হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
হাড্ডাহাড্ডি
লড়াই। ড. মাহাথির মোহাম্মদ কি মসনদে ফিরছেন? নাকি প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল
থাকবেন নাজিব রাজাক। ৬১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হলো মালয়েশিয়ায়। গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে নাজিব
রাজাকের দল পেয়েছে ৫৩ আসন। মাহাথিরের নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৬০ আসন।
এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা আভাস দিচ্ছেন ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকেও যেতে পারে মালয়েশিয়া। তাতে কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে ইসলামপন্থি পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়া (পিএএস)। নির্বাচনের ফল যখন দোলাচলে দুলছিল তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, তার জোট বিজয়ী না হলে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হতেও প্রস্তুত। নির্বাচনে নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ ও নাজিব রাজাক।
বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। তখনও বাইরে বিপুলসংখ্যক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে। তাদের ভোট দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আহ্বান জানায় বিরোধী দল। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি সরকার বা নির্বাচন কমিশন। এতে নাখোশ হন মাহাথির মোহাম্মদ। ৬১ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করে মালয়েশিয়া। তারপর থেকে সেখানে ক্ষমতায় বারিশান ন্যাশনাল (বিএন) জোট। তবে এই প্রথমবার তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এবার ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তারই রাজনৈতিক গুরু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। মালয়েশিয়ায় পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনমনে ক্ষোভ আছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় তহবিলের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে। এগুলো এবার তার জনপ্রিয়তায় আঘাত করে। তাই নির্বাচন চলাকালে জনমত জরিপে দেখা যায় বিএন পার্টির সমর্থনে ধস নামতে পারে। বেশির ভাগ ভোট পেতে পারে মাহাথিরের জোট পাকাতান হারাপান (এলায়েন্স অব হোপ)।
মালয়েশিয়ার নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে দল ২২২ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কমপক্ষে ১১২টি আসন পাবে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এমনটা নাগালের মধ্যে থাকতে পারে নাজিবের এমন পূর্বাভাস দেন অনেক বিশ্লেষক। সিঙ্গাপুরে এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মালয়েশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নওয়াব মোহাম্মদ ওসমান বলেন, বিএন জোট জিততে পারে। যদি জেতে তাহলে ব্যবধান হবে খুবই সামান্য। ভোট চলাকালে অনেক ভোটার অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইন। এজন্য তাদেরকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। ফলে বিরোধীরা ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ অবস্থায় ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি তাতে লিখেছেন, আমি রিপোর্ট পাচ্ছি নির্বাচন কেন্দ্র থেকে। তাতে বলা হচ্ছে, বহু ভোটার ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যথেষ্ট ফলপ্রসূ নয়। গত মধ্যরাতের দিকে নির্বাচনের ফল পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ ফল বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ পাওয়া যাওয়ার কথা। ওদিকে নির্বাচনের ঠিক আগে নিরপেক্ষ জরিপকারী প্রতিষ্ঠান মারডেকা সেন্টার মঙ্গলবার একটি জরিপ চালায়। তাতে দেখা যায় পার্লামেন্টের ১০০ আসনে বিজয়ী হতে পারে বিএন। আর বিরোধীরা পেতে পারেন ৮৩ আসন। এমনটা হলে কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ভর করতে হবে পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়ার (পিএএস) ওপর। আর এই অবস্থায় কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে ওই দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন পিএএস গত নির্বাচনে যে ২১টি আসন পেয়েছিল এবার তা কমে যেতে পারে। তবুও সরকার গঠনে তাদের ভূমিকা থাকবে। গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালয়েশিয়ার দ্য স্ট্রেইট টাইমস লিখেছে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সমানে সমানে এগিয়ে যাচ্ছিল ক্ষমতাসীন বারিশান ন্যাশনাল (বিএন) ও বিরোধী দলীয় জোট পাকাতান হারাপান (পিএইচ)। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনানুষ্ঠানিক ফলে নির্বাচনের ফল যেন সরল দোলকের মতো দুলতে থাকে। একবার পাল্লা ভারি হয় বিএন’র। কিছুক্ষণ পরেই তা ঝুলে যায় পিএইচ’র দিকে। সারাওয়াকে বিএন’র শক্ত ঘাঁটি। সেখান থেকে বেশকিছু আসনে পিএইচ বিজয়ী হতে পারে বলে দৃশ্যত বোঝা যাচ্ছিল। এমন আসনের মধ্যে রয়েছে মাস গাডিং, সারাতোক, সেলাঙ্গর ও পুনকাক বোরনিও। বারিশান ন্যাশনালের বেশকিছু ওয়ার্ডেও হানা দিয়েছে মাহাথির মোহাম্মদের পিএইচ। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী তাদের আসন হারিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান কংগ্রেস (এমআইসি) প্রেসিডেন্ট সুব্রামানিয়াম সতাশিবম, মালয়েশিয়ান চাইনিজ এসোসিয়েশনের (এমসিএ)’র চুয়া টি ইয়ং। এমসিএ প্রেসিডেন্ট ও পরিবহন মন্ত্রী লিওউ টিওয় লাই তার আসনে পরাজিত হয়েছেন।
এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা আভাস দিচ্ছেন ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকেও যেতে পারে মালয়েশিয়া। তাতে কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে ইসলামপন্থি পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়া (পিএএস)। নির্বাচনের ফল যখন দোলাচলে দুলছিল তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, তার জোট বিজয়ী না হলে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হতেও প্রস্তুত। নির্বাচনে নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ ও নাজিব রাজাক।
বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। তখনও বাইরে বিপুলসংখ্যক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে। তাদের ভোট দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আহ্বান জানায় বিরোধী দল। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি সরকার বা নির্বাচন কমিশন। এতে নাখোশ হন মাহাথির মোহাম্মদ। ৬১ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করে মালয়েশিয়া। তারপর থেকে সেখানে ক্ষমতায় বারিশান ন্যাশনাল (বিএন) জোট। তবে এই প্রথমবার তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এবার ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তারই রাজনৈতিক গুরু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। মালয়েশিয়ায় পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনমনে ক্ষোভ আছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় তহবিলের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে। এগুলো এবার তার জনপ্রিয়তায় আঘাত করে। তাই নির্বাচন চলাকালে জনমত জরিপে দেখা যায় বিএন পার্টির সমর্থনে ধস নামতে পারে। বেশির ভাগ ভোট পেতে পারে মাহাথিরের জোট পাকাতান হারাপান (এলায়েন্স অব হোপ)।
মালয়েশিয়ার নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে দল ২২২ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কমপক্ষে ১১২টি আসন পাবে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এমনটা নাগালের মধ্যে থাকতে পারে নাজিবের এমন পূর্বাভাস দেন অনেক বিশ্লেষক। সিঙ্গাপুরে এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মালয়েশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নওয়াব মোহাম্মদ ওসমান বলেন, বিএন জোট জিততে পারে। যদি জেতে তাহলে ব্যবধান হবে খুবই সামান্য। ভোট চলাকালে অনেক ভোটার অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইন। এজন্য তাদেরকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। ফলে বিরোধীরা ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ অবস্থায় ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি তাতে লিখেছেন, আমি রিপোর্ট পাচ্ছি নির্বাচন কেন্দ্র থেকে। তাতে বলা হচ্ছে, বহু ভোটার ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যথেষ্ট ফলপ্রসূ নয়। গত মধ্যরাতের দিকে নির্বাচনের ফল পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ ফল বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ পাওয়া যাওয়ার কথা। ওদিকে নির্বাচনের ঠিক আগে নিরপেক্ষ জরিপকারী প্রতিষ্ঠান মারডেকা সেন্টার মঙ্গলবার একটি জরিপ চালায়। তাতে দেখা যায় পার্লামেন্টের ১০০ আসনে বিজয়ী হতে পারে বিএন। আর বিরোধীরা পেতে পারেন ৮৩ আসন। এমনটা হলে কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ভর করতে হবে পার্টি ইসলাম সে-মালয়েশিয়ার (পিএএস) ওপর। আর এই অবস্থায় কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে ওই দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন পিএএস গত নির্বাচনে যে ২১টি আসন পেয়েছিল এবার তা কমে যেতে পারে। তবুও সরকার গঠনে তাদের ভূমিকা থাকবে। গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালয়েশিয়ার দ্য স্ট্রেইট টাইমস লিখেছে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সমানে সমানে এগিয়ে যাচ্ছিল ক্ষমতাসীন বারিশান ন্যাশনাল (বিএন) ও বিরোধী দলীয় জোট পাকাতান হারাপান (পিএইচ)। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনানুষ্ঠানিক ফলে নির্বাচনের ফল যেন সরল দোলকের মতো দুলতে থাকে। একবার পাল্লা ভারি হয় বিএন’র। কিছুক্ষণ পরেই তা ঝুলে যায় পিএইচ’র দিকে। সারাওয়াকে বিএন’র শক্ত ঘাঁটি। সেখান থেকে বেশকিছু আসনে পিএইচ বিজয়ী হতে পারে বলে দৃশ্যত বোঝা যাচ্ছিল। এমন আসনের মধ্যে রয়েছে মাস গাডিং, সারাতোক, সেলাঙ্গর ও পুনকাক বোরনিও। বারিশান ন্যাশনালের বেশকিছু ওয়ার্ডেও হানা দিয়েছে মাহাথির মোহাম্মদের পিএইচ। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী তাদের আসন হারিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান কংগ্রেস (এমআইসি) প্রেসিডেন্ট সুব্রামানিয়াম সতাশিবম, মালয়েশিয়ান চাইনিজ এসোসিয়েশনের (এমসিএ)’র চুয়া টি ইয়ং। এমসিএ প্রেসিডেন্ট ও পরিবহন মন্ত্রী লিওউ টিওয় লাই তার আসনে পরাজিত হয়েছেন।
No comments