সিলেটের বশিরকে খুঁজছে নিখোঁজ জিল্লুরের পরিবার by ওয়েছ খছরু
প্রথমে
দালাল বশিরকে ৮ লাখ টাকা এবং পরে লিবিয়া থেকে বিমানযোগে ইতালি প্রেরণের
জন্য আরো ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। এরপরও নিরাপদে পৌঁছতে পারেনি সিলেটের
দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর রহমান। তাকে বিমানে নয় গাদাগাদি করা ট্রলারে সাগরেই
ছেড়ে দেয়া হয়। আর ইে সাগরের বুকে হারিয়ে গেছে জিল্লুর। তার কোনো খোঁজ
পাচ্ছে না দক্ষিণ সুরমার ইনাত আলীপুরের পরিবার। তবে নিখোঁজের যে তালিকা
প্রকাশ হয়েছে সেটিতে রয়েছে জিল্লুরের নাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে একমাত্র
মাধ্যম সিলেটের দালাল বশিরের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন জিল্লুরের পিতাসহ
স্বজনরা। এ সময় বশির তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার
পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বশির। ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের বয়স ২২
বছর। সে ছিল সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র। আদম ব্যবসায়ীদের লোভনীয় অফারে পড়ে
সে ট্রলারে ইতালি যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। সে অনুযায়ী সিলেট থেকে রওয়ানাও
দেয়। জিল্লুরের পিতা লেচু মিয়া জানিয়েছেন, নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩৭ জনের নামের
তালিকায় জিল্লুর রহমানেরও নাম রয়েছে এমন খবর জানতে পারেন তারা।
পরে যে দালালের মাধ্যমে জিল্লুর ইউরোপের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন, সেই বশির আহমদ লিলু মিয়ার কাছে যান তারা। বশির বিকে. এয়ার সার্ভিস এবং সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী। সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে মোহিনী ১১২-এ নিশি মঞ্জিলে থাকেন বশির। লেচু মিয়া অভিযোগ করেন, বশির আহমদের কাছে গিয়ে জিল্লুরের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি নানা ভয়ভীতিও দেখান। তিনি জানান, বিকে এয়ার সার্ভিস, সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী বশির আহমদ লিলু মিয়ার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জিল্লুরকে লিবিয়া হয়ে ইতালি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার।
প্রথমে ৮ লাখ টাকায় মৌখিক চুক্তি হলেও পরে লিবিয়া থেকে বিমানযোগে ইতালি পাঠানোর কথা বলে আরো ৪ লাখ টাকা নেন বশির আহমদ। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে টাকা জোগাড় করেন লেচু মিয়া। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে জিল্লুরকে লিবিয়া পাঠান দালাল বশির। কথা ছিল লিবিয়া পৌঁছার পর এক মাসের মধ্যে সেখান থেকে ইতালি পৌঁছাবেন জিল্লুর। ৮ লাখ টাকা আদায়ের পর ‘গেম ঘর’ নামক একটি তালাবদ্ধ ঘরে বেশকিছু যুবকের সঙ্গে রাখা হয় জিল্লুর রহমানকে। ঘরটিতে একটি টয়লেট থাকায় অনেক কষ্ট হয় তাদের। দিনের পর দিন অল্প পরিমাণ খাবার আর গোসল ছাড়াই পরনের কাপড় পরে থাকতে হয় তাদেরকে। ঘটনার পর থেকে বিকে. এয়ার সার্ভিস এবং সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী বশির আহমদ লিলু মিয়া আত্মগোপন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আদম পাচারে জড়িত। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জিল্লু রহমানের বাবা-মা অবিলম্বে দালাল বশিরকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। বশিরদের মতো দালাল যেন আর কাউকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠকাতে না পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান নাম ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’ : সিলেটের কামাল আহমদের মালিকানাধীন ট্রাভেলস ওয়ার্ল্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’ করা হয়েছে। ট্রাভেলস ব্যবসার সময় তিনি কখনো মানব পাচার করেননি বলে জানান কামাল আহমদ। গতকাল তিনি এক লিখিতপত্রে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘আমি একজন আয়কর আইনজীবী এবং সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’। পূর্বে সখের বশবর্তী হয়ে ট্রাভেলস ওয়ার্ল্ড নাম দিয়েছিলাম। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে আমার বিলম্ব হয়েছে। ট্রাভেলস ব্যবসার সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।’
অনুপমা ট্রাভেলস ও আকাশ ভ্রমণ ইন্টারন্যাশনাল বৈধ ট্রাভেলস এজেন্সি : সিলেটের ইদ্রিস মার্কেটের অনুপমা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি একটি বৈধ ট্রাভেলস এজেন্সি।
প্রতিষ্ঠানের মালিক নীপেন্দ্র কুমার দাশ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই তিনি ব্যবসা করছেন। পাশাপাশি তিনি ট্রাভেলস মালিকদের সংগঠন আটাবেরও সদস্য। কয়েকদিন আগে তার প্রতিষ্ঠানে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গিয়েও সব ধরনের বৈধতা পেয়েছেন। নীপেন্দ্র জানান, তিনি মানব পাচারে সম্পৃক্ত নন। কিংবা তার প্রতিষ্ঠান থেকে কখনো এ ধরনের ঘৃণ্যতম ঘটনা ঘটানো হয়নি। একই কথা জানিয়েছেন ইদ্রিস মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী আকাশ ভ্রমণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. তৌফিকুল আলম বাবলু। তিনি বলেন, তিনি সব নিয়ম মেনে বৈধভাবে ব্যবসা করছেন। কখনো তার প্রতিষ্ঠান মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। বর্তমানেও নেই। অবৈধভাবে তিনি ব্যবসা করছেন না। অথচ একটি মহল তার প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ আখ্যায়িত করে ব্যবসায়িক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তিনি মন্ত্রণালয় ও আটাবের অনুমতি নিয়েই ব্যবসা করছেন বলে জানান।
বৈধতা পেয়েছে শাহপরাণ এভিয়েশন: সিলেটের রংমহল টাওয়ারের শাহপরাণ এভিয়েশন প্রায় ৫ মাস আগে বৈধতা পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর এখন তারা আটাবের সদস্য হতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ এভিয়েশনের মালিক এসএম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছে। এছাড়া মানব পাচারের মতো জঘন্য ঘটনার সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানে জড়িত নয়।
পরে যে দালালের মাধ্যমে জিল্লুর ইউরোপের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন, সেই বশির আহমদ লিলু মিয়ার কাছে যান তারা। বশির বিকে. এয়ার সার্ভিস এবং সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী। সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে মোহিনী ১১২-এ নিশি মঞ্জিলে থাকেন বশির। লেচু মিয়া অভিযোগ করেন, বশির আহমদের কাছে গিয়ে জিল্লুরের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি নানা ভয়ভীতিও দেখান। তিনি জানান, বিকে এয়ার সার্ভিস, সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী বশির আহমদ লিলু মিয়ার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জিল্লুরকে লিবিয়া হয়ে ইতালি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার।
প্রথমে ৮ লাখ টাকায় মৌখিক চুক্তি হলেও পরে লিবিয়া থেকে বিমানযোগে ইতালি পাঠানোর কথা বলে আরো ৪ লাখ টাকা নেন বশির আহমদ। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে টাকা জোগাড় করেন লেচু মিয়া। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে জিল্লুরকে লিবিয়া পাঠান দালাল বশির। কথা ছিল লিবিয়া পৌঁছার পর এক মাসের মধ্যে সেখান থেকে ইতালি পৌঁছাবেন জিল্লুর। ৮ লাখ টাকা আদায়ের পর ‘গেম ঘর’ নামক একটি তালাবদ্ধ ঘরে বেশকিছু যুবকের সঙ্গে রাখা হয় জিল্লুর রহমানকে। ঘরটিতে একটি টয়লেট থাকায় অনেক কষ্ট হয় তাদের। দিনের পর দিন অল্প পরিমাণ খাবার আর গোসল ছাড়াই পরনের কাপড় পরে থাকতে হয় তাদেরকে। ঘটনার পর থেকে বিকে. এয়ার সার্ভিস এবং সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী বশির আহমদ লিলু মিয়া আত্মগোপন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আদম পাচারে জড়িত। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জিল্লু রহমানের বাবা-মা অবিলম্বে দালাল বশিরকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। বশিরদের মতো দালাল যেন আর কাউকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠকাতে না পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান নাম ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’ : সিলেটের কামাল আহমদের মালিকানাধীন ট্রাভেলস ওয়ার্ল্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’ করা হয়েছে। ট্রাভেলস ব্যবসার সময় তিনি কখনো মানব পাচার করেননি বলে জানান কামাল আহমদ। গতকাল তিনি এক লিখিতপত্রে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘আমি একজন আয়কর আইনজীবী এবং সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কামাল ট্যাক্স এন্ড এসোসিয়েটস’। পূর্বে সখের বশবর্তী হয়ে ট্রাভেলস ওয়ার্ল্ড নাম দিয়েছিলাম। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে আমার বিলম্ব হয়েছে। ট্রাভেলস ব্যবসার সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।’
অনুপমা ট্রাভেলস ও আকাশ ভ্রমণ ইন্টারন্যাশনাল বৈধ ট্রাভেলস এজেন্সি : সিলেটের ইদ্রিস মার্কেটের অনুপমা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি একটি বৈধ ট্রাভেলস এজেন্সি।
প্রতিষ্ঠানের মালিক নীপেন্দ্র কুমার দাশ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই তিনি ব্যবসা করছেন। পাশাপাশি তিনি ট্রাভেলস মালিকদের সংগঠন আটাবেরও সদস্য। কয়েকদিন আগে তার প্রতিষ্ঠানে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গিয়েও সব ধরনের বৈধতা পেয়েছেন। নীপেন্দ্র জানান, তিনি মানব পাচারে সম্পৃক্ত নন। কিংবা তার প্রতিষ্ঠান থেকে কখনো এ ধরনের ঘৃণ্যতম ঘটনা ঘটানো হয়নি। একই কথা জানিয়েছেন ইদ্রিস মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী আকাশ ভ্রমণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. তৌফিকুল আলম বাবলু। তিনি বলেন, তিনি সব নিয়ম মেনে বৈধভাবে ব্যবসা করছেন। কখনো তার প্রতিষ্ঠান মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। বর্তমানেও নেই। অবৈধভাবে তিনি ব্যবসা করছেন না। অথচ একটি মহল তার প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ আখ্যায়িত করে ব্যবসায়িক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তিনি মন্ত্রণালয় ও আটাবের অনুমতি নিয়েই ব্যবসা করছেন বলে জানান।
বৈধতা পেয়েছে শাহপরাণ এভিয়েশন: সিলেটের রংমহল টাওয়ারের শাহপরাণ এভিয়েশন প্রায় ৫ মাস আগে বৈধতা পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর এখন তারা আটাবের সদস্য হতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ এভিয়েশনের মালিক এসএম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছে। এছাড়া মানব পাচারের মতো জঘন্য ঘটনার সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানে জড়িত নয়।
No comments