পূর্ণ ম্যান্ডেটে জিতলে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙবেন মোদি
বিজেপি
সভাপতি অমিত শাহের সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে, ২৩শে মে তার সরকার আবারো পূর্ণ
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে আসবে। শুক্রবার বিজেপির হেডকোয়ার্টারে এই সংবাদ
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোদি বলেন, ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে ২০১৪ সালে
বিজেপি যে জয়গাথা রচনা করেছিল, এবারও তেমন বড় জয় পেতে যাচ্ছে দলটি। গত
নির্বাচনে বিজেপি লোকসভার ২৮২টি আসন জিতেছিল। এটা ছিল তিন দশকের মধ্যে
প্রথমবার, যেখানে কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। মোদি বলেন, ২৩শে
মে যখন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে তখন ঠিক এমনই আরেকটি জয় অর্জন করবে
বিজেপি। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় পর কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার ৫ বছর মেয়াদ শেষ করার
পর আবারো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। এই ঘটনাটি তাই ব্যাপক
গুরুত্বপূর্ণ।
মোদি সঠিক কথাই বলেছেন। লোকসভা ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, বিজেপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে এবং পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে তা দলটির জন্য ২০১৪ সালের থেকেও বড় সফলতা হবে। ২৩শে মে যদি মোদি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারো ক্ষমতায় বসেন তাহলে গত ৪৮ বছরের মধ্যে এমন সফলতা পাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। এর আগে ১৯৭১ সালে সর্বশেষ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস এমন সফলতা পেয়েছিল।
স্বাধীনতার পর ভারতে ১৬টি লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ১৭তম লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভারতের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-৫২ সালে। স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান ও জহরলাল নেহরুর প্রতি ভারতীয়দের থাকা সম্মান কংগ্রেসকে পরপর তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২) বড় জয় এনে দিয়েছিল। তারপর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তার আকস্মিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় জহর লাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৭, ১৯৭১ ও ১৯৮০ সালে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালেও কংগ্রেস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজিব গান্ধী।
১৯৯৯ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে যথাক্রমে বিজেপি ও কংগ্রেস জয়ী হয়। কিন্তু কোনো সরকারই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য যে আসন দরকার তা অর্জন করতে সমর্থ হয়নি।
১ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৫১-৫২: নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস লোকসভার ৫৪৩ আসনের ৩৯৮ আসন জিতে।
২য় লোকসভা নির্বাচন, ১৯৫৭: নেহরুর নেতৃত্বে আবারো ৫৩৭ আসনের ৩৯৫ আসন জয় করে কংগ্রেস।
৩য় লোকসভা নির্বাচন, ১৯৬২: এবারও নেহরু ৫৪০ আসনের ৩৯৪ আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করেন।
৪র্থ লোকসভা নির্বাচন, ১৯৬৭: নেহরু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৫৫৩ আসনের ৩০৩ আসনে জয় পায় কংগ্রেস।
৫ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৭১: এবারও ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৫৫৩ আসনের ৩৭২ আসনে জয় পায় কংগ্রেস। এটাই ছিল সর্বশেষ পরপর একই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোনো দলের পরপর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসা।
৬ষ্ঠ লোকসভা নির্বাচন, ১৯৭৭: এ নির্বাচনে কংগ্রেসকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জনতা পার্টি। ৫৫৭ আসনের ৩০২টিই দখল করে নেয় তারা। তবে এ সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।
৭ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮০: কংগ্রেস ঝড়ে আবারো ক্ষমতায় ফেরে ইন্দিরা গান্ধী। এবার ৫৬৬ আসনের ৩৭৭টিতেই জয় পায় দলটি।
৮ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮৪: ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয়। ফলে সহানুভূতি ভোটে রেকর্ড ৪২৬ সিটে জয় পায় কংগ্রেস। এবার প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজিব গান্ধী।
৯ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮৯: ৫৩৪ আসনের মধ্যে ১৯৫ আসন পায় কংগ্রেস। ফলে এককভাবে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় দলটি। বাধ্য হয়ে জোট সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী করা হয় ভিপি সিংকে।
১০ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯১: নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়েই রাজিব গান্ধীকে হত্যা করা হয়। এ নির্বাচনে কংগ্রেস ২৫২ আসন পায়। পিভি নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হয় এবং সফলভাবে ৫ বছর পার করে।
১১তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৬: এ বছর অটল বিহারি বাজপেয়ীর বিজেপি পায় ১৬৩ আসন ও কংগ্রেস পায় ১৪০ আসন। তবে এবার ২ বছরের মধ্যেই মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হয়।
১২তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৮: বিজেপি ১৮৩ আসন পায় ও বাজপেয়ীর নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জয়ললিতা সরে দাঁড়ালে আবারো নির্বাচন আয়োজিত হয়।
১৩তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৯: এবার ১৮৯ আসনে জয় পায় বিজেপি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় দলটি। তবে নির্বাচনের পূর্বে দলটির মিত্রদের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন বাজপেয়ী।
১৪তম লোকসভা নির্বাচন, ২০০৪: ১৫৯ আসনে জিতে সব থেকে বেশি আসনে বিজয়ী হয় কংগ্রেস। সরকার গঠনে দলটিকে সাহায্য করে এর মিত্র দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং।
১৫তম লোকসভা নির্বাচন, ২০০৯: কংগ্রেসের হয়ে এবারও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন মনমোহন সিং। এবার ২০০৪ সালের থেকে সমর্থন বেশি পায় কংগ্রেস। ২১১ আসনে জিতে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে কংগ্রেস।
১৬তম লোকসভা নির্বাচন, ২০১৪: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২৮২ আসনে জয় লাভ করে বিজেপি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এ নির্বাচনে।
মোদি সঠিক কথাই বলেছেন। লোকসভা ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, বিজেপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে এবং পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে তা দলটির জন্য ২০১৪ সালের থেকেও বড় সফলতা হবে। ২৩শে মে যদি মোদি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারো ক্ষমতায় বসেন তাহলে গত ৪৮ বছরের মধ্যে এমন সফলতা পাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। এর আগে ১৯৭১ সালে সর্বশেষ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস এমন সফলতা পেয়েছিল।
স্বাধীনতার পর ভারতে ১৬টি লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ১৭তম লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভারতের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-৫২ সালে। স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান ও জহরলাল নেহরুর প্রতি ভারতীয়দের থাকা সম্মান কংগ্রেসকে পরপর তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২) বড় জয় এনে দিয়েছিল। তারপর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তার আকস্মিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় জহর লাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৭, ১৯৭১ ও ১৯৮০ সালে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালেও কংগ্রেস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজিব গান্ধী।
১৯৯৯ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে যথাক্রমে বিজেপি ও কংগ্রেস জয়ী হয়। কিন্তু কোনো সরকারই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য যে আসন দরকার তা অর্জন করতে সমর্থ হয়নি।
১ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৫১-৫২: নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস লোকসভার ৫৪৩ আসনের ৩৯৮ আসন জিতে।
২য় লোকসভা নির্বাচন, ১৯৫৭: নেহরুর নেতৃত্বে আবারো ৫৩৭ আসনের ৩৯৫ আসন জয় করে কংগ্রেস।
৩য় লোকসভা নির্বাচন, ১৯৬২: এবারও নেহরু ৫৪০ আসনের ৩৯৪ আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করেন।
৪র্থ লোকসভা নির্বাচন, ১৯৬৭: নেহরু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৫৫৩ আসনের ৩০৩ আসনে জয় পায় কংগ্রেস।
৫ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৭১: এবারও ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৫৫৩ আসনের ৩৭২ আসনে জয় পায় কংগ্রেস। এটাই ছিল সর্বশেষ পরপর একই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোনো দলের পরপর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসা।
৬ষ্ঠ লোকসভা নির্বাচন, ১৯৭৭: এ নির্বাচনে কংগ্রেসকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জনতা পার্টি। ৫৫৭ আসনের ৩০২টিই দখল করে নেয় তারা। তবে এ সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।
৭ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮০: কংগ্রেস ঝড়ে আবারো ক্ষমতায় ফেরে ইন্দিরা গান্ধী। এবার ৫৬৬ আসনের ৩৭৭টিতেই জয় পায় দলটি।
৮ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮৪: ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয়। ফলে সহানুভূতি ভোটে রেকর্ড ৪২৬ সিটে জয় পায় কংগ্রেস। এবার প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজিব গান্ধী।
৯ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৮৯: ৫৩৪ আসনের মধ্যে ১৯৫ আসন পায় কংগ্রেস। ফলে এককভাবে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় দলটি। বাধ্য হয়ে জোট সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী করা হয় ভিপি সিংকে।
১০ম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯১: নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়েই রাজিব গান্ধীকে হত্যা করা হয়। এ নির্বাচনে কংগ্রেস ২৫২ আসন পায়। পিভি নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হয় এবং সফলভাবে ৫ বছর পার করে।
১১তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৬: এ বছর অটল বিহারি বাজপেয়ীর বিজেপি পায় ১৬৩ আসন ও কংগ্রেস পায় ১৪০ আসন। তবে এবার ২ বছরের মধ্যেই মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হয়।
১২তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৮: বিজেপি ১৮৩ আসন পায় ও বাজপেয়ীর নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জয়ললিতা সরে দাঁড়ালে আবারো নির্বাচন আয়োজিত হয়।
১৩তম লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৯: এবার ১৮৯ আসনে জয় পায় বিজেপি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় দলটি। তবে নির্বাচনের পূর্বে দলটির মিত্রদের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন বাজপেয়ী।
১৪তম লোকসভা নির্বাচন, ২০০৪: ১৫৯ আসনে জিতে সব থেকে বেশি আসনে বিজয়ী হয় কংগ্রেস। সরকার গঠনে দলটিকে সাহায্য করে এর মিত্র দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং।
১৫তম লোকসভা নির্বাচন, ২০০৯: কংগ্রেসের হয়ে এবারও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন মনমোহন সিং। এবার ২০০৪ সালের থেকে সমর্থন বেশি পায় কংগ্রেস। ২১১ আসনে জিতে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে কংগ্রেস।
১৬তম লোকসভা নির্বাচন, ২০১৪: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২৮২ আসনে জয় লাভ করে বিজেপি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এ নির্বাচনে।
No comments