লাল-সবুজের নিশানা নিয়ে মহাকাশে বাংলাদেশ by কাজী সোহাগ
আবহাওয়া
অনুকূলে থাকলে আজ রাতেই মহাকাশে ডানা মেলবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর
ফলে যোগাযোগের এক নতুন মহাকাশ উন্মোচিত হবে বাংলাদেশের জন্য। ডিটিএইচ
(ডাইরেক্ট টু হোম), স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সমপ্রচার এবং ইন্টারনেটসহ আরো
নানাবিধ কমিউনিকেশন সেবায় ব্যবহৃত হবে স্যাটেলাইটটি। যুক্তরাষ্ট্রের
বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ ফ্লোরিডার
স্থানীয় সময় ১০ই মে বিকাল ৪টা ১২ মিনিট থেকে ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে
(বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিট)
বঙ্গবন্ধু-১ এর উৎক্ষেপণের সময় ঠিক করেছে বলে কেনেডি স্পেস সেন্টারের
বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫
সংস্করণ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটের পথে
ছুটবে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি অরবিটে পৌঁছতেই তিন সপ্তাহ লাগবে।
উৎক্ষেপণের পর ইন-অরবিট টেস্ট বা আইওটি শেষে ৩ মাস পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
থেকে সেবা পাওয়া যাবে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি
গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড
স্টেশনটি ব্যাকআপ স্টেশনে হবে। মূলত কাজ হবে জয়দেবপুরের স্টেশনেই।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস
ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো
বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট
উৎক্ষেপণের জন্য প্রথমে গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন
আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এরপর ৪ঠা মে
উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়। কিন্তু এপ্রিলের শেষে এক অনুষ্ঠানে
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, উৎক্ষেপণ
পিছিয়ে গেছে অন্তত ৭ই মে পর্যন্ত। আবহওয়া অনুকূলে না থাকায় সেই তারিখ আবার
পিছিয়ে এখন ১০ই মে সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে। সরকারের আশা, বর্তমানে
বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহ
উৎক্ষেপণের সেই অর্থ সাশ্রয় হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার
থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া
দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এদিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
দেখতে আগ্রহীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার। এ
উপলক্ষে সোমবার ফ্লোরিডা গেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (সাবেক
টেলিকম প্রতিমন্ত্রী), তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান
মাহমুদ। ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার আগে শাহজাহান মাহমুদ জানান, ১০ তারিখ ধরে সব
প্রস্তুতি নেয়া হলেও এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং কারিগরি বিষয়গুলো খুব
গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্ট ডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে
গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে। বিটিআরসি জানিয়েছে, স্পেসএক্স এবারই
প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে তাদের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ ব্যবহার
করতে যাচ্ছে। গত ৪ঠা মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের
স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়। তিন হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি
কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে
কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে। এই লঞ্চ
কমপ্লেক্স থেকেই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।
যেভাবে কক্ষপথে যাবে লাল-সবুজের স্যাটেলাইট: গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে। একই ধরনের রকেটে মহাকাশে যাবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে তিন দশমিক ৭ মেট্রিক টন ওজনের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণে শুরু হয়ে গেছে ‘লঞ্চ ক্যাম্পেইন‘। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফ্যালকন-৯ রকেটে চারটি অংশ রয়েছে। ওপরের অংশে থাকবে স্যাটেলাইট, তারপর অ্যাডাপ্টর। এরপর স্টেজ-২ এবং সবচেয়ে নিচে থাকে স্টেজ-১। নির্ধারিত সময়ে রকেটটি সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপরই স্টেজ ওয়ান চালু হয়ে ওপরের দিকে উঠতে শুরু করবে রকেট। প্রচণ্ড শক্তিতে ধাবিত হবে মহাকাশের দিকে। এ উৎক্ষেপণ দেখতে হলে আগ্রহীদের উৎক্ষেপণ স্থান থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিতে হবে। সাত মিনিটের কম সময় দেখা যাবে। তার পরপরই উচ্চগতির রকেট চলে যাবে দৃষ্টিসীমার বাইরে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর রকেটের স্টেজ-১ খুলে নিচের দিকে নামতে থাকে। এরপর চালু হয় স্টেজ-২। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেজ-১ পৃথিবীতে এলেও স্টেজ-২ একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্যাটেলাইটকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশেই থেকে যায়। দুটি ধাপে এই উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শেষ হয় জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রথম ধাপটি হলো লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেইজ (এলইওপি) এবং দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন অরবিট। এলইওপি ধাপে ১০ দিন এবং পরের ধাপে ২০ দিন লাগবে। উৎক্ষেপণ স্থান থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে যাবে এই স্যাটেলাইট। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন স্যাটেলাইট উম্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে। এই তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এর নিজস্ব কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট) স্থাপন করা হবে। স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন লাগবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে। স্পেসএক্স’র ওয়েবসাইটে পুরো উৎক্ষেপণ দেখানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
যেভাবে কক্ষপথে যাবে লাল-সবুজের স্যাটেলাইট: গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে। একই ধরনের রকেটে মহাকাশে যাবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে তিন দশমিক ৭ মেট্রিক টন ওজনের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণে শুরু হয়ে গেছে ‘লঞ্চ ক্যাম্পেইন‘। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফ্যালকন-৯ রকেটে চারটি অংশ রয়েছে। ওপরের অংশে থাকবে স্যাটেলাইট, তারপর অ্যাডাপ্টর। এরপর স্টেজ-২ এবং সবচেয়ে নিচে থাকে স্টেজ-১। নির্ধারিত সময়ে রকেটটি সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপরই স্টেজ ওয়ান চালু হয়ে ওপরের দিকে উঠতে শুরু করবে রকেট। প্রচণ্ড শক্তিতে ধাবিত হবে মহাকাশের দিকে। এ উৎক্ষেপণ দেখতে হলে আগ্রহীদের উৎক্ষেপণ স্থান থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিতে হবে। সাত মিনিটের কম সময় দেখা যাবে। তার পরপরই উচ্চগতির রকেট চলে যাবে দৃষ্টিসীমার বাইরে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর রকেটের স্টেজ-১ খুলে নিচের দিকে নামতে থাকে। এরপর চালু হয় স্টেজ-২। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেজ-১ পৃথিবীতে এলেও স্টেজ-২ একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্যাটেলাইটকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশেই থেকে যায়। দুটি ধাপে এই উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শেষ হয় জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রথম ধাপটি হলো লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেইজ (এলইওপি) এবং দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন অরবিট। এলইওপি ধাপে ১০ দিন এবং পরের ধাপে ২০ দিন লাগবে। উৎক্ষেপণ স্থান থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে যাবে এই স্যাটেলাইট। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন স্যাটেলাইট উম্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে। এই তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এর নিজস্ব কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট) স্থাপন করা হবে। স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন লাগবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে। স্পেসএক্স’র ওয়েবসাইটে পুরো উৎক্ষেপণ দেখানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
No comments