১৮ বাড়ির ১১টিতেই মশার লার্ভা! by শাহেদ শফিক
ঢাকা
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি বাড়িতে অনুসন্ধান চালিয়ে ১১টিতেই
মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ডিএসসিসি’র মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত
সংশ্লিষ্ট কমিটি ধানমন্ডি,কলাবাগান,পরিবাগ ও অ্যালিফ্যান্ট রোডে পৃথক
তিনটি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন চিত্র পেয়েছে। পরিস্থিতি দেখে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন,
এরকম চিত্র যদি সব জায়গায়ই হয় তাহলে নগরবাসীর মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি
পাওয়া অনেক কঠিন হবে এবং চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ এবারও ছড়িয়ে
পড়বে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগের প্রকোপ থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে কমিটি গঠন করে ডিএসসিসি। এর মধ্যে অঞ্চল-১ এর কমিটির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে মশার লার্ভা পাওয়ার এ চিত্র উঠে এসেছে। গত ৭ মে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সংস্থাটির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মোস্তফা কামাল মজুমদার (উপসচিব)স্বাক্ষর করে প্রতিবেদনটি পাঠান।
বাংলা ট্রিবিউনের হাতে আসা ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর কমিটি অঞ্চলটির ১৮টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। তারা ১১টি বাড়িতেই মশার লার্ভা পেয়েছেন। এসব বাড়ির পানির ড্রাম,ফুলের টব, ঘরের আশেপাশে পড়ে থাকা মাটির ভাঙা হাঁড়ি-পাতিল,পরিত্যাক্ত কলসি, বালতি,বোতল, কনটেইনার, টায়ার,পলিথিন ব্যাগ,ছোট-বড় গর্ত,নালা ও পুকুরে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা রয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটি গত ৮ এপ্রিল সংস্থাটির অঞ্চল-১ এর ১৫ নং ওয়ার্ডের ৭টি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে যে সব বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেছে, সঙ্গে সঙ্গে সেসব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ির মালিকদের তাদের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন বাড়ি মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়।
একই অবস্থা দেখা গেছে কলাবাগান এলাকাতেও। গত ২২ এপ্রিল এ এলাকার ৬টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। ৬টি বাড়ির মধ্যে ৪টি বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা ধ্বংস করে বাড়ির মালিকদের প্রতিনিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ৪৫ নম্বর বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী রাস্তা ও ড্রেনে ফেলে রাখায় ও উত্তর ধানমন্ডির ১১৮ নম্বর বাড়িতে অবৈধ ওষধ কারখানা পাওয়া যাওয়ায় বাড়ির মালিকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
ডিএসসিসির ২১ নং ওয়ার্ডে শাহবাগের পরিবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকায়ও একই অবস্থা দেখা গেছে। গত ৬ মে কমিটির সদস্যরা এলাকাগুলোর ৪টি বাড়ি পরিদর্শন করে প্রতিটি বাড়িতেই মশার লার্ভা পেয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের এ প্রতিবেদনটি দেখে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, এরকম চিত্র যদি সব জায়গায়ই হয় তাহলে নগরবাসীর মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন হবে। তাদের আশঙ্কা, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ এবারও ছড়িয়ে পড়বে।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ের দিকে নগরজুড়ে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর ক্র্যাশ পোগ্রাম গ্রহণ,তথ্য জানাতে আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি সংস্থাটি অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের বিশেষ কার্যক্রম হাতে নয়। প্রতিবছর পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পাশাপাশি জেল জরিমানা ও সচেতনতামূলক নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে সিটি করপোরেশন। এজন্য মশার প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মশাবাহিত নানা রোগ।
এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বছর মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আমরা ব্যাপক সর্তকতা অবলম্বন করছি। প্রতিটি অঞ্চলে এডিশ মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি করে কমিটি দিয়েছি। কমিটি প্রতিনিয়ত আমাদের রিপোর্ট করছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বুধবার রাতে একাধিকবার ফোন করলেও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল মজুমদারকে (উপসচিব) পাওয়া যায়নি।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগের প্রকোপ থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে কমিটি গঠন করে ডিএসসিসি। এর মধ্যে অঞ্চল-১ এর কমিটির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে মশার লার্ভা পাওয়ার এ চিত্র উঠে এসেছে। গত ৭ মে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সংস্থাটির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মোস্তফা কামাল মজুমদার (উপসচিব)স্বাক্ষর করে প্রতিবেদনটি পাঠান।
বাংলা ট্রিবিউনের হাতে আসা ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর কমিটি অঞ্চলটির ১৮টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। তারা ১১টি বাড়িতেই মশার লার্ভা পেয়েছেন। এসব বাড়ির পানির ড্রাম,ফুলের টব, ঘরের আশেপাশে পড়ে থাকা মাটির ভাঙা হাঁড়ি-পাতিল,পরিত্যাক্ত কলসি, বালতি,বোতল, কনটেইনার, টায়ার,পলিথিন ব্যাগ,ছোট-বড় গর্ত,নালা ও পুকুরে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা রয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটি গত ৮ এপ্রিল সংস্থাটির অঞ্চল-১ এর ১৫ নং ওয়ার্ডের ৭টি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে যে সব বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেছে, সঙ্গে সঙ্গে সেসব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ির মালিকদের তাদের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন বাড়ি মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়।
একই অবস্থা দেখা গেছে কলাবাগান এলাকাতেও। গত ২২ এপ্রিল এ এলাকার ৬টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। ৬টি বাড়ির মধ্যে ৪টি বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা ধ্বংস করে বাড়ির মালিকদের প্রতিনিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ৪৫ নম্বর বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী রাস্তা ও ড্রেনে ফেলে রাখায় ও উত্তর ধানমন্ডির ১১৮ নম্বর বাড়িতে অবৈধ ওষধ কারখানা পাওয়া যাওয়ায় বাড়ির মালিকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
ডিএসসিসির ২১ নং ওয়ার্ডে শাহবাগের পরিবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকায়ও একই অবস্থা দেখা গেছে। গত ৬ মে কমিটির সদস্যরা এলাকাগুলোর ৪টি বাড়ি পরিদর্শন করে প্রতিটি বাড়িতেই মশার লার্ভা পেয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের এ প্রতিবেদনটি দেখে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, এরকম চিত্র যদি সব জায়গায়ই হয় তাহলে নগরবাসীর মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন হবে। তাদের আশঙ্কা, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ এবারও ছড়িয়ে পড়বে।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ের দিকে নগরজুড়ে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর ক্র্যাশ পোগ্রাম গ্রহণ,তথ্য জানাতে আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি সংস্থাটি অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের বিশেষ কার্যক্রম হাতে নয়। প্রতিবছর পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পাশাপাশি জেল জরিমানা ও সচেতনতামূলক নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে সিটি করপোরেশন। এজন্য মশার প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মশাবাহিত নানা রোগ।
এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বছর মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আমরা ব্যাপক সর্তকতা অবলম্বন করছি। প্রতিটি অঞ্চলে এডিশ মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি করে কমিটি দিয়েছি। কমিটি প্রতিনিয়ত আমাদের রিপোর্ট করছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বুধবার রাতে একাধিকবার ফোন করলেও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল মজুমদারকে (উপসচিব) পাওয়া যায়নি।
No comments