গুজবে কান দেবেন না -বুথফেরত জরিপ নিয়ে প্রিয়াংকা
বুথফেরত
জরিপের ফল নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। তিনি বলেছেন, বুথফেরত
জরিপ শুধু আপনাদেরকে হতাশ করার জন্য। কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা
বলেছেন রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়া প্রিয়াংকা। এবার লোকসভা
নির্বাচন শুরুর আগে আগে কংগ্রেসের রাজনীতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন।
অনেকেই ভেবেছিলেন তার ক্যারিশমায় কংগ্রেস এ দফায় মসনদে বসতে পারবে। কিন্তু
বুথফেরত জরিপের ফল বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক
এলায়েন্স (এনডিএ) ভূমিধস বিজয় পেতে চলেছে। এমন পূর্বাভাসে গা ভাসাচ্ছে না
বিরোধী শিবির। তারা একে ‘গসিপ’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কংগ্রেস বলছে, ২৩ মে চমক
দেখাবে তারা। এমন অবস্থায় সোমবার দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য অডিও বার্তা
পাঠান প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। তিনি বলেন, ২৩ মে চূড়ান্ত ভোটের ফল। ওই ফলের
আগে তাদেরকে অনুৎসাহিত করতে যে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে তার ফাঁদে যেন তারা পা
না দেন।
এনডিটিভিতে প্রচারিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অডিও ক্লিপ প্রচার করেছেন প্রিয়াংকা। তাতে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের আমার ভাই ও বোন নেতাকর্মীরা। গুজবে কান দেবেন না। বুথফেরত জরিপ আপনাদেরকে অনুৎসাহিত করছে। আপনাদের মনোবলকে ভাঙার জন্যই শুধু এটা করা হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে- এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে স্ট্রং রুম এবং ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রাখুন। আমরা আশাবাদী আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে।
বুথফেরত জরিপ প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি টুইটে সরাসরি বলেছেন, আমি বুথফেরত জরিপ নামক গুজবে মোটেও বিশ্বাস করি না। এমন গুজব ছড়িয়ে দিয়ে ভোট জালিয়াতির একটি গেম সাজানো হয়েছে। তাই আমি সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাই। আসুন আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে নামি।
বুথফেরত জরিপ নিয়ে লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিহারে ক্ষমতাসীন বিজেপি-জনতা দল (ইউনাইটেপ) এর চেয়ে পিছনে রয়েছে আরজেডি। এ নিয়ে দলটি রোববার সন্ধ্যায় টুইটে বলেছে, বুথফেরত জরিপ এসে গেছে। এটা হলো বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের ‘বিজনেস ডিসিশন’। তাদের টার্গেট করা শ্রোতারা যে দলকে পছন্দ করে তারা তাদের পক্ষে কথা বলে। তারা চায় না, তাদের দর্শকদের হতাশ করতে। কারণ, তাতে তাদের টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট) কমে যাবে।
উল্লেখ্য, রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপরই আসতে থাকে বুথফেরত জরিপের ফল। তাতে পূর্বাভাষ দেয়া হয় লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ আসনে বিজয়ী হতে চলেছে এনডিএ। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তার মিত্ররা ১২০ টির মতো আসন পেতে পারে।
এতে আরো দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গে অভাবনীয় ফল করতে পারে বিজেপি। এ রাজ্যে মোট আসন আছে ৪২টি। তার মধ্যে ১৩টি আসনে জিতে যেতে পারে বিজেপি। গত বছর দলটি বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশড়ে। তা সত্ত্বেও এ রাজ্যগুলোতে লোকসভা নির্বাচনে বড় অর্জনের পথে থাকতে পারে বিজেপি।
এনডিটিভিতে প্রচারিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অডিও ক্লিপ প্রচার করেছেন প্রিয়াংকা। তাতে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের আমার ভাই ও বোন নেতাকর্মীরা। গুজবে কান দেবেন না। বুথফেরত জরিপ আপনাদেরকে অনুৎসাহিত করছে। আপনাদের মনোবলকে ভাঙার জন্যই শুধু এটা করা হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে- এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে স্ট্রং রুম এবং ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রাখুন। আমরা আশাবাদী আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে।
বুথফেরত জরিপ প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি টুইটে সরাসরি বলেছেন, আমি বুথফেরত জরিপ নামক গুজবে মোটেও বিশ্বাস করি না। এমন গুজব ছড়িয়ে দিয়ে ভোট জালিয়াতির একটি গেম সাজানো হয়েছে। তাই আমি সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাই। আসুন আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে নামি।
বুথফেরত জরিপ নিয়ে লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিহারে ক্ষমতাসীন বিজেপি-জনতা দল (ইউনাইটেপ) এর চেয়ে পিছনে রয়েছে আরজেডি। এ নিয়ে দলটি রোববার সন্ধ্যায় টুইটে বলেছে, বুথফেরত জরিপ এসে গেছে। এটা হলো বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের ‘বিজনেস ডিসিশন’। তাদের টার্গেট করা শ্রোতারা যে দলকে পছন্দ করে তারা তাদের পক্ষে কথা বলে। তারা চায় না, তাদের দর্শকদের হতাশ করতে। কারণ, তাতে তাদের টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট) কমে যাবে।
উল্লেখ্য, রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপরই আসতে থাকে বুথফেরত জরিপের ফল। তাতে পূর্বাভাষ দেয়া হয় লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ আসনে বিজয়ী হতে চলেছে এনডিএ। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তার মিত্ররা ১২০ টির মতো আসন পেতে পারে।
এতে আরো দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গে অভাবনীয় ফল করতে পারে বিজেপি। এ রাজ্যে মোট আসন আছে ৪২টি। তার মধ্যে ১৩টি আসনে জিতে যেতে পারে বিজেপি। গত বছর দলটি বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশড়ে। তা সত্ত্বেও এ রাজ্যগুলোতে লোকসভা নির্বাচনে বড় অর্জনের পথে থাকতে পারে বিজেপি।
No comments