নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়াই যৌক্তিক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে করণীয় বিষয়সংবলিত একটি কর্মপরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন ১৬ জুলাই ঘোষণা করেছে। করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকা পুনর্নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। এ লক্ষ্য পূরণে কমিশন সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও নির্বাচন পরিচালনাকারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সংলাপ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুশীল সমাজের আমন্ত্রিত ৫৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে প্রায় ৪০ জন বৈঠকে যোগ দেন। আমন্ত্রিত হয়ে আমিও এ বৈঠকে উপস্থিত থেকে আমার মতামত প্রদান করি। রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায় সেগুলোর একটি হল- সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচনের যে বিধান করা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তা বাতিল করা। ২০০৭-০৮ সময়কালের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা কর্তৃক উত্থাপিত এ প্রস্তাবটি বৈঠকে বিপুল সমর্থন লাভ করে, যদিও উপস্থিত দু-চারজন প্রতিনিধি এ প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে (২০০৯-১৩) গৃহীত হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। এতে বলা হয়, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (১২৩ অনুচ্ছেদের দফা ৩)। এ বিধানটি আসলে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান থেকে নেয়া হয়। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে উপর্যুক্ত ‘৯০ দিনের’ স্থলে ‘১৮০ দিন’ করা হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামসহ সব বিরোধী দলের দাবি ও আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের মার্চে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির (সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিলুপ্ত) প্রবর্তন করে। ত্রয়োদশ সংশোধনীতে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদেও সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীতে বলা হয়, মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বিলুপ্ত করার আগ পর্যন্ত এ বিধান কার্যকর ছিল। মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- মূল সংবিধানের এ বিধানটি বিশ্বে সংসদীয় গণতন্ত্রের অনুসারী দেশগুলোর সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘কন্সটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি’ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে এ বিধানটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের কারণে তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে দলটি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু করে। মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলেও ক্ষমতায় অবস্থানকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সংসদ বহাল থাকাকালীন সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিধানটি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা কার্যকর করে। গত ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার যে প্রস্তাব করেন, তার বাইরেও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রথম শর্ত সংসদ ভেঙে দেয়া। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১২ আগস্ট যুগান্তরে তার এক নিবন্ধে বলেছেন, ‘কোনো দেশেই পার্লামেন্ট ব্যবস্থায় সংসদ না ভেঙে নির্বাচন হয় না।’ এখন দেখা যাক, সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে এমন কয়েকটি দেশে সংসদের বিলুপ্তি কীভাবে ঘটে। কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার গ্রেট ব্রিটেনে হাউস অব কমনসের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণের আগেও এর বিলুপ্তি ঘটতে পারে। হাউস অব কমনসের বিলুপ্তিতে এমপিরা এমপি হিসেবে প্রাপ্ত সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে সাধারণ মানুষের অংশ হয়ে যান। মেয়াদ অবসানে বা মেয়াদ অবসানের আগে হাউস অব কমনসের বিলুপ্তি ঘটলে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে এমপিরা নির্বাচিত হন। বর্তমান বিশ্বে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ধারক আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারতের লোকসভার মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লোকসভার বিলুপ্তি ঘটে। তবে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেও লোকসভার বিলুপ্তি ঘটতে পারে। বিলুপ্তি ঘটার পর পরবর্তী লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেশটির নির্বাচন কমিশনের। অস্ট্রেলিয়ায় হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা পিপলস হাউসের মেয়াদ তিন বছর। তবে তিন বছর পুরো হওয়ার আগেও এর বিলুপ্তি ঘটতে পারে। বিলুপ্তি ঘটলে নতুন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের মেয়াদ তিন বছর। অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের মতো প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে তিন বছর পুরো হওয়ার আগে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের বিলুপ্তি ঘটতে পারে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সংসদীয় সরকার পদ্ধতির ধারক উপর্যুক্ত দেশগুলোতে সংসদকে বহাল বা কার্যকর রেখে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিধান নেই। মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- মূল সংবিধানের এ বিধানটি পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্ব মুহূর্তে বিদ্যমান বিধানটির স্থলাভিষিক্ত করার পেছনে আওয়ামী লীগের একমাত্র যুক্তি ছিল মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়া। প্রশ্ন হল, আওয়ামী লীগ কি পুরোপুরি মূল সংবিধানে ফিরে যেতে পেরেছে? মূল সংবিধানের প্রস্তাবনার আগে ‘বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহিম’ বাক্যটি ছিল না। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময় এ বাক্যটি সন্নিবেশিত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাক্যটি রাখা হয়েছে। মূল সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাঙালি বলে পরিচিত হবেন। জিয়াউর রহমানের সময় এ অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীতে বলা হয়, বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশি বলে পরিচিত হবেন। পঞ্চদশ সংশোধনীতেও জিয়াউর রহমানের আনা সংশোধনী সমুন্নত রাখা হয়েছে। মূল সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হলেও রাষ্ট্রধর্ম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয় এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা বহাল রাখা হয়। এ রকম উদাহরণ আরও দেয়া যেতে পারে। তাই এটা বলা যেতে পারে, সংসদ ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মূল সংবিধানের বিধানে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা যতটা না প্রবল ছিল, তার চেয়ে বেশি প্রবল ছিল এর মাধ্যমে ক্ষমতাকে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করা। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের মতো জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচন করার পক্ষে বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। এক. সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে কোথাও সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচনের নজির নেই। সংসদীয় গণতন্ত্রের অনুসারী হয়ে বাংলাদেশ এমন কিছু করতে পারে না যা বিশ্বে প্রচলিত সংসদীয় গণতন্ত্রের সঙ্গে বেমানান। দুই. তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট এবং জোটের বাইরে ৯টি সমমনা দল দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে অনেকটা একদলীয় নির্বাচনে স্বল্পসংখ্যক কয়েকটি আসন বাদে বাকি সব আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের কম-বেশি ৯০ ভাগ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা (তাদের অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন) ক্ষমতায় থাকবেন। তাছাড়া কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত/মনোনীত প্রার্থীরা এসব নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক ও সংসদ সদস্যদের ইঙ্গিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ প্রয়োজনীয় কোনো কিছু করতে যে পিছপা হবেন না, তা অনেকটা জোর দিয়েই বলা যায়। আসলে এটা হবে একজন সশস্ত্র ব্যক্তির সঙ্গে একজন নিরস্ত্র ব্যক্তির লড়াই। তিন. নির্বাচন কমিশনের কাজ হল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা। একাদশ সংসদ নির্বাচনকালে সংসদের মোট আসনের ৯০ শতাংশে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বহাল থাকবেন এবং তাদের অধিকাংশই দলীয় প্রার্থী হবেন। এসব সংসদ, সদস্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় আওয়ামী লীগের সমর্থন/মনোনয়নে অনেকটা একচেটিয়াভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও তাদের কর্মীদের প্রভাবে কমিশনের পক্ষে সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। সবশেষে যা বলতে চাই তা হল, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও এর বিকাশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই- সে নির্বাচন জাতীয় বা স্থানীয় যে পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হোক। সুতরাং আগামী সংসদ নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনের আগে অনেকটা একদলীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি বা প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত। জনগণের আশা, সরকার গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিষয়টির সুরাহা করবে।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com
No comments