এক মলাটে দুই বই নিয়ে আলোচনা
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে আজ শনিবার এক মলাটে দুই বই নিয়ে আলোচনা |
ক্যাপ্টেন
ডাক্তার নরেন্দ্রনাথ দত্তের জীবন ইতিহাস যেন এক রূপকথা। ছোটবেলা থেকে
নিজের শ্রমে উপার্জন, পরিবারে আর্থিক সহায়তা আর নিজের লেখাপড়ার খরচ
চালানোসহ নানা বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ক্যাপ্টেন দত্তের জীবনের
এসব কথা পাওয়া যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমূল্যরতন চক্রবর্ত্তীর লেখা
‘ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথের জীবন-কথা’ শীর্ষক বইয়ে। সমাজসেবায় ক্যাপ্টেন
ডাক্তার নরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান, শিক্ষা বিস্তারে কলকাতা ও নিজ এলাকায়
গড়ে তোলা তাঁর প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও এগুলোর সর্বশেষ বর্ণিত হয়েছে জয়নাল
হোসেন সম্পাদিত ‘একজন ক্যাপ্টেন দত্তের তিন শতাব্দীর গল্প’ গ্রন্থে। এক
মলাটে দুই গ্রন্থ নিয়ে আলোচনায় হলো জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী
প্রদর্শনী গ্যালারিতে। আজ শনিবার বিকেলে জয়নাল হোসেনের সম্পাদনায় এক মলাটে
দুই গ্রন্থ একজন ক্যাপ্টেন দত্তের তিন শতাব্দীর গল্প-ক্যাপ্টেন
নরেন্দ্রনাথের জীবন-কথা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জ্যেষ্ঠ
সাংবাদিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। আলোচনা করেন
কথাসাহিত্যিক আন্দালীব রাশদী, আতা সরকার, ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ
আবদুস সালাম, শাহ জিকরুল আহমেদ,মাহবুবুর রহমান, বি এন দুলাল, আহসানুল কবীর,
রাজীব আহসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চৈত্রে বই উৎসবের সমন্বয়ক ও
অ্যাডর্ণ পাবলিকেশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ জাকির হোসাইন। এ অনুষ্ঠানে
বক্তারা বলেন, সমাজসেবায় ক্যাপ্টেন ডাক্তার নরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান,
শিক্ষা বিস্তারে কলকাতা ও নিজ এলাকায় গড়ে তোলা তাঁর প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও
এগুলোর সর্বশেষ অবস্থা চিত্রিত করে বিস্তৃত ক্যানভাসে জয়নাল হোসেন নির্মাণ
করেছেন একজন ক্যাপ্টেন দত্তের তিন শতাব্দীর গল্প। মহান সংগ্রামী, জনদরদি,
আত্মোৎসর্গী এ মনীষীর অনেক অজানা তথ্য আগ্রহী পাঠকের কৌতূহল নিরসনের জন্য
এই বইয়ে তুলে ধরায় জয়নাল হোসেন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। গত ২ এপ্রিল শুরু
হওয়া ‘চৈত্রে বই উৎসব’-আগামী ১২ তারিখ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঠকদের
আগ্রহের কারণে এর সময় বেড়েছে দুই দিন। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী
গ্যালারিতে উৎসবটি চলবে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত। উৎসবে এতে অংশ
নিচ্ছে প্রথমা প্রকাশন, অনন্যা, অনুপম, অ্যাডর্ন, কাকলি, স্টার বুকস,
অবসর-প্রতীক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বেঙ্গল পাবলিকেশনস ও সময় প্রকাশন।
No comments