ঢাকায় বালিশ প্রতিবাদ
রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে বালিশ হাতে করে অভিনব প্রতিবাদ
জানিয়েছে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ নামের একটি সংগঠন। গতকাল সকালে জাতীয়
প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বালিশ
বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে আরো কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের
অন্তরালে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। তারই জঘন্য উদাহরণ রূপপুর পারমানবিক
বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন মহা দুর্নীতি কেউ করেছে
কিনা সন্দেহ। আমি নতুন প্রজন্মের একজন রাজনীতিক কর্মী হিসেবে যখন দেখি
মেগা প্রজেক্টে মহা লুটপাটের উৎসব চলছে তখন আমি হতাশ হই। তিনি বলেন, ইতিহাস
যদি লক্ষ্য করি- ১৯৭১ সালে বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল।
লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, হবে
একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু সব কিছুই আজ বনবাসে গিয়েছে। মানুষ কথা বলতে
পারছে না, ভোট দিতে পারছে না।
এই সুযোগে মহালুটপাটে মেতে উঠেছে সরকার। মানুষের ঘৃনা তাদের চোখে পড়ে না। তিনি বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যখন দেখি বুয়ার বেতন, গাড়ী চালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার মজুরী আকাশচুম্বি, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই। তিনি বলেন, যখন দেখি কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দেয়, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর বিচার হয় না, যখন ফেলানির লাশ কাটা তারে ঝুলে থাকে। বিচার কার কাছে চাইবো কূল পাই না। বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ বলেন, দেশে দুর্নীতির সঙ্গে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকের মধ্যে আজ হাহাকার। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে হরিলুট তা ইতিহাসের সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। এই মহামারির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে সবাইকে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে হবে। বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বালিশ বিক্ষোভে অংশ নেয়া কর্মীদের হাতে থাকা প্লাকার্ডে লেখা ছিল- ‘কে দেখবে এই দুর্নীতি? কে থামাবে এই মহামারি?’, ‘কৃষক পায়না ফসলের দাম, চারিদিকে লুটপাটের জয়গান।’সহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান।
এর আগে পাবনায় নির্মাণাধীন রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় আসবাবপত্র কেনাকাটা এবং সেগুলোর বহন খরচ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একটি দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়- পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটগুলোর জন্য ১,৩২০টি বালিশ কেনা হয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। একই সঙ্গে প্রতিটি বালিশ নিচ থেকে উপরে বহন করার খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। তবে এই দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরণের পাওনা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই সুযোগে মহালুটপাটে মেতে উঠেছে সরকার। মানুষের ঘৃনা তাদের চোখে পড়ে না। তিনি বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যখন দেখি বুয়ার বেতন, গাড়ী চালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার মজুরী আকাশচুম্বি, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই। তিনি বলেন, যখন দেখি কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দেয়, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর বিচার হয় না, যখন ফেলানির লাশ কাটা তারে ঝুলে থাকে। বিচার কার কাছে চাইবো কূল পাই না। বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ বলেন, দেশে দুর্নীতির সঙ্গে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকের মধ্যে আজ হাহাকার। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে হরিলুট তা ইতিহাসের সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। এই মহামারির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে সবাইকে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে হবে। বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বালিশ বিক্ষোভে অংশ নেয়া কর্মীদের হাতে থাকা প্লাকার্ডে লেখা ছিল- ‘কে দেখবে এই দুর্নীতি? কে থামাবে এই মহামারি?’, ‘কৃষক পায়না ফসলের দাম, চারিদিকে লুটপাটের জয়গান।’সহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান।
এর আগে পাবনায় নির্মাণাধীন রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় আসবাবপত্র কেনাকাটা এবং সেগুলোর বহন খরচ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একটি দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়- পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটগুলোর জন্য ১,৩২০টি বালিশ কেনা হয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। একই সঙ্গে প্রতিটি বালিশ নিচ থেকে উপরে বহন করার খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। তবে এই দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরণের পাওনা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments