তরুণীকে চাকরির প্রলোভনে বিক্রি দেড় মাস পর মিলল কবর
ফেনীর
ফুলগাজী থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জাহেদা খাতুন (২১) নামে এক তরুণীকে
অপহরণ করে বিক্রি করে দেয় এক দম্পতি। ওই তরুণীকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার দেড়
মাস পর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে তার কবর শনাক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত
ফৌজদারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. হেলাল উদ্দিন (৫৩) ও বিবি কুলসুমা
আকতার (২৬) দম্পতি মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়েছে।
নিহত জাহেদা খাতুনের ভাই গাড়ি চালক হুমায়ুন জানায়, গত ২৪শে মার্চ ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন গাবতলা গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন তার বোন জাহেদা খাতুন (২১)। পরে জানতে পারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জাহেদা খাতুনকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে সীতাকুন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হুমায়ুন ফুলগাজী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গত ৮ই এপ্রিল একটি মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি জাহেদার ভাইকে ফোন করে জাহেদার মৃত্যুর খবর জানায়। এরপর ৩টি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তার বোনের লাশ নিতে যেতে বলে। পরে পুলিশকে তিনি বিষয়টি অবগত করেন।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত সোমবার সীতাকুন্ড থেকে মো. হেলাল উদ্দিন ও বিবি কুলসুমা আকতার নামে এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাহেদা বেগমের কবর শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় মামলা করেছেন।
আটককৃত কুলসুমা আক্তার পুলিশ হেফাজতে বলেন, ‘আমি তাকে নিয়ে নুর আলমের কাছে দিয়েছি। নুর আলম নিজে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে তারপর মানুষ দিয়ে করিয়েছে। সে তাকে খোকনের হাতে দিয়েছে। সেখানে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট সংক্রমণব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হাসপাতালের এন্টি খাতায় তার স্বামী হেলাল উদ্দিন নিজের নাম জসিম উদ্দিন উল্লেখ করে বোন পরিচয় দিয়ে জাহেদা খাতুনের নাম সাহেদা আকতার লেখেন। হাসপতালে দুইদিন থাকার পর জাহেদা খাতুন মারা গেলে তার লাশ চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকার একটি পুকুর পাড়ে পুঁতে ফেলি।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তারা কিভাবে অপহরণ করেছে, কোথায়, কারা ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং মারা যাওয়ার পর যেখানে তার লাশ পুঁতে ফেলা হয় সেই জায়গাটাও আমাদের দেখিয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা লাশ উঠানোর ব্যবস্থা করবো।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিবি কুলসুমা জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত জাহেদা খাতুনের ভাই গাড়ি চালক হুমায়ুন জানায়, গত ২৪শে মার্চ ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন গাবতলা গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন তার বোন জাহেদা খাতুন (২১)। পরে জানতে পারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জাহেদা খাতুনকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে সীতাকুন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হুমায়ুন ফুলগাজী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গত ৮ই এপ্রিল একটি মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি জাহেদার ভাইকে ফোন করে জাহেদার মৃত্যুর খবর জানায়। এরপর ৩টি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তার বোনের লাশ নিতে যেতে বলে। পরে পুলিশকে তিনি বিষয়টি অবগত করেন।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত সোমবার সীতাকুন্ড থেকে মো. হেলাল উদ্দিন ও বিবি কুলসুমা আকতার নামে এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাহেদা বেগমের কবর শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় মামলা করেছেন।
আটককৃত কুলসুমা আক্তার পুলিশ হেফাজতে বলেন, ‘আমি তাকে নিয়ে নুর আলমের কাছে দিয়েছি। নুর আলম নিজে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে তারপর মানুষ দিয়ে করিয়েছে। সে তাকে খোকনের হাতে দিয়েছে। সেখানে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট সংক্রমণব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হাসপাতালের এন্টি খাতায় তার স্বামী হেলাল উদ্দিন নিজের নাম জসিম উদ্দিন উল্লেখ করে বোন পরিচয় দিয়ে জাহেদা খাতুনের নাম সাহেদা আকতার লেখেন। হাসপতালে দুইদিন থাকার পর জাহেদা খাতুন মারা গেলে তার লাশ চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকার একটি পুকুর পাড়ে পুঁতে ফেলি।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তারা কিভাবে অপহরণ করেছে, কোথায়, কারা ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং মারা যাওয়ার পর যেখানে তার লাশ পুঁতে ফেলা হয় সেই জায়গাটাও আমাদের দেখিয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা লাশ উঠানোর ব্যবস্থা করবো।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিবি কুলসুমা জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
No comments