সেই সোসিয়েদাদেই হার বার্সার
সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন পরীক্ষাই মনে করেছিলেন বার্সেলোনা সমর্থকেরা। অ্যানয়েতা স্টেডিয়ামে গত নয় বছরে জেতা হয়নি, এই মাঠ নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কই ছিল তাদের মধ্যে। নয় বছরের দুঃখ ঘুচিয়ে ফেলার যে সুযোগটা শনিবার রাতে এসেছিল, সেটা কাজে লাগাতে পারল না লা লিগায় এখনো পর্যন্ত শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা। অ্যানয়েতায় আরও একটি পরাজয়ই সঙ্গী হলো তাদের। সোসিয়েদাদের কাছে লুইস এনরিকে-বাহিনী হেরেছে ১-০ গোলে। ‘এল ক্লাসিকো’ হারের পর কাল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হার—লিগে বার্সেলোনার টানা দুই পরাজয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো। বার্সেলোনার দুই হারের সুযোগে পয়েন্টের ব্যবধানটা যথাক্রমে ৪ ও ৩-এ নামিয়ে নিয়ে এসেছে তারা। সামনের ৬ ম্যাচে আরও অনেক রোমাঞ্চই হয়তো অপেক্ষা করছে! খেলার ৫ মিনিটেই বার্সেলোনার দুর্গতির সূচনা করে দেয় সোসিয়েদাদ। দারুণ এক ক্রসে মাথায় ছুঁইয়ে বার্সেলোনা গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোকে পরাস্ত করেন মিচেল ওইয়ারসাবাল। গোল হজম করার ঠিক আগ মুহূর্তে বার্সার মুনির এল হাদ্দাদি সহজ এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। সোসিয়েদাদের বক্সের মধ্যে অনেকটা ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি হাদ্দাদি। লিওনেল মেসি এরপর দুটো প্রচেষ্টা নেন। প্রথমবার তাঁর ডান পায়ের শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরেরবার তাঁর ফ্রিকিক ফিরিয়ে দেন সোসিয়েদাদের সীমানায় দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো রক্ষণসেনারা। ৩৩ মিনিটে এল হাদ্দাদির পাস থেকে আরদা তুরানের শট প্রতিহত হয় সোসিয়েদাদ রক্ষণে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে আক্রমণে নামে বার্সেলোনা। কিন্তু এই অর্ধের শুরুতেই আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার একটি শট প্রতিহত করেন সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক হেরেনিমো রুলি। ৬৫ মিনিটে নেইমারের একটি জোরালো ফ্রিকিক অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৭৩ মিনিটে মেসি একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। জেরার্ড পিকের পাস থেকে সোসিয়েদাদ গোলপোস্টের খুব কাছে বল পেলেও তাঁর পায়ে ঝাঁপিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রুলি। ৮৫ মিনিটে এই রুলিই মেসির হেড ফিরিয়ে দেন। যোগ করা সময় রুলির কল্যাণেই গোল থেকে বঞ্চিত হন ইনিয়েস্তা। ম্যাচ শেষে নিজের হতাশার কথাই বলেছেন বার্সেলোনা কোচ এনরিকে, ‘খেলাটা আমরা শুরু করেছিলাম বেশ বাজে ভাবেই, যতটা বাজেভাবে শুরু করা যায় আর কি! পুরো প্রথমার্ধেই আমরা বাজে খেলেছি।’ বাজে খেললেও ম্যাচ হারাটা মোটেও মেনে নিতে পারছেন না বার্সা কোচ। পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের শুধরে নেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা অবশ্য ছিল তাঁর কণ্ঠে, ‘ম্যাচে বাজে খেলেছি, সন্দেহ নেই। তাই বলে হেরে যাব ভাবিনি। আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
No comments