অজ্ঞান পার্টিতে ‘কিশোর চক্র’
ঈদুল
ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে আবারো সক্রিয় হয়েছে অজ্ঞান পার্টিসহ পকেটমার ও
প্রতারক চক্র। রাজধানীর অভিজাত বিপনি বিতান ও বাণিজ্যিক এলাকা ঘিরে তৎপরতা
বেড়েছে এসব চক্রের। তবে অজ্ঞান পার্টিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোরদের চাহিদা
তুলনামূলক বেশি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ
(ডিএমপি)। এর মধ্যে, নিউমার্কেট এলাকা ও আশপাশ থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করে
সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। আটক হওয়া অজ্ঞান পার্টির সকলে ঢাকায়
ভাসমান অবস্থানে বসবাস করে।
এদের মধ্যে বেশির ভাগ মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা ম্যানেজ করতে মানুষকে অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এই চক্রে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও কিশোররা মূল ভূমিকা পালন করতো বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। নিউমার্কেট এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে অন্তত চারজন কিশোর। অজ্ঞান পার্টিতে এসব কিশোরদের কদর বয়স্কদের তুলনায় বেশি বলে দাবি করেছে পুলিশ। সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্র জানায়, নিউমার্কেট, নূরজাহান, গাউছিয়াসহ ওই এলাকার বিভিন্ন বিপনি বিতানে নারী ক্রেতাদের টার্গেট করে কিশোররা। বয়সে কম হওয়ায় অজ্ঞান পার্টির কিশোর গ্যাংয়ের দিকে মানুষের সন্দেহ কম থাকে। এই সুযোগ নিয়ে নিউমার্কেট এলাকার বিপনি বিতানগুলোতে আসা নারী ক্রেতাদের কাছাকাছি থেকে ছক কষে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। টার্গেট নারী ক্রেতা অজ্ঞান হয়ে গেলে ভিড়ের মধ্যে তার সাথে থাকা দামি মোবাইল, নগদ টাকা ও অনান্য জিনিসপত্র লুটে নেয় তারা।
পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া অজ্ঞান পার্টি চক্রটির নেতৃত্ব দেয় আবদুস সালাম মীর নামে একজন। এক পা অচল হলেও কিশোর ও মাঝ বয়সীদের নিয়ে গ্যাং চালাতো সালাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, বয়স্কদের মানুষ তুলনামূলক সন্দেহের চোখে দেখে। তবে, কিশোর ও কম বয়স্করা সহজেই ক্রেতাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। এজন্য, কিশোরদের দিয়ে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো এই অজ্ঞান পার্টি চক্রের হোতা। পুলিশকে সালাম আরো জানায়, কাজ শেষে ভিড়ের মধ্যে সুযোগ বুঝে মিশে যেত তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরাও মাদকাসক্ত ও ভাসমান হওয়ায় সহজেই তাদেরকে দলে ভেড়ায় সালাম। এদিকে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নাজমুল হক গতকাল মানবজমিনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বয়স বিবেচনায় কিশোর সংশোধনাগারে দেয়া হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির বিষয়ে গোয়েন্দারা তৎপর আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদের মধ্যে বেশির ভাগ মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা ম্যানেজ করতে মানুষকে অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এই চক্রে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও কিশোররা মূল ভূমিকা পালন করতো বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। নিউমার্কেট এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে অন্তত চারজন কিশোর। অজ্ঞান পার্টিতে এসব কিশোরদের কদর বয়স্কদের তুলনায় বেশি বলে দাবি করেছে পুলিশ। সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্র জানায়, নিউমার্কেট, নূরজাহান, গাউছিয়াসহ ওই এলাকার বিভিন্ন বিপনি বিতানে নারী ক্রেতাদের টার্গেট করে কিশোররা। বয়সে কম হওয়ায় অজ্ঞান পার্টির কিশোর গ্যাংয়ের দিকে মানুষের সন্দেহ কম থাকে। এই সুযোগ নিয়ে নিউমার্কেট এলাকার বিপনি বিতানগুলোতে আসা নারী ক্রেতাদের কাছাকাছি থেকে ছক কষে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। টার্গেট নারী ক্রেতা অজ্ঞান হয়ে গেলে ভিড়ের মধ্যে তার সাথে থাকা দামি মোবাইল, নগদ টাকা ও অনান্য জিনিসপত্র লুটে নেয় তারা।
পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া অজ্ঞান পার্টি চক্রটির নেতৃত্ব দেয় আবদুস সালাম মীর নামে একজন। এক পা অচল হলেও কিশোর ও মাঝ বয়সীদের নিয়ে গ্যাং চালাতো সালাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, বয়স্কদের মানুষ তুলনামূলক সন্দেহের চোখে দেখে। তবে, কিশোর ও কম বয়স্করা সহজেই ক্রেতাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। এজন্য, কিশোরদের দিয়ে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো এই অজ্ঞান পার্টি চক্রের হোতা। পুলিশকে সালাম আরো জানায়, কাজ শেষে ভিড়ের মধ্যে সুযোগ বুঝে মিশে যেত তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরাও মাদকাসক্ত ও ভাসমান হওয়ায় সহজেই তাদেরকে দলে ভেড়ায় সালাম। এদিকে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নাজমুল হক গতকাল মানবজমিনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বয়স বিবেচনায় কিশোর সংশোধনাগারে দেয়া হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির বিষয়ে গোয়েন্দারা তৎপর আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
No comments