জাতিসংঘে ইরানের সংলাপ প্রস্তাব: বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ব্যাপারে তেহরানের হুঁশিয়ারি
জাতিসংঘে
নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি এই সংস্থার মহাসচিব ও
নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে লেখা চিঠিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিভেদ ও
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এ অঞ্চলের বাইরের বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টার
ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, "এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যাতে দেখা যায় এ অঞ্চলের বাইরের বিভিন্ন মহল আঞ্চলিক মিত্রদের সহযোগিতায় মিথ্যাচার করে, মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে নিজেদের অবৈধ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।" ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কিছুদিন আগে এক সমাবেশে এ অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকাকে তিনটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করেছেন। এ তিনটি দিক হচ্ছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আর্থ-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা এরই আলোকে মূল্যায়ন করা যায়। বিরাজমান স্পর্শকাতর অবস্থা বিবেচনা করে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি তার ওই চিঠিতে নানা সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংলাপের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইরান সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং যুদ্ধ ও সংঘাত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে কখনোই যুদ্ধকে একমাত্র অপশন হিসেবে রাখা হয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধ ও সংলাপের ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের অসভ্যতা ও বেয়াদবিপূর্ণ কথাবার্তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "আমরা যুদ্ধও চাই না আর আমেরিকার বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপও চাই না।"
তিনি আরো বলেন, "আদৌ কোনো যুদ্ধই হবে না। কারণ অতীতের মতোই আমরা কখনোই যুদ্ধ শুরু করব না। আবার মার্কিনীরাও হামলার সাহস দেখাবে না কারণ তারা জানে এর পরিণতি তাদের জন্য মোটেও শুভকর হবে না।" সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "আমরা প্রমাণ করেছি যেকোনো আগ্রাসীকে আমরা শক্ত ও কঠিন জবাব দিতে পারি।"
ইরান মনে করে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এ সংলাপ প্রক্রিয়া পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, নিরাপত্তা বিধান এবং সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবেলায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে। সেইসঙ্গে সমুদ্র পথে নিরাপদ জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টিও নিশ্চিত করবে। এমনকি সংঘাতের পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ কারণে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ সম্প্রতি বিরাজমান উত্তেজনা ও সংকট নিরসনের জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি এ সংস্থায় নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধির আহ্বান জানানোর বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, "এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যাতে দেখা যায় এ অঞ্চলের বাইরের বিভিন্ন মহল আঞ্চলিক মিত্রদের সহযোগিতায় মিথ্যাচার করে, মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে নিজেদের অবৈধ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।" ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কিছুদিন আগে এক সমাবেশে এ অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকাকে তিনটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করেছেন। এ তিনটি দিক হচ্ছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আর্থ-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা এরই আলোকে মূল্যায়ন করা যায়। বিরাজমান স্পর্শকাতর অবস্থা বিবেচনা করে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি তার ওই চিঠিতে নানা সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংলাপের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইরান সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং যুদ্ধ ও সংঘাত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে কখনোই যুদ্ধকে একমাত্র অপশন হিসেবে রাখা হয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধ ও সংলাপের ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের অসভ্যতা ও বেয়াদবিপূর্ণ কথাবার্তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "আমরা যুদ্ধও চাই না আর আমেরিকার বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপও চাই না।"
তিনি আরো বলেন, "আদৌ কোনো যুদ্ধই হবে না। কারণ অতীতের মতোই আমরা কখনোই যুদ্ধ শুরু করব না। আবার মার্কিনীরাও হামলার সাহস দেখাবে না কারণ তারা জানে এর পরিণতি তাদের জন্য মোটেও শুভকর হবে না।" সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "আমরা প্রমাণ করেছি যেকোনো আগ্রাসীকে আমরা শক্ত ও কঠিন জবাব দিতে পারি।"
ইরান মনে করে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এ সংলাপ প্রক্রিয়া পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, নিরাপত্তা বিধান এবং সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবেলায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে। সেইসঙ্গে সমুদ্র পথে নিরাপদ জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টিও নিশ্চিত করবে। এমনকি সংঘাতের পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ কারণে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ সম্প্রতি বিরাজমান উত্তেজনা ও সংকট নিরসনের জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি এ সংস্থায় নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধির আহ্বান জানানোর বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
No comments