এক ছাগল ৭০ হাজার!
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া মাধ্যমিক স্তর পেরোয়নি। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। তা সত্ত্বেও গৃহপালিত পশু-পাখি পালনে তিনি পেয়েছেন সাফল্য। তার পোষা একটি ছাগলের দাম উঠেছে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া তার রয়েছে ৪৫ জোড়া দেশি কবুতর। এসব কাজে কাজে লাগাননি কোনো প্রযুক্তি জ্ঞান। উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের কেউ রাখেন না তার এই সাফল্যের খবর। নিজ দোকানের পাশাপাশি ছাগল ও কবুতরের যত্ন করেই সময় কাটে তার। তিনি হচ্ছেন মণিরামপুরের জলাবদ্ধ শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনাটোলা গ্রামের ৩২ বছর বয়সী যুবক আতাউর রহমান পলাশ। পলাশ চিনাটোলা গ্রামের বাশিয়ার রহমানের ছেলে। পলাশ জানান, ১৫-২০ বছর আগে মহেশপুরে নানার বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। সেখানে মণিরামপুরের নাগোরঘোপ এলাকার আব্দুল হামিদ নামে একব্যক্তি চাকরি করতেন। চাকরির পাশাপাশি দুটি ছাগল পুষেছিলেন আব্দুল হামিদ। সেখান থেকে পলাশের ছাগল পালনের ইচ্ছা।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর বড়ভাই মাহাবুর রহমানের শ^শুর যশোরের চৌগাছার সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে আড়াই বছর আগে সাড়ে আট হাজার টাকায় দেড়মাস বয়সী একটি ছাগল কেনেন তিনি; যেটির বর্তমান বাজারদর প্রায় ৭০ হাজার টাকা। ছাগলটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের বলে জানান পলাশ। পলাশ বলেন, ‘ধানের বিচলির সাথে খৈল ও ভুষি মিশিয়ে এবং গাছের পাতা খাইয়ে ছাগলটি এতো বড় করেছি। আট মাস আগে একবার ছাগলটির শরীরের পেছনের অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। পরে কেশবপুর পশু হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে ছাগলের চিকিৎসা দেন। সেই সময় সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ করা হয়। ১৫ দিন পরে ছাগলটি সুস্থ হয়ে ওঠে।’ পলাশ জানান, দুই মাস আগে তিনি একবার ব্যাপারি দিয়ে ছাগলের দাম করিয়েছিলেন। তখন তারা ৬০ হাজার টাকা দাম বলেছিল। এবারের ঈদুল আজহায় তিনি ছাগলটি বিক্রি করতে চান। সেই ক্ষেত্রে ৭০-৮০ হাজার টাকা হলে তিনি ছাগলটি ছেড়ে দেবেন। যদি স্থানীয় বাজারে দাম না পান তাহলে ছাগল নিয়ে চট্টগ্রামের হাটে যাবেন বলেও সিদ্ধান্ত রয়েছে তার। পলাশ বলেন, ‘এই ছাগল বিক্রি করে দিয়ে আরেকটা পুষবো বলে দেড়মাস আগে আট হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি ছাগল কিনেছি। তাছাড়া দেশি জাতের ৪৫ জোড়া কবুতর রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিমাসে ৫-৬ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।’
No comments