদমদীঘিতে ৫ হাজার ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২১ হাজার ৯৫৯টি ব্যাংক হিসাব।
বগুড়া সদরের পাটিতাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, তবিবর রহমান, মোকাব্বর হোসেন, রেজাউল করিম বলেন, কৃষকের ভর্তুকির ব্যাংক হিসাবে সব ধরনের লেনদেন করা যায় তা তাদের জানা নেই। তা ছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছেন, ভর্তুকির হিসাবে অন্যকোনো লেনদেন করা যাবে না। একই এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানালেন, ১ বছর আগে তার ঐ হিসাবে সোনালী ব্যাংক বাজার শাখায় ১০ হাজার টাকার একটি চেক জমা দেন। পরে ব্যাংক থেকে তাকে জানানো হয় ভর্তুকির টাকা ছাড়া তার হিসাবে অন্য কোনো টাকা লেনদেন করা যাবে না। বাধ্য হয়ে তিনি আবেদন করে সেই টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেন। সারিয়াকান্দি উপজেলার পারতিতপরল গ্রামের আব্দুল বাকী, আমিরুল ইসলাম, আচারের পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিন বলেন, ১০ টাকায় খোলা কৃষক হিসাবে অন্য কোনো লেনদেন করা যায় তা তাদের জানা নেই। শিবগঞ্জের মোকামতলার চলনাকাথী গ্রামের কৃষক মো. আইয়ুব আলী লস্করপুর পশ্চিমপাড়ার নাজিম উদ্দিন ও মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে বলা হয় কৃষকের ব্যাংক হিসাবে শুধু ভর্তুকির টাকা উত্তোলন করা যাবে। অন্য কোনো প্রকার টাকা জমা ও উত্তোলন করার বিধান নেই। এসব কারণে তারা ব্যাংকের ঐ হিসাবে লেনদেন করেন না।
সোনালী ব্যাংক বগুড়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম জুলফিকার নাইম খান বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য ১০ টাকার হিসাবে শুধুমাত্র সঞ্চয়ী লেনদেন করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে যে কৃষক ১০ হাজার টাকার চেক তার ১০ টাকায় খোলা হিসেবে জমা দিয়েছিল সেটা ছিল তার ব্যবসার টাকা। ঐ চেক সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে জমা করার নিয়ম বিধায় তার জমা করা টাকা নিয়মমাফিক হয়নি।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, কৃষকের ১০ টাকায় খোলা হিসাবগুলোতে লেনদেন না হওয়ায় তার অনেকটাই অচল হিসেবে পরিণত হয়েছে। যা সংরক্ষণ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হিসাবগুলো এক প্রকার ব্যাংকের কাছে বোঝা হয়ে রয়েছে।
No comments