মোদির রাজনৈতিক ধ্যান! সৃষ্টিকর্তার কাছে কী চাইলেন মোদি?
কেদারনাথ গুহায় প্রার্থনা করার সময় সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে নিজের জন্য কিছু
চাননি বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি
নির্বাচনে নিজ দলের বিজয়ের আকুতিও জানাননি। প্রায় ১৭ ঘণ্টার ধ্যান শেষে
রবিবার (১৯ মে) কেদারনাথ গুহা থেকে বের হয়ে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের
বলেছেন, কেবল ভারত নয়, গোটা মানবজাতির সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য
প্রার্থনা করেছেন।
শেষ ধাপের নির্বাচনের আগের দিন ১৮ মে শনিবার উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দির পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের কাছের একটি গুহায় রাতভর ধ্যান করেন তিনি।
রবিবার গুহা থেকে বের হয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মোদি জানান, প্রার্থনা করার সময় তিনি ঈশ্বরের কাছে কিছু চাননি, এটি তার স্বভাবজাত নয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের প্রদান করার সক্ষমতা দিয়েছেন, দাবি করার নয়।’ মোদি আরও বলেন, শুধু ভারতই ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট না হোক, বরং গোটা মানবজাতির ওপর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক। ‘বিভিন্ন উৎসবে এ মন্দির পরিদর্শন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান কেদারনাথ মন্দিরে তিনি কী করলেন? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এতদিন কী কী করলাম তা ফিরে দেখার চেষ্টা করেছি।' নিজের দলেরও জয় চাননি কি? এই প্রশ্নের জবাবে এ বিজেপি নেতা বলেন, 'না। কিছুই চাইনি। আমি বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাদের সকলকে যোগ্য করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা আমাদের যোগ্যতা দিয়েই পৃথিবীর কাজে যোগদান করতে পারি। তবে হ্যাঁ, আমি সব সময় প্রার্থনা করি যাতে আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন।'
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে দেখা যায়, ভিড়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘হার হার মহাদেব।' সমর্থকরাও তার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে থাকে হার হার মহাদেব।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর শনিবার সকালে চতুর্থবারের মতো কেদারনাথ পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মন্দির এলাকায় অবতরণ করে। শনিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে কেদারনাথকে সুমহান পর্বতমালা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
শেষ ধাপের নির্বাচনের আগের দিন ১৮ মে শনিবার উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দির পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের কাছের একটি গুহায় রাতভর ধ্যান করেন তিনি।
রবিবার গুহা থেকে বের হয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মোদি জানান, প্রার্থনা করার সময় তিনি ঈশ্বরের কাছে কিছু চাননি, এটি তার স্বভাবজাত নয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের প্রদান করার সক্ষমতা দিয়েছেন, দাবি করার নয়।’ মোদি আরও বলেন, শুধু ভারতই ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট না হোক, বরং গোটা মানবজাতির ওপর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক। ‘বিভিন্ন উৎসবে এ মন্দির পরিদর্শন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান কেদারনাথ মন্দিরে তিনি কী করলেন? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এতদিন কী কী করলাম তা ফিরে দেখার চেষ্টা করেছি।' নিজের দলেরও জয় চাননি কি? এই প্রশ্নের জবাবে এ বিজেপি নেতা বলেন, 'না। কিছুই চাইনি। আমি বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাদের সকলকে যোগ্য করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা আমাদের যোগ্যতা দিয়েই পৃথিবীর কাজে যোগদান করতে পারি। তবে হ্যাঁ, আমি সব সময় প্রার্থনা করি যাতে আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন।'
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে দেখা যায়, ভিড়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘হার হার মহাদেব।' সমর্থকরাও তার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে থাকে হার হার মহাদেব।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর শনিবার সকালে চতুর্থবারের মতো কেদারনাথ পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মন্দির এলাকায় অবতরণ করে। শনিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে কেদারনাথকে সুমহান পর্বতমালা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মোদির রাজনৈতিক ধ্যান!
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধ্যান নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আবারও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) বা সিপিআইএম। দলটির সাধারণ সম্পাদক
সীতারাম ইয়েচুরি অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনের আগের দিন কেদারনাথ মন্দিরে
মোদির সফর নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। নির্বাচন কমিশন বার বার বলেছে যে, ভোট লাভের হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ভোটের আগে টিভি চ্যানেলগুলোতে মোদিকে কেদারনাথ মন্দিরে ধর্মীয় কার্যকলাপের দৃশ্যে দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধ হওয়ার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সব দেখেও ঘুমের মধ্যে রয়েছে!
রবিবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে শেষ দফায় ভোটাভুটির আগের দিন শনিবার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরে ধ্যানে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদমাধ্যমের ছবিতে এ সময় তার পরনে যে পোশাক দেখা যায় তা মূলত নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পছন্দের পোশাক। আর তার মাথায় ছিল হিমাচলের ঐতিহ্যবাহী কিন্নরী টুপি। এই হিমাচল প্রদেশের চারটি আসনে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত পশ্চিমবঙ্গ এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। যেখানে কদিন আগেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল বিজেপি।
ভারতের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, রবিবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন গুহায় ধ্যানকে হাতিয়ার করে এ সময়ে টিভি পর্দায় হাজির হয়েছে মোদি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভোটারদের একটা ভিন্ন বার্তা দিতে চেয়েছেন। ধ্যান শুরুর আগেই ধ্যানের দৃশ্য ধারণে সেখানে ক্যামেরা সেট করেছেন তিনি। আর সেটাই টিভি পর্দায় দেখিয়ে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও কৌশলে নিজের প্রচার চালিয়ে গেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর শনিবার সকালে চতুর্থবারের মতো কেদারনাথ পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মন্দির এলাকায় অবতরণ করে। শনিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে কেদারনাথকে সুমহান পর্বতমালা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
কেদারনাথ মন্দিরে পূজা দেওয়ার পর প্রায় দুই কিলোমিটার পর্বোতাহরণ করে সেখানকার গুহায় পৌঁছান মোদি। পাহাড়ি পথ বেয়ে ছাতা ও লাঠি নিয়ে ওপরে উঠতে থাকা মোদির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই গুহায় রাতভর ধ্যানমগ্ন থাকার পর রবিবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
রবিবার ভারতে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট দেওয়া শুরু করেছেন ১০ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি ভোটার। আটটি রাজ্যের ৫৯ আসনে মোট ৯১৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন তারা। রবিবারের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসন থেকে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন মোদি। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। নির্বাচন কমিশন বার বার বলেছে যে, ভোট লাভের হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ভোটের আগে টিভি চ্যানেলগুলোতে মোদিকে কেদারনাথ মন্দিরে ধর্মীয় কার্যকলাপের দৃশ্যে দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধ হওয়ার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সব দেখেও ঘুমের মধ্যে রয়েছে!
রবিবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে শেষ দফায় ভোটাভুটির আগের দিন শনিবার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরে ধ্যানে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদমাধ্যমের ছবিতে এ সময় তার পরনে যে পোশাক দেখা যায় তা মূলত নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পছন্দের পোশাক। আর তার মাথায় ছিল হিমাচলের ঐতিহ্যবাহী কিন্নরী টুপি। এই হিমাচল প্রদেশের চারটি আসনে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত পশ্চিমবঙ্গ এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। যেখানে কদিন আগেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল বিজেপি।
ভারতের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, রবিবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন গুহায় ধ্যানকে হাতিয়ার করে এ সময়ে টিভি পর্দায় হাজির হয়েছে মোদি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভোটারদের একটা ভিন্ন বার্তা দিতে চেয়েছেন। ধ্যান শুরুর আগেই ধ্যানের দৃশ্য ধারণে সেখানে ক্যামেরা সেট করেছেন তিনি। আর সেটাই টিভি পর্দায় দেখিয়ে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও কৌশলে নিজের প্রচার চালিয়ে গেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর শনিবার সকালে চতুর্থবারের মতো কেদারনাথ পরিদর্শনে যান মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মন্দির এলাকায় অবতরণ করে। শনিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে কেদারনাথকে সুমহান পর্বতমালা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
কেদারনাথ মন্দিরে পূজা দেওয়ার পর প্রায় দুই কিলোমিটার পর্বোতাহরণ করে সেখানকার গুহায় পৌঁছান মোদি। পাহাড়ি পথ বেয়ে ছাতা ও লাঠি নিয়ে ওপরে উঠতে থাকা মোদির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই গুহায় রাতভর ধ্যানমগ্ন থাকার পর রবিবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
রবিবার ভারতে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট দেওয়া শুরু করেছেন ১০ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি ভোটার। আটটি রাজ্যের ৫৯ আসনে মোট ৯১৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন তারা। রবিবারের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসন থেকে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন মোদি। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments