নানিয়ারচর মার্ডার: চারদিনেও মামলা হয়নি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু আজ by আলমগীর মানিক
রাঙ্গামাটির
নানিয়ারচরে ২৪ ঘণ্টায় ছয় হত্যাকাণ্ডের পর পাহাড়জুড়ে নেমে আসা থমথমে
পরিস্থিতির অবসান হয়নি। চার দিকে বিরাজ করছে এক অজানা আতঙ্ক। বিবদমান
সশস্ত্র আঞ্চলিক দলগুলোর দ্বন্দ্ব কোন সময় কোন দিকে মোড় নেয় এ নিয়ে চরম
দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে পাহাড়ের মানুষ। এদিকে আজ থেকে সন্ত্রাসীদের
ধরতে চিরুনী অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এই খবরে পাহাড়ি
গ্রামগুলোতে পুরুষ সদস্যরা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানিয়েছে বেশ
কয়েকটি স্থানীয় সূত্র।
রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জের জিওসি। তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল রেকি করাসহ স্থানীয়দের বক্তব্য নিয়েছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
পক্ষান্তরে সোম ও মঙ্গলবার পার্বত্য তিন জেলায় ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতাল কর্মসূচির সমর্থনে গতকাল, ঝটিকা মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। তারা অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারসহ অপহৃত তিন বাঙালি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে।
ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও কোনো মামলা না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হলেও পুলিশ বাদী হয়ে এখন পর্যন্ত কেন মামলা হচ্ছে না’ বিষয়টি বোধগম্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানিয়েছেন, মামলার ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না? প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
তার আগে, শনিবার নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, পরপর দুটি ঘটনায় নিহত নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা গ্রুপ) সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমা এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ নিহত অন্যদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মামলা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা মামলা দায়ের করবে কি না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, শনিবারের মধ্যে যদি ভিকটিমদের পরিবার মামলা না করে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। দুদিনে ৬ জনকে হত্যার পর সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। তবে পুরো নানিয়ারচর এলাকায় যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩রা এপ্রিল নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা চেয়্যারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন করেছে রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবী সমিতি। মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটিতে কোনো মামলা করা হলে সেই আসামিদের পক্ষে রাঙ্গামাটি বারের কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াবে না।
পাহাড়ের অব্যাহত সন্ত্রাস, চাঁদাজাজি, গুম-খুন, অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী আঞ্চলিক দল জেএসএস, ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। এর আগে বাঙালি ছাত্র পরিষদের ডাকে রোববার পার্বত্য চট্টগ্রামে কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এদিকে, বিকালে রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হরতাল কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন। দলটির জেলা সভাপতি ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর মোল্লার নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসাইন সাকিব বলেন, বাঙালি গাড়ি চালক সজীব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, মানিকছড়ি থেকে অপহৃত তিন বাঙালিকে উদ্ধার ও সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী আঞ্চলিক দল জেএসএস-ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ এই তিন দফা দাবিতে সোমবার পাহাড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
এদিকে পাহাড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে উদ্যোগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটিরর কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও জনগণকে শান্ত থেকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলাপূর্বক পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জের জিওসি। তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল রেকি করাসহ স্থানীয়দের বক্তব্য নিয়েছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
পক্ষান্তরে সোম ও মঙ্গলবার পার্বত্য তিন জেলায় ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতাল কর্মসূচির সমর্থনে গতকাল, ঝটিকা মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। তারা অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারসহ অপহৃত তিন বাঙালি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে।
ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও কোনো মামলা না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হলেও পুলিশ বাদী হয়ে এখন পর্যন্ত কেন মামলা হচ্ছে না’ বিষয়টি বোধগম্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানিয়েছেন, মামলার ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না? প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
তার আগে, শনিবার নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, পরপর দুটি ঘটনায় নিহত নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা গ্রুপ) সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমা এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ নিহত অন্যদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মামলা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা মামলা দায়ের করবে কি না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, শনিবারের মধ্যে যদি ভিকটিমদের পরিবার মামলা না করে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। দুদিনে ৬ জনকে হত্যার পর সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। তবে পুরো নানিয়ারচর এলাকায় যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩রা এপ্রিল নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা চেয়্যারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন করেছে রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবী সমিতি। মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটিতে কোনো মামলা করা হলে সেই আসামিদের পক্ষে রাঙ্গামাটি বারের কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াবে না।
পাহাড়ের অব্যাহত সন্ত্রাস, চাঁদাজাজি, গুম-খুন, অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী আঞ্চলিক দল জেএসএস, ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। এর আগে বাঙালি ছাত্র পরিষদের ডাকে রোববার পার্বত্য চট্টগ্রামে কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এদিকে, বিকালে রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হরতাল কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন। দলটির জেলা সভাপতি ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর মোল্লার নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসাইন সাকিব বলেন, বাঙালি গাড়ি চালক সজীব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, মানিকছড়ি থেকে অপহৃত তিন বাঙালিকে উদ্ধার ও সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী আঞ্চলিক দল জেএসএস-ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ এই তিন দফা দাবিতে সোমবার পাহাড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
এদিকে পাহাড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে উদ্যোগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটিরর কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও জনগণকে শান্ত থেকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলাপূর্বক পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
No comments