রিকশাচালকের বিরুদ্ধে ২৭ লাখ টাকার চেক মামলা
দেবিদ্বারে
হতদরিদ্র এক রিকশাচালকের ভিটামাটি দখলের ষড়যন্ত্রে আদালতে ২৭ লাখ ৪০ হাজার
টাকার চেক ডিজঅনার মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল সকালে উপজেলার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামের বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড
সংযোগ সড়কে ওই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মরিচাকান্দা
গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রুজিনা আক্তার এনজিও
সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ ওঠাতে জামিনদার হওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী মৃত আ.
বারেকের পুত্র হতদরিদ্র রিকশাচালক মো. রুবেলের কাছ থেকে দু’টি খালি চেকের
(চেক নং-১৩২৬২১৯ ও ১৩২৬২১২০) পাতা নেন। কিন্তু চলতি বছরের ৪ঠা এপ্রিল
আদালতে দায়ের করা মামলার একটি নোটিশ প্রাপ্তির পর রুবেল জানতে পারে ওই খালি
চেকগুলোর মধ্যে একটি চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করে ২৭ লাখ ৪০ হাজার
টাকা চেকে উল্লেখ করে জালিয়াতি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনা জানাজানি
হলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী বিষয়টি
মীমাংসা করার জন্য একাধিকবার সালিশের আয়োজন করলেও রুজিনা আক্তার সালিশে
উপস্থিত হননি এবং বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে বলে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে রুবেল আদালতে রুজিনার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আরো বলেন, রুবেলের চাচাতো ভাই কুদ্দুস মিয়া রুজিনার ছোট বোনের জামাই। সেই সুবাদে রুজিনা ও কুদ্দুস দু’জনেই পরিকল্পিত ভাবে হতদরিদ্র রিকশাচালক রুবেলের ভিটেমাটি দখলের ষড়যন্ত্র করেই এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। রুবেলের অ্যাকাউন্টে এ পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার মামলা।
হতদরিদ্র রিকশাচালক রুবেল জানান, গতপ্রায় ২ বছর আগে আমি রিকশা কেনার সময় ‘সাজেদা ফাউন্ডেশন’ থেকে ঋণ নেই। সেই সময় রোজিনা আক্তার তার চেক দিয়ে আমার ঋণের জামিনদার হয়। গত দুই মাস পূর্বে রুজিনা আক্তার ব্যাংক থেকে ঋণ তুলতে আমাকে জামিনদার হওয়ার কথা বলে এবং আমার কাছে দু’টি খালি চেক দাবি করেন। প্রথমে চেক দিতে অপারগতা জানালেও পূর্বে আমাকে সহযোগিতার কথা চিন্তা করে তাকে খালি দু’টি চেকের পাতা স্বাক্ষর করে দেই। সেই সময় এলাকার এক বড় ভাই রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষী রফিকুল ইসলাম জানান, রিকশাচালক রুবেলের কাছে রুজিনা আক্তার খালি দুইটি চেক চাইলে প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করে রুবেল। পরে আমার সামনেই রুবেল দু’টি খালি চেকে স্বাক্ষর করে রুজিনা আক্তারকে দেন। এর কয়েক দিন পরই শুনি রুজিনা আক্তার মামলা করেছে রুবেলের বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মরিচাকান্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিন উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা নাসিম, স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান, মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, বিল্লাল হোসেন ওমানী, হাবিব সরকার, মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া, কানাই দাস, সাইফুল ইসলাম, রেনু মেম্বার ও আবদুল জলিল প্রমুখ।
স্থানীয়রা আরো বলেন, রুবেলের চাচাতো ভাই কুদ্দুস মিয়া রুজিনার ছোট বোনের জামাই। সেই সুবাদে রুজিনা ও কুদ্দুস দু’জনেই পরিকল্পিত ভাবে হতদরিদ্র রিকশাচালক রুবেলের ভিটেমাটি দখলের ষড়যন্ত্র করেই এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। রুবেলের অ্যাকাউন্টে এ পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার মামলা।
হতদরিদ্র রিকশাচালক রুবেল জানান, গতপ্রায় ২ বছর আগে আমি রিকশা কেনার সময় ‘সাজেদা ফাউন্ডেশন’ থেকে ঋণ নেই। সেই সময় রোজিনা আক্তার তার চেক দিয়ে আমার ঋণের জামিনদার হয়। গত দুই মাস পূর্বে রুজিনা আক্তার ব্যাংক থেকে ঋণ তুলতে আমাকে জামিনদার হওয়ার কথা বলে এবং আমার কাছে দু’টি খালি চেক দাবি করেন। প্রথমে চেক দিতে অপারগতা জানালেও পূর্বে আমাকে সহযোগিতার কথা চিন্তা করে তাকে খালি দু’টি চেকের পাতা স্বাক্ষর করে দেই। সেই সময় এলাকার এক বড় ভাই রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষী রফিকুল ইসলাম জানান, রিকশাচালক রুবেলের কাছে রুজিনা আক্তার খালি দুইটি চেক চাইলে প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করে রুবেল। পরে আমার সামনেই রুবেল দু’টি খালি চেকে স্বাক্ষর করে রুজিনা আক্তারকে দেন। এর কয়েক দিন পরই শুনি রুজিনা আক্তার মামলা করেছে রুবেলের বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মরিচাকান্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিন উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা নাসিম, স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান, মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, বিল্লাল হোসেন ওমানী, হাবিব সরকার, মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া, কানাই দাস, সাইফুল ইসলাম, রেনু মেম্বার ও আবদুল জলিল প্রমুখ।
No comments