পিতার সমাধিতে অশ্রুসজল দুই বোন
জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর সময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা -যুগান্তর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পিতার সমাধির পাশে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতির জনকের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। সন্তান হিসেবে পিতার সমাধিতে দুই বোন পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। সেখানে কিছুক্ষণ অশ্রুসিক্ত নয়নে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। ফাতেহা পাঠ ও দোয়া শেষে মোনাজাত করেন। পরে নিজের পিতৃভিটাতে বসে কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করেন। অংশ নেন মাজার কমপ্লেক্সে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে। পুরো সময়েই দুই বোন ছিলেন অশ্রুসজল। দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তারা স্মরণ করেন পিতাকে। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় তাদের পিতার প্রাণ। গর্ভধারিণী মা, ছোট্ট ভাই রাসেলসহ পরিবারের সবাইকে হারাতে হয়েছে এদিন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে পৃথিবীতে বেঁচে আছেন এ দুই বোন। তাই ভীষণ বিমর্ষ অবস্থায়ও ছোট বোন শেখ রেহানাকে হাত দিয়ে নিবিড়ভাবে কাছে টেনে নেন ও আগলে ধরেন। সকাল ১০টা ৫ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাঙালিকে মুক্তির স্বাদ দেয়া জাতির এ অবিসংবাদিত নেতাকে। পরে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল জানায় সামরিক অভিবাদন। এ সময় বেজে ওঠে বিউগলে করুণ সুর। পরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা সবাইকে নিয়ে ফাতেহা পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এরপর শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু ভবনে চলে যান। সেখানে বসে কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করেন। পৌনে ১১টার দিকে মাজার কমপ্লেক্স মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে বসেই তাতে অংশ নেন।
No comments