‘যা চেয়েছি তা করতে পারিনি’
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার মূল্যে ওয়াকার ইউনিসকে কোচের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায় কতটুকু তাঁর, পাকিস্তান ক্রিকেটই বা এখন কোথায় দাঁড়িয়ে—ক্রিকইনফোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেসব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন একসময়ের বিশ্ব-কাঁপানো পাকিস্তানি পেসার
* আবার কি কখনো পাকিস্তানের কোচ হবেন?
ওয়াকার ইউনিস: আমি জানি না। আমার মনে হয়, জীবনে কোনো সুযোগ এলে সেটাকে ‘না’ বলা উচিত নয়। খুব সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেটে যা হয়েছে, সেটার পেছনে কিছু কারণ তো অবশ্যই আছে। দায়িত্ব পালনকালে বেশির ভাগ সময় আমার পরামর্শগুলোকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ জন্যই আমি বাইরে থেকে কথা বলতে শুরু করেছি। আমি চেয়েছি বোর্ড যাতে সমস্যাগুলো বোঝে। আমি খুশি যে অবশেষে আমার পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। আমাকে বলির পাঁঠা বানানোর পর তারা সেটা বুঝতে শুরু করেছে। অন্তত এটা তো বুঝতে পারল যে আমিই সঠিক ছিলাম। আমি জানি, অনেক খেলোয়াড়ই তাঁদের সুনাম, ভাবমূর্তিকে ক্রিকেটের চেয়ে বড় মনে করেন এবং সেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে চান না। কিন্তু আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালো করতে চেয়েছি এবং সেটা করার জন্য আবার আসতে রাজি।
* দুবার পাকিস্তানের কোচ হয়ে দুবারই কেন পদত্যাগ করতে হলো?
ওয়াকার: প্রথমবার ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। এবার বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব ছাড়তে হলো। তবে আমার কোনো আফসোস নেই।
* এই অভিজ্ঞতা থেকে আপনি কী শিখেছেন?
ওয়াকার: খুব অল্প সময়ের জন্য প্রথম যুক্ত হয়েছিলাম বব উলমারের সময়ে বোলিং কোচ হিসেবে। পরেরবার আমি দায়িত্ব পেয়ে সময়টা খুব উপভোগ করেছি। ইজাজ বাট (তখনকার পিসিবি চেয়ারম্যান) আমাকে পুরো স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তাঁকে সরাসরি সবকিছু বলাও যেত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে দুজন প্রধান (নাজাম শেঠি ও শাহরিয়ার খান) থাকায়। এ কারণে শুধু আমরা কোচরা নই, পাকিস্তান ক্রিকেটও ভুগেছে। পিসিবির ভেতর থেকে সব সময় দুই রকম নির্দেশনা আসছে। এটা নিয়ে আসলেই ভাবা উচিত।
* আপনি কি মনে করেন দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে কোনো ব্যবধান গড়তে পেরেছেন?
ওয়াকার: যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। আমি সব সময় চাই তরুণদের সাহায্য করতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু শক্তি ছিল যারা আমাকে সেটি করতে দেয়নি।
* কোচ হিসেবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা কতটা কঠিন?
ওয়াকার: আইপিএলে বোলিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সময় আমি দেখেছি, সবাই ফল নিয়ে ভাবে। দিন শেষে ক্রিকেট কীভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে সেটাই সবার কাছে অগ্রাধিকার পায়। আমাদের এখানে সম্ভবত এটি খুব অগ্রাধিকার পায় না। আপনার বোর্ড যদি সবার আগে ক্রিকেটের কথা ভাবে, তাহলে দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন কিছু না।
* আপনার রিপোর্টে বলেছেন, নির্বাচক কমিটি, কোচ ও সীমিত ওভারের অধিনায়কের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা আছে...
ওয়াকার: আমি মনে করি, কোচকেও নির্বাচক কমিটির অংশ করা উচিত। দল নির্বাচনের সময় তাঁর উপস্থিতি জরুরি এবং তাঁর সই ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত না। অধিনায়কেরও নির্বাচক কমিটিতে থাকা উচিত। তিন নির্বাচকের যদি তিন ভোট হয়, তাহলে কোচ ও অধিনায়কের মিলিতভাবে অন্তত একটা ভোট থাকতে পারে। দুজনের দুটি ভোটের কথাটা না হয় না-ই বললাম।
* মিসবাহ-উল-হক, শহীদ আফ্রিদি আর সালমান বাটের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা নিয়ে কিছু বলুন।
ওয়াকার: মিসবাহর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক, কারণ ওর ক্রিকেটবোধ দারুণ। সালমান বাটের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনাটা না ঘটলে তো মিসবাহ আর আফ্রিদি অধিনায়কই হয় না। আফ্রিদির যেসব অপূর্ণতা আছে, সেটা সবাই জানে। ও এক জায়গায় সুস্থির হয়ে বসে কোনো পরিকল্পনা করতে পারে না কিংবা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে না। আমি আমার রিপোর্টে সেটাই লিখেছিলাম। এই রিপোর্টটা বাইরে আসার কথা ছিল না, কিন্তু কীভাবে যেন ফাঁস হয়ে গেল।
* আপনার সঙ্গে কি শহীদ আফ্রিদির কোনো সমস্যা আছে?
ওয়াকার: ও তো আমার অনেক ছোট। আমার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার যখন শেষের দিকে, তখন ওর শুরু। সুতরাং ওর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব জাতীয় কিছুই কখনো ছিল না।
* একটা সময় পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বর ছিল, কিন্তু সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে পাকিস্তান এখন ৭ ও ৮ নম্বরে।
ওয়াকার: বড় কারণ নেতৃত্ব। ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী একেবারেই তরুণ। ওকে কিছুটা সময় তো দিতে হবে। আমরা যখন গত বছর বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলাম, তখন দায় বর্তাল তাঁরই ওপর। যেটা উচিত হয়নি। ও দিন দিন উন্নতি করছে। অন্যদিকে মিসবাহ অনেক ধীরস্থির। ও যেকোনো কিছু গ্রহণ করতে পারে, সেই অনুযায়ী পরিকল্পনার বাস্তবায়নও করতে পারে। অধিনায়কের সেটাই দায়িত্ব। এখন সরফরাজ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়েছে। ওর কাছেও হঠাৎ করে কোনো অলৌকিক কিছু প্রত্যাশা করলে হবে না। সময় দিতে হবে।
* আপনি যে সিস্টেমের সমালোচনা করলেন, সেখান থেকেই তো আপনি নিজেই উঠে এসেছেন। তাহলে এই সিস্টেমের মধ্যে কাজ করতে পারলেন না কেন?
ওয়াকার: পিসিবির গভর্নিং বোর্ডে কোনো ক্রিকেটার নেই। বড় বড় পদে এমন সব লোকজন বসে আছেন যাঁরা ক্রিকেটার ছিলেন না। এটাই বড় উদ্বেগের। এই লোকগুলো কোত্থেকে এলেন? এঁদের কি সত্যিই পাকিস্তান ক্রিকেট চালানোর মতো সামর্থ্য আছে? ক্রিকেটাররা সব কোথায় গেলেন! এসব দেখেশুনে চোখ বন্ধ করে থাকলে হবে না।
* ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব কতটা কোচের?
ওয়াকার: দেখুন, কোচের কাজের সীমাবদ্ধতা আছে। কোচ পরিকল্পনা করতে পারেন, কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করবেন অধিনায়ক। আমি বলছি না যে শুধু আফ্রিদিকেও সব দোষ দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ক্রিকেট ইতিহাসের দিকে তাকান, দেখবেন অধিনায়কদের নামগুলোই জ্বলজ্বল করে। সবাই রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহদের মনে রাখে, কোচ কে ছিল সেটা কজন জানে! অধিনায়কই তো সবকিছু পরিচালনা করেন।
* আবার কি কখনো পাকিস্তানের কোচ হবেন?
ওয়াকার ইউনিস: আমি জানি না। আমার মনে হয়, জীবনে কোনো সুযোগ এলে সেটাকে ‘না’ বলা উচিত নয়। খুব সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেটে যা হয়েছে, সেটার পেছনে কিছু কারণ তো অবশ্যই আছে। দায়িত্ব পালনকালে বেশির ভাগ সময় আমার পরামর্শগুলোকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ জন্যই আমি বাইরে থেকে কথা বলতে শুরু করেছি। আমি চেয়েছি বোর্ড যাতে সমস্যাগুলো বোঝে। আমি খুশি যে অবশেষে আমার পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। আমাকে বলির পাঁঠা বানানোর পর তারা সেটা বুঝতে শুরু করেছে। অন্তত এটা তো বুঝতে পারল যে আমিই সঠিক ছিলাম। আমি জানি, অনেক খেলোয়াড়ই তাঁদের সুনাম, ভাবমূর্তিকে ক্রিকেটের চেয়ে বড় মনে করেন এবং সেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে চান না। কিন্তু আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালো করতে চেয়েছি এবং সেটা করার জন্য আবার আসতে রাজি।
* দুবার পাকিস্তানের কোচ হয়ে দুবারই কেন পদত্যাগ করতে হলো?
ওয়াকার: প্রথমবার ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। এবার বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব ছাড়তে হলো। তবে আমার কোনো আফসোস নেই।
* এই অভিজ্ঞতা থেকে আপনি কী শিখেছেন?
ওয়াকার: খুব অল্প সময়ের জন্য প্রথম যুক্ত হয়েছিলাম বব উলমারের সময়ে বোলিং কোচ হিসেবে। পরেরবার আমি দায়িত্ব পেয়ে সময়টা খুব উপভোগ করেছি। ইজাজ বাট (তখনকার পিসিবি চেয়ারম্যান) আমাকে পুরো স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তাঁকে সরাসরি সবকিছু বলাও যেত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে দুজন প্রধান (নাজাম শেঠি ও শাহরিয়ার খান) থাকায়। এ কারণে শুধু আমরা কোচরা নই, পাকিস্তান ক্রিকেটও ভুগেছে। পিসিবির ভেতর থেকে সব সময় দুই রকম নির্দেশনা আসছে। এটা নিয়ে আসলেই ভাবা উচিত।
* আপনি কি মনে করেন দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে কোনো ব্যবধান গড়তে পেরেছেন?
ওয়াকার: যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। আমি সব সময় চাই তরুণদের সাহায্য করতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু শক্তি ছিল যারা আমাকে সেটি করতে দেয়নি।
* কোচ হিসেবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা কতটা কঠিন?
ওয়াকার: আইপিএলে বোলিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সময় আমি দেখেছি, সবাই ফল নিয়ে ভাবে। দিন শেষে ক্রিকেট কীভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে সেটাই সবার কাছে অগ্রাধিকার পায়। আমাদের এখানে সম্ভবত এটি খুব অগ্রাধিকার পায় না। আপনার বোর্ড যদি সবার আগে ক্রিকেটের কথা ভাবে, তাহলে দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন কিছু না।
* আপনার রিপোর্টে বলেছেন, নির্বাচক কমিটি, কোচ ও সীমিত ওভারের অধিনায়কের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা আছে...
ওয়াকার: আমি মনে করি, কোচকেও নির্বাচক কমিটির অংশ করা উচিত। দল নির্বাচনের সময় তাঁর উপস্থিতি জরুরি এবং তাঁর সই ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত না। অধিনায়কেরও নির্বাচক কমিটিতে থাকা উচিত। তিন নির্বাচকের যদি তিন ভোট হয়, তাহলে কোচ ও অধিনায়কের মিলিতভাবে অন্তত একটা ভোট থাকতে পারে। দুজনের দুটি ভোটের কথাটা না হয় না-ই বললাম।
* মিসবাহ-উল-হক, শহীদ আফ্রিদি আর সালমান বাটের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা নিয়ে কিছু বলুন।
ওয়াকার: মিসবাহর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক, কারণ ওর ক্রিকেটবোধ দারুণ। সালমান বাটের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনাটা না ঘটলে তো মিসবাহ আর আফ্রিদি অধিনায়কই হয় না। আফ্রিদির যেসব অপূর্ণতা আছে, সেটা সবাই জানে। ও এক জায়গায় সুস্থির হয়ে বসে কোনো পরিকল্পনা করতে পারে না কিংবা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে না। আমি আমার রিপোর্টে সেটাই লিখেছিলাম। এই রিপোর্টটা বাইরে আসার কথা ছিল না, কিন্তু কীভাবে যেন ফাঁস হয়ে গেল।
* আপনার সঙ্গে কি শহীদ আফ্রিদির কোনো সমস্যা আছে?
ওয়াকার: ও তো আমার অনেক ছোট। আমার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার যখন শেষের দিকে, তখন ওর শুরু। সুতরাং ওর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব জাতীয় কিছুই কখনো ছিল না।
* একটা সময় পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বর ছিল, কিন্তু সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে পাকিস্তান এখন ৭ ও ৮ নম্বরে।
ওয়াকার: বড় কারণ নেতৃত্ব। ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী একেবারেই তরুণ। ওকে কিছুটা সময় তো দিতে হবে। আমরা যখন গত বছর বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলাম, তখন দায় বর্তাল তাঁরই ওপর। যেটা উচিত হয়নি। ও দিন দিন উন্নতি করছে। অন্যদিকে মিসবাহ অনেক ধীরস্থির। ও যেকোনো কিছু গ্রহণ করতে পারে, সেই অনুযায়ী পরিকল্পনার বাস্তবায়নও করতে পারে। অধিনায়কের সেটাই দায়িত্ব। এখন সরফরাজ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়েছে। ওর কাছেও হঠাৎ করে কোনো অলৌকিক কিছু প্রত্যাশা করলে হবে না। সময় দিতে হবে।
* আপনি যে সিস্টেমের সমালোচনা করলেন, সেখান থেকেই তো আপনি নিজেই উঠে এসেছেন। তাহলে এই সিস্টেমের মধ্যে কাজ করতে পারলেন না কেন?
ওয়াকার: পিসিবির গভর্নিং বোর্ডে কোনো ক্রিকেটার নেই। বড় বড় পদে এমন সব লোকজন বসে আছেন যাঁরা ক্রিকেটার ছিলেন না। এটাই বড় উদ্বেগের। এই লোকগুলো কোত্থেকে এলেন? এঁদের কি সত্যিই পাকিস্তান ক্রিকেট চালানোর মতো সামর্থ্য আছে? ক্রিকেটাররা সব কোথায় গেলেন! এসব দেখেশুনে চোখ বন্ধ করে থাকলে হবে না।
* ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব কতটা কোচের?
ওয়াকার: দেখুন, কোচের কাজের সীমাবদ্ধতা আছে। কোচ পরিকল্পনা করতে পারেন, কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করবেন অধিনায়ক। আমি বলছি না যে শুধু আফ্রিদিকেও সব দোষ দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ক্রিকেট ইতিহাসের দিকে তাকান, দেখবেন অধিনায়কদের নামগুলোই জ্বলজ্বল করে। সবাই রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহদের মনে রাখে, কোচ কে ছিল সেটা কজন জানে! অধিনায়কই তো সবকিছু পরিচালনা করেন।
No comments