রোজ রাতে ‘ভাত দে’ ছবির কথা মনে পড়ে by জনি হক, কান
কানে যতই বুদ্ধি করে চলুন, বাঙালি খাবারের অভাব যাবে না। তন্ন তন্ন করে খুঁজে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ১০৮টি নীল পদ্ম পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু ভাত জুটবে
না কপালে! ভাতের যে আকাল তাতে রোজ রাতে আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’ ছবির শেষ
দৃশ্যের কথা মনে পড়ে।
২০১৫ সালে প্রথমবার কানে এসে উঠেছিলাম একটি অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানে রান্নাবান্নার সব বন্দোবস্ত ছিল। কানে অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে হাঁড়ি-পাতিল, প্রেসার কুকার, চামচ, চা-কফি বানানোর যন্ত্র; প্রায় সবই থাকে। ফলে ওইবার রোজ রাতে পেটে ভাত পড়েছিল। এর পরের বছর মোয়া-সাতোর যে হোটেলে উঠেছিলাম, সেখানেও ছিল একই সুবিধা। গত বছর তো প্রবাসী মাহবুবুর রহমান প্রতিদিন রাতে উৎসব শেষে ফেরার পর খাবার টেবিলে সাজিয়ে দিতেন বাঙালি খাবার।
২০১৫ সালে প্রথমবার কানে এসে উঠেছিলাম একটি অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানে রান্নাবান্নার সব বন্দোবস্ত ছিল। কানে অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে হাঁড়ি-পাতিল, প্রেসার কুকার, চামচ, চা-কফি বানানোর যন্ত্র; প্রায় সবই থাকে। ফলে ওইবার রোজ রাতে পেটে ভাত পড়েছিল। এর পরের বছর মোয়া-সাতোর যে হোটেলে উঠেছিলাম, সেখানেও ছিল একই সুবিধা। গত বছর তো প্রবাসী মাহবুবুর রহমান প্রতিদিন রাতে উৎসব শেষে ফেরার পর খাবার টেবিলে সাজিয়ে দিতেন বাঙালি খাবার।
কিন্তু
এবার জুয়া-লা-পা’র হোটেলটাতে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ভাত কপালে
জোটেনি ছয় দিন ধরে! চোখের সামনে তারকারা ঘোরাফেরা করলেও ভাতের দেখা নেই।
ফরাসি, ইতালিয়ান আর স্প্যানিশ খাবারের ভিড়ে আরাধ্য লাগছে ভাত। বিখ্যাত
নির্মাতাদের কাছে যেমন আরাধ্য স্বর্ণ পাম।
চার বছর আগে কান উৎসবে পয়লা দিন সড়ক লাগোয়া এক রেস্তোরাঁয় বসে ডিম অমলেট, জুস আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়েছিলাম খুব মজা করে। কিন্তু যেই না বিল এলো হাতে, মনে হলো কয়েকটা দিন উপোস করতে হবে! ওইটুকু খাবারের জন্য গুনতে হলো প্রায় ২০ ইউরো (দুই হাজার টাকারও বেশি)।
মনে হলো, এভাবে পকেট থেকে ইউরো যেতে থাকলে তো রাজার ভাণ্ডারও শেষ হয়ে যাবে! তাই এ ঘটনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, এমন বোকামি আর নয়। তাছাড়া খাবারও তো অত স্বাদ না। যদিও খাওয়ার সময় তা মনে হয়নি!
সস্তায় খাওয়ার পর্ব সেরে নিতে খুঁজে বের করলাম ম্যাকডোনাল্ডস। কানে এই দোকানই ভরসা। সেখানে গিয়ে অল্প টাকার মধ্যে পেট ভরে যাওয়ার মতো খাবার মেলে। এবার অবশ্য ঢাকা থেকেই বিস্কুট, কেক, পিঠা নিয়ে এসেছি বলে ম্যাকডোনাল্ডসের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে না তেমন।
চার বছর আগে কান উৎসবে পয়লা দিন সড়ক লাগোয়া এক রেস্তোরাঁয় বসে ডিম অমলেট, জুস আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়েছিলাম খুব মজা করে। কিন্তু যেই না বিল এলো হাতে, মনে হলো কয়েকটা দিন উপোস করতে হবে! ওইটুকু খাবারের জন্য গুনতে হলো প্রায় ২০ ইউরো (দুই হাজার টাকারও বেশি)।
মনে হলো, এভাবে পকেট থেকে ইউরো যেতে থাকলে তো রাজার ভাণ্ডারও শেষ হয়ে যাবে! তাই এ ঘটনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, এমন বোকামি আর নয়। তাছাড়া খাবারও তো অত স্বাদ না। যদিও খাওয়ার সময় তা মনে হয়নি!
সস্তায় খাওয়ার পর্ব সেরে নিতে খুঁজে বের করলাম ম্যাকডোনাল্ডস। কানে এই দোকানই ভরসা। সেখানে গিয়ে অল্প টাকার মধ্যে পেট ভরে যাওয়ার মতো খাবার মেলে। এবার অবশ্য ঢাকা থেকেই বিস্কুট, কেক, পিঠা নিয়ে এসেছি বলে ম্যাকডোনাল্ডসের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে না তেমন।
তাছাড়া
অ্যাক্রেডিটেশন পাওয়া সাংবাদিকদের জন্য উৎসব কর্তৃপক্ষ এবার দারুণ
ব্যবস্থা করেছেন। ফেস্টিভ্যাল ভবনের চারতলায় তেরেস দো জার্নালিস্টস অংশে
গেলেই খাবারের অভাব নেই। চিপস, বাদাম, জুস, কফি, পানি, ওয়াইন; মোটামুটি
ভালোই আয়োজন। শুধু খানাপিনাই যে হয় তা না, লেখালেখির জন্য টেবিল, মোবাইল
ফোন ও ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। এখানে বসে কাজ করেই বরং আরাম।
চারপাশ খোলা। যেদিকে তাকাই নীল জলরাশি আর সারি সারি ইয়ট।
দোতলায় প্রেস রুমের ওপর চাপ কমাতেই আয়োজকরা চতুর্থ তলায় বসিয়েছেন তেরেস দো জার্নালিস্টস। বুধবার (৯ মে) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছাদে বসেই বেশিক্ষণ লিখলাম। ফাঁকতালে চক্কর দিলাম ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালে। সন্ধ্যার দিকে নামলাম দোতলায়। তখন লালগালিচার তারকাদের দেখা মেলে। প্রেস রুম থেকে নিচে তাকিয়ে দেখি, এক ভদ্রমহিলার হাতে ইনভাইটেশন (টিকিট) থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। কারণ, তার পায়ে স্যান্ডেল আর গায়ে গাউন নেই। তিনি হয়তো টিকিট হাতে পেয়ে লালগালিচার ড্রেসকোড বেমালুম ভুলে বসে আছেন!
মনে পড়ে গেলো বুধবারও (৯ মে) রেল ধর্মঘট চলছে। এ কারণে সকালে জুয়া-লা-পা থেকে আসতে বেগ পেতে হয়েছে। যেতেও একই ভোগান্তি হলো। হোটেলে ঢোকার আগে একটা খাবারের দোকানে ঢুকেই দেখি পোলাও আর বিভিন্ন রকমের তরকারি সাজানো। দামও অত মনে হলো না। ৬ ইউরো পোলাও, ৬ ইউরো চিকেন। কিন্তু কোন প্লেটে দেওয়া হবে জানতে চাইলে দোকানি যা দেখালো তাতে মনে হলো পালাই! তাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললাম, ‘আই উইল বি ব্যাক!’ ওগুলো আসলে বাসন নয়, কলকাতায় যে সাইজের মাটির কাপে চা বিক্রি করে, তারচেয়ে সামান্য বড়!
দোতলায় প্রেস রুমের ওপর চাপ কমাতেই আয়োজকরা চতুর্থ তলায় বসিয়েছেন তেরেস দো জার্নালিস্টস। বুধবার (৯ মে) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছাদে বসেই বেশিক্ষণ লিখলাম। ফাঁকতালে চক্কর দিলাম ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালে। সন্ধ্যার দিকে নামলাম দোতলায়। তখন লালগালিচার তারকাদের দেখা মেলে। প্রেস রুম থেকে নিচে তাকিয়ে দেখি, এক ভদ্রমহিলার হাতে ইনভাইটেশন (টিকিট) থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। কারণ, তার পায়ে স্যান্ডেল আর গায়ে গাউন নেই। তিনি হয়তো টিকিট হাতে পেয়ে লালগালিচার ড্রেসকোড বেমালুম ভুলে বসে আছেন!
মনে পড়ে গেলো বুধবারও (৯ মে) রেল ধর্মঘট চলছে। এ কারণে সকালে জুয়া-লা-পা থেকে আসতে বেগ পেতে হয়েছে। যেতেও একই ভোগান্তি হলো। হোটেলে ঢোকার আগে একটা খাবারের দোকানে ঢুকেই দেখি পোলাও আর বিভিন্ন রকমের তরকারি সাজানো। দামও অত মনে হলো না। ৬ ইউরো পোলাও, ৬ ইউরো চিকেন। কিন্তু কোন প্লেটে দেওয়া হবে জানতে চাইলে দোকানি যা দেখালো তাতে মনে হলো পালাই! তাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললাম, ‘আই উইল বি ব্যাক!’ ওগুলো আসলে বাসন নয়, কলকাতায় যে সাইজের মাটির কাপে চা বিক্রি করে, তারচেয়ে সামান্য বড়!
No comments