নিখোঁজের একদিন পর বুড়িগঙ্গা থেকে স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের একদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে আল আমিন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। নিহতের বাবার নাম ইমরান মৃধা। গ্রামের বাড়ি মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার কানুনগাঁও এলাকায়। তিনি স্বপরিবারে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ২১৫/১ এর জেএস সাহা রোডস্থ আমলিগোলা এলাকায় বসবাস করেন। ইমরান মৃধা জানান, আল আমিন মৃধা রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার রহমতউল্লাহ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার স্কুল বন্ধ থাকায় বেলা সাড়ে ১১টার সময় রিফাত নামে তার এক সহপাঠীর বাড়িতে লুডু খেলার কথা বলে বের হয়। বাড়ি ফিরে না আসায় বিকেল ৫টায় আলামিনের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি রিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রিফাত জানায়, আল আমিন ১২টার সময় ওদের বাড়ি থেকে চলে গেছে। এরপর সন্ধ্যায় তিনি লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করার জন্য গেলে পুলিশ জানায়, সকালে বের হয়েছে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে দেখেন। পরে তিনি সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। স্বজনদের বাড়িতে খুজে না পেয়ে সকালে ফের থানায় জিডি করার জন্য যান।
সেখান থেকে একজন এসআইকে নিয়ে রিফাতের বাড়িতে যান। রিফাতের বাড়িতে পৌছলে এক আত্মীয় জানায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। এরপর তার বর্ণনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনের লাশ শনাক্ত করেন তার বাবা। ইমরান মৃধার অভিযোগ, গত রোববার স্কুলে ক্লাস শেষ শিক্ষকের সামনে দুই সহপাঠীর (জিসান ও নিজুম) সঙ্গে আলামিনের ঝগড়া হয়। তার অভিযোগ, ওই ছেলেরাই তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই নুরুল হুদা জানান, লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই তবে গলায় একটি লালচে দাগ এবং নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে এটা হত্যা না অন্য কোন ঘটনা।
No comments