ইন্দোনেশিয়ায় পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলেন উইদোদো
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জোকো উইদোদো। ছবি: রয়টার্স |
সাবেক
জেনারেল প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোকে পরাজিত করে ইন্দোনেশিয়ায় আবারও প্রেসিডেন্ট
হলেন জোকো উইদোদো। সংঘাতময়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আশঙ্কার মধ্য দিয়ে আজ
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে কঠোর
নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী জাকার্তাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর ৩২ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ এএফপি, বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, প্রাবোয়ো (৬৭) নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেননি। এর আগে তিনি ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন এবং সড়কে বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে উইদোদোর কাছে পরাজয়ের পর তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তবে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেননি।
ধর্ম ইস্যুটি এবারের নির্বাচনে মূল ভূমিকা পালন করে। তবে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উইদোদো—যাঁকে জোকোয়ি নামেও ডাকা হয়—পেয়েছেন ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, প্রাবোয়ো পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। গত ১৭ এপ্রিল ভোট হয়। ভোটাররা ২০ হাজার স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের আইনপ্রণেতা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান প্রাবোয়োর নির্বাচনী দলের সদস্য আজিস সুবেকতি। তিনি বলেন, ‘এই অবিচার, প্রতারণা, মিথ্যা এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হয়ে আমরা তা ছেড়ে দিতে পারি না।’
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেড ও জলকামান নিয়ে তারা অবস্থান নিয়েছে।
গত শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছিল, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা।
এদিন রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ এড়াতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইন্দোনেশিয়া সফরে সতর্ক করেছিল মার্কিন দূতাবাস।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো পক্ষ অর্থনীতি, অবকাঠামো ও দুর্নীতির ওপর আলোকপাত করেছিল। ধর্ম ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান অনুসারে দেশটিতে রাষ্ট্রধর্ম নেই এবং অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের অবাধে ধর্ম পালনের সুযোগ রয়েছে। তবে দেশটিতে ৮০ শতাংশ মুসলিম। গত কয়েক বছরে রক্ষণশীল কট্টর মুসলিম গোষ্ঠীগুলো সরব হয়েছে দেশটিতে। ২০১৬ সালে জাকার্তার চীনা বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান গভর্নর বাসুকি তিজাহাজা পুরনামা—আহোক নামেই যিনি পরিচিত—কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। গত দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট পদে দুই প্রার্থীই ইসলাম ধর্মের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। উইদোদো উদারপন্থী হলেও তাঁর রানিংমেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মারুফ আমিনকে। ৫৭ বছর বয়সী উইদোদো ২০১৪ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি ‘জনতার মানুষ’ হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন এবং নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়টিতেই আলোকপাত করা হয়েছে। ২০১২ সালে জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়েন। ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা প্রাবোয়ো ইসলামি নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং ধর্মীয় স্কুল বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আজ এএফপি, বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, প্রাবোয়ো (৬৭) নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেননি। এর আগে তিনি ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন এবং সড়কে বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে উইদোদোর কাছে পরাজয়ের পর তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তবে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেননি।
ধর্ম ইস্যুটি এবারের নির্বাচনে মূল ভূমিকা পালন করে। তবে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উইদোদো—যাঁকে জোকোয়ি নামেও ডাকা হয়—পেয়েছেন ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, প্রাবোয়ো পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। গত ১৭ এপ্রিল ভোট হয়। ভোটাররা ২০ হাজার স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের আইনপ্রণেতা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান প্রাবোয়োর নির্বাচনী দলের সদস্য আজিস সুবেকতি। তিনি বলেন, ‘এই অবিচার, প্রতারণা, মিথ্যা এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হয়ে আমরা তা ছেড়ে দিতে পারি না।’
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেড ও জলকামান নিয়ে তারা অবস্থান নিয়েছে।
গত শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছিল, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা।
এদিন রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ এড়াতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইন্দোনেশিয়া সফরে সতর্ক করেছিল মার্কিন দূতাবাস।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো পক্ষ অর্থনীতি, অবকাঠামো ও দুর্নীতির ওপর আলোকপাত করেছিল। ধর্ম ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান অনুসারে দেশটিতে রাষ্ট্রধর্ম নেই এবং অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের অবাধে ধর্ম পালনের সুযোগ রয়েছে। তবে দেশটিতে ৮০ শতাংশ মুসলিম। গত কয়েক বছরে রক্ষণশীল কট্টর মুসলিম গোষ্ঠীগুলো সরব হয়েছে দেশটিতে। ২০১৬ সালে জাকার্তার চীনা বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান গভর্নর বাসুকি তিজাহাজা পুরনামা—আহোক নামেই যিনি পরিচিত—কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। গত দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট পদে দুই প্রার্থীই ইসলাম ধর্মের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। উইদোদো উদারপন্থী হলেও তাঁর রানিংমেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মারুফ আমিনকে। ৫৭ বছর বয়সী উইদোদো ২০১৪ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি ‘জনতার মানুষ’ হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন এবং নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়টিতেই আলোকপাত করা হয়েছে। ২০১২ সালে জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়েন। ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা প্রাবোয়ো ইসলামি নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং ধর্মীয় স্কুল বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন সাবেক জেনারেল প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো। ছবি: এএফপি |
No comments