গুলি-গালি নয়, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে চাই ভালোবাসা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, গুলি বা গালির মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না। সমাধানের জন্য প্রয়োজন ভালোবাসা। ভালোবেসে কাশ্মীরিদের বুকে জড়াতে হবে। হিংসা উপদ্রুত উপত্যকার যুব সম্প্রদায়কে মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। গণতন্ত্র সেই অধিকার দিয়েছে। সরকার আপনাদের সব অভিযোগ দূর করবে। ভারতের ৭০তম স্বাধীনতাবার্ষিকীতে নয়াদিল্লির লাল কেল্লা থেকে তাঁর দেওয়া চতুর্থ ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার মোদি বলেন, সামান্য কিছু সন্ত্রাসবাদী নানা কায়দায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। সরকার তাদের কড়া হাতে দমন করবে। তিনি বলেন, যুব সম্প্রদায় হিংসা ছেড়ে এগিয়ে আসুক, সরকার কাশ্মীরকে ফের ভূস্বর্গে পরিণত করবে। মোদির এই বছরের ভাষণ ছিল সংক্ষিপ্ততম। এক ঘন্টারও কম। তিনি বলেন, ২০২২ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবে, তখন সব মানুষের মাথায় কংক্রিটের ছাদ থাকবে, কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে, যুবা ও মহিলাদের উন্নতির জন্য সুযোগ বেড়ে যাবে এবং দেশ হবে জাতপাত, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত। এটাই সরকারের অঙ্গীকার। সেটাই হবে নতুন ভারত। এই প্রথম ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের উভয় কক্ষের পরিচালকেরা বিজেপির নীতি ও আদর্শে দীক্ষিত। স্বাধীনতার ৭০তম বার্ষিকী এই কারণে বিজেপির কাছে উল্লেখযোগ্য। এই সাফল্যের পাশাপাশি সরকারকে সমালোচিত হতে হচ্ছে গরু নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য। লাল কেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার ধর্ম ও বিশ্বাসের নামে হিংসা বরদাশত করবে না। গো-রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে বাড়াবাড়ি হচ্ছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত শান্তির দেশ। এই দেশের শক্তি হলো একতা ও সংহতি। জাতপাত ও সাম্প্রদায়িকতা কাউকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না। তিনি বলেন, গান্ধীজি ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, এবার শুরু হোক ‘ভারত জোড়’ আন্দোলন। সীমান্তপারের সন্ত্রাসের উল্লেখ করলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি। উল্লেখ করেননি ডোকলাম নিয়ে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধেরও। তবে উল্লেখ না করলেও মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে বরদাশত করা হবে না। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাতেও দেশের সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত। সরকারের সাফল্য হিসেবে কালোটাকার বিরুদ্ধে অভিযান ও সারা দেশে অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর প্রচলনের উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, এটা এক বিরাট পদক্ষেপ। সরকারের পদক্ষেপগুলো লুটেরাদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
No comments