দুর্ঘটনা নয়, হত্যার শিকার চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা
চট্টগ্রামের
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল হাশেম তালুকদার (৫৫)
ওরফে বাচাকে নিজ বাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে পরকীয়া প্রেমিকা জিফু আক্তার।
পুড়িয়ে মারার আগে তাকে জ্যুসের সঙ্গে বিষও খাওয়ানো হয়। বিয়ে করতে অস্বীকার
করায় পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন প্রেমিকা
জিফু আক্তার (৩৮)। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো.
ইমতিয়াজ ভূঁইয়া রোববার দুপুরে মানবজমিনকে এসব তথ্য দেন।
ওসি বলেন, গত শুক্রবার ভোর ৬টায় খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতি এলাকার তালুকদার বাড়ির নিজ ঘর থেকে আবুল হাশেম তালুকদার প্রকাশ বাচার পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘরের ভেতর কিছু কাপড়- চোপড় ও গ্যাস সিলিন্ডার পোড়া দেখা গেলেও ঘরের তেমন ক্ষতি হয়নি।
যা দেখে সন্দেহ জাগে। ফলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পর আলামত সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। পরকীয়া প্রেমিকা জিফু আক্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জিফু আক্তার আবুল হাশেম তালুকদার প্রকাশ বাচার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী। সম্পর্কে চাচী শাশুড়ি হন জিফু। তবে তার বাবার নাম বা বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি ওসি।
ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জিফু আক্তার বাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে নিহত আবুল হাশেম তালুকদার ওরফে বাচার সঙ্গে এ মহিলার অবৈধ দৈহিক সমপর্ক চলে আসছিল। ওই মহিলা তিন সন্তানের মা।
জিফু স্বীকারোক্তিতে বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাচা তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক সমপর্ক গড়ে তুললেও তাকে বিয়ে করার জন্য বললে সে অস্বীকার করে। এছাড়া বাচা জিফু আক্তার বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়ে দিয়েছিল।
যা নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন বাচার বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তানরা না থাকার খবর পেয়ে জিফু আক্তার বাচার ঘরে যায়। সেখানে তারা রাতে দৈহিক মেলামেশাও করেছে। এ সময় জিফু বাচাকে বিয়ে করার কথা বললে বাচা বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।
এরপর বাচা পানি খেতে চাইলে পূর্ব-পরিকল্পনা মতে বাচাকে হত্যার জন্য পানির বদলে একটি জ্যুস খেতে দেয়। এর আগেই জ্যুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখে জিফু। জ্যুস খাওয়ার পর বাচা ঢলে পড়লে জিফু ঘরের সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, গত শুক্রবার ভোর ৬টায় খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতি এলাকার তালুকদার বাড়ির নিজ ঘর থেকে আবুল হাশেম তালুকদার প্রকাশ বাচার পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘরের ভেতর কিছু কাপড়- চোপড় ও গ্যাস সিলিন্ডার পোড়া দেখা গেলেও ঘরের তেমন ক্ষতি হয়নি।
যা দেখে সন্দেহ জাগে। ফলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পর আলামত সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। পরকীয়া প্রেমিকা জিফু আক্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জিফু আক্তার আবুল হাশেম তালুকদার প্রকাশ বাচার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী। সম্পর্কে চাচী শাশুড়ি হন জিফু। তবে তার বাবার নাম বা বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি ওসি।
ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জিফু আক্তার বাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে নিহত আবুল হাশেম তালুকদার ওরফে বাচার সঙ্গে এ মহিলার অবৈধ দৈহিক সমপর্ক চলে আসছিল। ওই মহিলা তিন সন্তানের মা।
জিফু স্বীকারোক্তিতে বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাচা তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক সমপর্ক গড়ে তুললেও তাকে বিয়ে করার জন্য বললে সে অস্বীকার করে। এছাড়া বাচা জিফু আক্তার বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়ে দিয়েছিল।
যা নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন বাচার বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তানরা না থাকার খবর পেয়ে জিফু আক্তার বাচার ঘরে যায়। সেখানে তারা রাতে দৈহিক মেলামেশাও করেছে। এ সময় জিফু বাচাকে বিয়ে করার কথা বললে বাচা বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।
এরপর বাচা পানি খেতে চাইলে পূর্ব-পরিকল্পনা মতে বাচাকে হত্যার জন্য পানির বদলে একটি জ্যুস খেতে দেয়। এর আগেই জ্যুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখে জিফু। জ্যুস খাওয়ার পর বাচা ঢলে পড়লে জিফু ঘরের সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
No comments