রঙিন পোশাকেই তারুণ্যের বর্ষবরণ by শিহাব জিশান
বৈশাখ মানেই প্রাণের মেলা আর তারুণ্যের জয়গান। তরুণ-তরুণীদের বৈশাখের পোশাক আর সাজ-সজ্জা এই উৎসবের বড় বিজ্ঞাপনও। শাড়ি বা ফতুয়া—পোশাক যা–ই হোক উজ্জ্বল ঝলমলে রঙেই তো তারুণ্যের প্রকাশ। সামনে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে কেনা-কাটা। ক্রেতাদের বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। তাই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ঘুরেও উজ্জ্বল রঙের পোশাকের সমাহার দেখা গেল। আর বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী লাল-সাদা রঙের পোশাক তো আছেই।
পোশাক যা–ই হোক, সেটা হতে হবে ঝলমলে ও রঙিন—বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীর ভাবনা তেমনই। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজনীন আক্তারও তেমনটাই বললেন। নগরের আফমি প্লাজার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর দেখছি উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে পোশাকের ঢং। মেরুন, কমলা কিংবা ম্যাজেন্টা—এ ধরনের উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে এবার পোশাকগুলোতে উৎসবের মেজাজ আনা হয়েছে। আর উজ্জ্বল ও আরামদায়ক কাপড়ই আমি কিনতে এসেছি।’ আফমি প্লাজার দেশী দশ এখন তরুণ ক্রেতাদের দখলে। এখানে বন্ধুকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘বাঙালির উৎসব বলে ডিজাইনে গ্রামবাংলার ছাপ আছে এমন কিছু খুঁজছি। গরম থাকবে বলে সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি কিনতে চাই। তবে রংটা উজ্জ্বল হতে হবে।’ বিক্রয়কর্মীরা জানান, এবার তরুণীরা সেমি লং কিংবা লং কাটের সালোয়ার কামিজই পছন্দ করছেন বেশি। আর তরুণদের পছন্দ লং ও সেমি লং পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার ও চোস্ত পায়জামা। তবে তরুণেরা ফতুয়া ও টি-শার্টও বেশ ভালোই কিনছেন বলে জানালেন দোকানিরা। সানমার ওশান সিটির বুটিক হাউস শৈল্পিকে দাঁড়িয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনুভা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৈশাখের এবারের পোশাকগুলোতে যেমন আছে বৈচিত্র্য তেমনি আছে দেশি থিমও। আমি মূলত সাদা ও লাল জমিন সঙ্গে পাড় ও আঁচলে ঐতিহ্যবাহী নকশা করা একটি শাড়ি খুঁজছি।’ বিভিন্ন দোকানে মান ও কাজ ভেদে তরুণীদের সালোয়ার-কামিজ পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ শ থেকে তিন হাজার টাকায়। শাড়ির দাম পড়ছে সাত শ থেকে দশ হাজার টাকা। তরুণ-তরুণীদের ফতুয়া মিলছে ছয় শ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। আর তরুণদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে আট শ থেকে আট হাজার টাকায়। নতুন সাজ–পোশাক তো নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্যই। সেই বরণ করাটা কীভাবে হবে—এমন প্রশ্ন করতেই মুচকি হেসে কথার ঝড় তুললেন বৈশাখের কেনাকাটা করতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম। তিনি বললেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে টো টো করে পুরো নগর ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমার। ডিসি হিল আর সিআরবির প্রাণের মেলায় অবশ্যই যাব বলে আশা করছি।’ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো ছাড়াও বাংলা বছরের প্রথম দিনটিতে বেশ খানিকটা সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিয়াত নওরীন। তবে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ভিন্ন হলেও প্রত্যেকের চাওয়া রঙিন বৈশাখের আনন্দ-উদ্যাপনটা যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে।
পোশাক যা–ই হোক, সেটা হতে হবে ঝলমলে ও রঙিন—বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীর ভাবনা তেমনই। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজনীন আক্তারও তেমনটাই বললেন। নগরের আফমি প্লাজার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর দেখছি উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে পোশাকের ঢং। মেরুন, কমলা কিংবা ম্যাজেন্টা—এ ধরনের উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে এবার পোশাকগুলোতে উৎসবের মেজাজ আনা হয়েছে। আর উজ্জ্বল ও আরামদায়ক কাপড়ই আমি কিনতে এসেছি।’ আফমি প্লাজার দেশী দশ এখন তরুণ ক্রেতাদের দখলে। এখানে বন্ধুকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘বাঙালির উৎসব বলে ডিজাইনে গ্রামবাংলার ছাপ আছে এমন কিছু খুঁজছি। গরম থাকবে বলে সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি কিনতে চাই। তবে রংটা উজ্জ্বল হতে হবে।’ বিক্রয়কর্মীরা জানান, এবার তরুণীরা সেমি লং কিংবা লং কাটের সালোয়ার কামিজই পছন্দ করছেন বেশি। আর তরুণদের পছন্দ লং ও সেমি লং পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার ও চোস্ত পায়জামা। তবে তরুণেরা ফতুয়া ও টি-শার্টও বেশ ভালোই কিনছেন বলে জানালেন দোকানিরা। সানমার ওশান সিটির বুটিক হাউস শৈল্পিকে দাঁড়িয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনুভা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৈশাখের এবারের পোশাকগুলোতে যেমন আছে বৈচিত্র্য তেমনি আছে দেশি থিমও। আমি মূলত সাদা ও লাল জমিন সঙ্গে পাড় ও আঁচলে ঐতিহ্যবাহী নকশা করা একটি শাড়ি খুঁজছি।’ বিভিন্ন দোকানে মান ও কাজ ভেদে তরুণীদের সালোয়ার-কামিজ পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ শ থেকে তিন হাজার টাকায়। শাড়ির দাম পড়ছে সাত শ থেকে দশ হাজার টাকা। তরুণ-তরুণীদের ফতুয়া মিলছে ছয় শ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। আর তরুণদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে আট শ থেকে আট হাজার টাকায়। নতুন সাজ–পোশাক তো নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্যই। সেই বরণ করাটা কীভাবে হবে—এমন প্রশ্ন করতেই মুচকি হেসে কথার ঝড় তুললেন বৈশাখের কেনাকাটা করতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম। তিনি বললেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে টো টো করে পুরো নগর ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমার। ডিসি হিল আর সিআরবির প্রাণের মেলায় অবশ্যই যাব বলে আশা করছি।’ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো ছাড়াও বাংলা বছরের প্রথম দিনটিতে বেশ খানিকটা সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিয়াত নওরীন। তবে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ভিন্ন হলেও প্রত্যেকের চাওয়া রঙিন বৈশাখের আনন্দ-উদ্যাপনটা যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে।
No comments