পোরশায় ২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল by ডিএম রাশেদ পোরশা
নওগাঁর
পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে।
উপজেলায় প্রায় ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে মাত্র ২ জন চিকিৎসক চরম
হিমশিম খাচ্ছেন। অপরদিকে, ৫ বছর ধরে শুধু কাগজে-কলমেই ৫০ শয্যার হাসপাতাল
হিসাবে চলছে। প্রায় ৮ বছর আগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য
অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এবং ৫ বছর আগে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করার
জন্য তার উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ৫ বছর পরেও এখনো তার কার্যক্রম
শুরুই করা হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালটি শুধুমাত্র কাগজ কলমে ৫০ শয্যা হিসেবে
চলছে। হাসপাতালটিতে ৩১ শয্যার জনবলই পূরণ নেই। তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে
পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
জানা যায়, পোরশা উপজেলার নিতপুর সদরে ১৯৭০ সালে নির্মিত ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে বিভিন্ন পদে পর্যাপ্ত জনবল কখনোই পূরণ ছিল না। এমনকি হাসপাতালটি যখন ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় তখনও কোনো পদই পূরণ ছিল না। এ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং ২০১০ সালে ৫০ শয্যার সকল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। অবকাঠামো তৈরি করার ৩ বছর পর ২০১৩ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। ৫০ শয্যা হাসপাতাল উদ্বোধনের ৫ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত তার কোনো কার্যক্রম শুরুই করা হয়নি। দেওয়া হয়নি ৫০ শয্যার কোনো যন্ত্রপাতি এবং লোকবল। বর্তমানে হাসপাতালটির গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি বিভিন্ন পদের বিপরীতে মাত্র ১৮ জন লোকবল রয়েছে, যা উপজেলার প্রায় ২ লাখ জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা দেওয়া অসম্ভব।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি পদে মাত্র ১৮টি পদ পূরণ রয়েছে। বাকি ৩৮টি পদ অনেক দিন থেকে শূন্য অবস্থায় রয়েছে। পদগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ মেডিকেল অফিসার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে যারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গুরুত্বপূণ্য এ পদে সর্বমোট ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২ জন চিকিৎসক। অফিস সহকারী ৩ জনের পদ থাকলেও এ পদে একজনও নেই। এমএলএসএস পদে ৬ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও এ পদে মাত্র ১ জন রয়েছেন। আয়া ২টি পদে একজনও নেই। পরিসংখ্যানবিদ না থাকায় একজন সিএইচসিপি দিয়ে কাজটি পার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সহকারী ২০ জনের স্থানে রয়েছে মাত্র ১২ জন। ইপিআই টেকনিশিয়ান মারা যাওয়ার পর এ পদটিও খালি অবস্থায় রয়েছে। জরুরি বিভাগে ১টি পদ খালি রয়েছে। সুইপার পদে ৫ জনের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১ জন। যে কারণে উপজেলার ২ লাখ জনসাধারণকে আশানুরূপ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। এ ব্যাপারে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইবনে ইমাম জানান, ৩১ থেকে ৫০ শর্যায় উন্নীত হলেও এর কার্যক্রম চালু না হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, লোকবল সংকটের কারণে প্রায় ২ লাখ জনগণের চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে কম সংখ্যক জনবল দিয়ে এতগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চত করা অনেক কঠিন কাজ। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে ৩১ শয্যার জনবলই নেই। তাই এখানে জরুরিভাবে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলেও জানান।
জানা যায়, পোরশা উপজেলার নিতপুর সদরে ১৯৭০ সালে নির্মিত ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে বিভিন্ন পদে পর্যাপ্ত জনবল কখনোই পূরণ ছিল না। এমনকি হাসপাতালটি যখন ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় তখনও কোনো পদই পূরণ ছিল না। এ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং ২০১০ সালে ৫০ শয্যার সকল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। অবকাঠামো তৈরি করার ৩ বছর পর ২০১৩ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। ৫০ শয্যা হাসপাতাল উদ্বোধনের ৫ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত তার কোনো কার্যক্রম শুরুই করা হয়নি। দেওয়া হয়নি ৫০ শয্যার কোনো যন্ত্রপাতি এবং লোকবল। বর্তমানে হাসপাতালটির গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি বিভিন্ন পদের বিপরীতে মাত্র ১৮ জন লোকবল রয়েছে, যা উপজেলার প্রায় ২ লাখ জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা দেওয়া অসম্ভব।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি পদে মাত্র ১৮টি পদ পূরণ রয়েছে। বাকি ৩৮টি পদ অনেক দিন থেকে শূন্য অবস্থায় রয়েছে। পদগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ মেডিকেল অফিসার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে যারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গুরুত্বপূণ্য এ পদে সর্বমোট ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২ জন চিকিৎসক। অফিস সহকারী ৩ জনের পদ থাকলেও এ পদে একজনও নেই। এমএলএসএস পদে ৬ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও এ পদে মাত্র ১ জন রয়েছেন। আয়া ২টি পদে একজনও নেই। পরিসংখ্যানবিদ না থাকায় একজন সিএইচসিপি দিয়ে কাজটি পার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সহকারী ২০ জনের স্থানে রয়েছে মাত্র ১২ জন। ইপিআই টেকনিশিয়ান মারা যাওয়ার পর এ পদটিও খালি অবস্থায় রয়েছে। জরুরি বিভাগে ১টি পদ খালি রয়েছে। সুইপার পদে ৫ জনের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১ জন। যে কারণে উপজেলার ২ লাখ জনসাধারণকে আশানুরূপ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। এ ব্যাপারে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইবনে ইমাম জানান, ৩১ থেকে ৫০ শর্যায় উন্নীত হলেও এর কার্যক্রম চালু না হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, লোকবল সংকটের কারণে প্রায় ২ লাখ জনগণের চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে কম সংখ্যক জনবল দিয়ে এতগুলো মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চত করা অনেক কঠিন কাজ। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে ৩১ শয্যার জনবলই নেই। তাই এখানে জরুরিভাবে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলেও জানান।
No comments