রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতি: হাইকোর্টে রিটসহ বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের
একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন পল্লীতে বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র কেনা এবং
সেগুলো ফ্ল্যাটে তুলতে যে খরচ ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঈদের ছুটির এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে ফের শুনানি করবেন আদালত। এর আগ পর্যন্ত রিটটি মুলতবি রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি রূপপুরের ওই আবাসন পল্লীর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। আজ আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
এ প্রসঙ্গে রূপপুর এলাকার অধিবাসী বিএনপি’র ঊপদেষ্টা হাবিবুর রহমান রেডিও তেহনাকে বলেন, শুধু বালিশ নিয়ে দুর্নীতি নয়, গোটা প্রক্ল্প নিয়ে তদন্ত করলে দুর্নীতির সমূদ্র ধরা পড়বে । এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো তৎপরতা নেই। তারা ব্যস্ত সরকারবিরোধী নেতাদের দমন করার কাজে।
'গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জবাবদিহির টেকসই নীতি নেই বলেই লুটপাটের নীতিই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এ জন্য ঋণখেলাপিদের আরও ঋণ দেয়া হচ্ছে, আর মধ্যরাতের ভোটের সহায়তাকারীদের বিনা সুদে গাড়ি বাড়ি কেনার ঋণ দেয়া হচ্ছে। তাই মহাদুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভারী করাই হচ্ছে মিডনাইট সরকারের উন্নয়নের আসল কাহিনি' ।
ওদিকে, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বালিশ হাতে এক অভিনব প্রতিবাদী মানববন্ধন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণঐক্য সংগঠন। এ সময় বক্তারা বলেন, ইতিহাসে এমন মহাদুর্নীতি কেউ করেছি কি-না সন্দেহ।’ ‘উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটের যে মহোৎসব চলছে। তারই একটি উদাহরণ এ বালিশ দুর্নীতি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ‘যখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়ার বেতন, গাড়িচালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তা ফ্লাটে তোলার দাম আকাশচুম্বী, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।’
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর ফ্লাটের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনের ফ্লাটে তোলার বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে গত ১৬ মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। আর খাট উপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।
এ সংক্রান্ত দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঈদের ছুটির এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে ফের শুনানি করবেন আদালত। এর আগ পর্যন্ত রিটটি মুলতবি রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি রূপপুরের ওই আবাসন পল্লীর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। আজ আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
এ প্রসঙ্গে রূপপুর এলাকার অধিবাসী বিএনপি’র ঊপদেষ্টা হাবিবুর রহমান রেডিও তেহনাকে বলেন, শুধু বালিশ নিয়ে দুর্নীতি নয়, গোটা প্রক্ল্প নিয়ে তদন্ত করলে দুর্নীতির সমূদ্র ধরা পড়বে । এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো তৎপরতা নেই। তারা ব্যস্ত সরকারবিরোধী নেতাদের দমন করার কাজে।
'গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জবাবদিহির টেকসই নীতি নেই বলেই লুটপাটের নীতিই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এ জন্য ঋণখেলাপিদের আরও ঋণ দেয়া হচ্ছে, আর মধ্যরাতের ভোটের সহায়তাকারীদের বিনা সুদে গাড়ি বাড়ি কেনার ঋণ দেয়া হচ্ছে। তাই মহাদুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভারী করাই হচ্ছে মিডনাইট সরকারের উন্নয়নের আসল কাহিনি' ।
ওদিকে, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বালিশ হাতে এক অভিনব প্রতিবাদী মানববন্ধন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণঐক্য সংগঠন। এ সময় বক্তারা বলেন, ইতিহাসে এমন মহাদুর্নীতি কেউ করেছি কি-না সন্দেহ।’ ‘উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটের যে মহোৎসব চলছে। তারই একটি উদাহরণ এ বালিশ দুর্নীতি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ‘যখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়ার বেতন, গাড়িচালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তা ফ্লাটে তোলার দাম আকাশচুম্বী, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।’
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর ফ্লাটের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনের ফ্লাটে তোলার বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে গত ১৬ মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। আর খাট উপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।
No comments