টঙ্গী থেকে নোমান আটক
গাজীপুর
সিটি করপোরেশন নির্বাচন হাইকোর্টের রায়ে স্থগিত ঘোষণার পর বিএনপিদলীয় মেয়র
প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ কেন্দ্রীয়
নেতারা ছিলেন। সেই সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার পরই নোমানসহ ১৩
নেতাকর্মীকে আটক করে টঙ্গী থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই হাসান
সরকারের বাসভবনটি ঘিরে রাখে পুলিশ। এতে সেখানে থাকা নেতাকর্মীরাও বাইরে বের
হতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারবেন। এটি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরে নির্বাচন স্থগিতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হলে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন আদায় করে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনা হবে। হাসান সরকারের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, বিশেষ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ওমর ফারুক সাফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইস্রাফিল হোসেন প্রমুখ।
হাসান সরকারের সংবাদ সম্মেলন শেষে আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকায় যাওয়ার পথে একদল পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুর রশিদ, আব্দুস সামাদ, আলাউদ্দিন স্বপন, কাইয়ুম, গাজী মোশাররফ ও ফরিদসহ পথচারী ও বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী থানায় নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসান উদ্দিন সরকারসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনার পর হাসান সরকারের বাসাসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবরুদ্ধ রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. আসাদুজ্জামান রিপন, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ওমর ফারুক সাফিন, ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইস্রাফিল হোসেন, টঙ্গী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর, বশির আহমেদ, জিয়াউল হাসান স্বপন, আজিজুল হক রাজু মাস্টার, আকবর হোসেন ফারুক, জনি, কামাল হোসেন, মোসলেম উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ শতাধিক নেতাকর্মী। আটক নেতাকর্মীদের টঙ্গি থানায় নিয়ে রাখা হয়। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, গ্রেপ্তার করা হলে কেন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে টঙ্গী থানার ওসি কামাল হোসেন মানবজমিনকে বলেন আমি এ সব কিছুই বলতে পারব না।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এটা তার জীবনের শেষ নির্বাচন উল্লেখ করে হাসান সরকার বলেন, আমি গাজীপুরের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং আমার জীবন দিয়ে হলেও এলাকার ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি পরিত্যক্ত কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে তিনি সেখানে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার এই লড়াই, দেশের গণমানুষের জন্য লড়াই। তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করলেন আমি মনে করি জাতীয়তাবাদী দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা আরো ইস্পাত কঠিন প্রত্যয় নিয়ে মাঠে থাকবেন।
হাসান সরকার উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের বয়স এখন ৪০/৫০বছর আপনাদের সৌভাগ্য হয়নি স্বাধীনতার যুদ্ধ করার। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো ইতিহাসের পাতায় আগামী দিনের দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে লড়াই করবেন সেটা হবে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার লড়াই।
তিনি আরো বলেন, আমি আবেদন করবো নির্বাচন কমিশনারের কাছে ১৫ তারিখের মধ্যে সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি নির্বাচন সম্পন্ন না করা হয় তাহলে আমরা সকল লড়াই চালিয়ে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারবেন। এটি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরে নির্বাচন স্থগিতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হলে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন আদায় করে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনা হবে। হাসান সরকারের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, বিশেষ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ওমর ফারুক সাফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইস্রাফিল হোসেন প্রমুখ।
হাসান সরকারের সংবাদ সম্মেলন শেষে আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকায় যাওয়ার পথে একদল পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুর রশিদ, আব্দুস সামাদ, আলাউদ্দিন স্বপন, কাইয়ুম, গাজী মোশাররফ ও ফরিদসহ পথচারী ও বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী থানায় নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসান উদ্দিন সরকারসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনার পর হাসান সরকারের বাসাসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবরুদ্ধ রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. আসাদুজ্জামান রিপন, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ওমর ফারুক সাফিন, ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইস্রাফিল হোসেন, টঙ্গী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর, বশির আহমেদ, জিয়াউল হাসান স্বপন, আজিজুল হক রাজু মাস্টার, আকবর হোসেন ফারুক, জনি, কামাল হোসেন, মোসলেম উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ শতাধিক নেতাকর্মী। আটক নেতাকর্মীদের টঙ্গি থানায় নিয়ে রাখা হয়। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, গ্রেপ্তার করা হলে কেন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে টঙ্গী থানার ওসি কামাল হোসেন মানবজমিনকে বলেন আমি এ সব কিছুই বলতে পারব না।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এটা তার জীবনের শেষ নির্বাচন উল্লেখ করে হাসান সরকার বলেন, আমি গাজীপুরের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং আমার জীবন দিয়ে হলেও এলাকার ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি পরিত্যক্ত কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে তিনি সেখানে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার এই লড়াই, দেশের গণমানুষের জন্য লড়াই। তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করলেন আমি মনে করি জাতীয়তাবাদী দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা আরো ইস্পাত কঠিন প্রত্যয় নিয়ে মাঠে থাকবেন।
হাসান সরকার উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের বয়স এখন ৪০/৫০বছর আপনাদের সৌভাগ্য হয়নি স্বাধীনতার যুদ্ধ করার। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো ইতিহাসের পাতায় আগামী দিনের দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে লড়াই করবেন সেটা হবে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার লড়াই।
তিনি আরো বলেন, আমি আবেদন করবো নির্বাচন কমিশনারের কাছে ১৫ তারিখের মধ্যে সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি নির্বাচন সম্পন্ন না করা হয় তাহলে আমরা সকল লড়াই চালিয়ে যাবো।
No comments