সেনাবাহিনীর সাহায্য চায় এলাকাবাসী
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক বাঁধ যমুনা নদীর ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। যমুনা নদীর পানি বাড়ায় বাঁধটি যেকোনো সময় পানির তোড়ে ভেঙে যেতে পারে। বাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসী সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছে। সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়কের বাঁধের পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামা ও রাধানগর এলাকায় ভাঙনের হুমকি দেখা দিয়েছে। জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), সড়ক ও জনপথের (সওজ) লোকজন ও এলাকাবাসী দুদিন ধরে বালুর বস্তা, জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। যমুনা সার কারখানা থেকে ১৯ জেলায় সার পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। গত সোমবার বিকেলে শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাস ঘাচাইলের মেয়র গাজী মোস্তফা ফোয়াদ রাধানগর অংশের বাঁধ পরিদর্শন করেন। বাঁধ রক্ষায় জামালপুরের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী, সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোবাশ্বেরা সাদিয়া হকের নেতৃত্বে এলাকাবাসী কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে এ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাধানগরের আমজাদ হোসেন (৬০) বলেন, ‘পানির মধ্যে লোকজন কাজ করতে আইছে। শুকনার সময় এই কাজ করলে বাঁধ হুমকির মধ্যে পড়ত না।’ একই গ্রামের মাজম আলী (৮০) বলেন, ‘বাঁধ রক্ষায় আমরা সেনাবাহিনীর সাহায্য চাই।’ রাধানগর গ্রামের শুক্কুর আলী (৭৫) বলেন, ‘বাঁধ ভাঙ্গে আমগো ভাসাইয়া নিয়ে যাব। তাই দুই দিন ধইরে বাঁধে কাজ করছি।’ পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন বলেন, বাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসী সেনাবাহিনী মোতায়েন চাইছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাস ঘাটাইলসহ জামালপুর-টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। জামালপুরের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বলেন, সড়ক বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধ রক্ষায় লোকজন কাজ করে যাচ্ছে। ইউএনও সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, সেনাবাহিনীর একটি দল বাঁধ পরিদর্শন করেছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
No comments