বড় ভাইয়ের লাম্পট্যের শিকার আপন ছোটবোন- রাঙ্গুনিয়ায় মায়ের মামলায় ছেলে কারাগারে
রাঙ্গুনিয়ায় মায়ের মামলায় লম্পট ছেলে সফুর কারাগারে |
আপন
বড় ভাই মো. সফুর (১৮) এর লাম্পট্যের শিকার হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা
ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস মনি (১৩) এখন নিজগৃহে বন্দী। মা নুরনাহার বেগমের
দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত মো. সফুর রয়েছে কারাগারে। ছোটবোনের সাথে শারীরিক
সম্পর্ক স্থাপন করে গর্ভপাত ঘটানোর ব্যাপারে পুলিশের কাছে সে স্বীকারোক্তি
দিয়েছে। ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস মনি আপন বড় ভাই মো. সফুর তার এই সর্বনাশ
ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত ভিকটিম মনিকে
মায়ের জিম্মায় ও লম্পট বড় ভাই সফুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের মিনাগাজীর টিলা গ্রামে। পেশায় সিএনজি
ট্যাক্সিচালক মো. সফুর মিনাগাজীর টিলা গ্রামের রিক্শাচালক কবির আহমদের
ছেলে। মা নুরনাহার বেগম বাদি হয়ে ছেলে মো. সফুরকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া
থানায় মামলা করেন। শিলক তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ থানার উপ-পরিদর্শক মুজিবর
রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন। ভিকটিম মনি একই এলাকার মতিউল উলুম মাদ্রাসার
সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
ভিকটিমের মা’র দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, তিনি একই এলাকার বাদশা মিয়া কেজি স্কুলে আয়ার কাজ করেন। আর স্বামী কবির আহমদ রিক্শা চালান। উপার্জনের জন্য স্বামী-স্ত্রী দু’জনই থাকেন ঘরের বাইরে। এ সুযোগে তার ছেলে মো. সফুর নিজগৃহে প্রায় তিনমাস পূর্ব থেকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মেয়ে মনির সাথে। তিনমাস ধরে মনির সাথে অবাধে মেলামেশা করে বড় ভাই সফুর। গত ১ মে সর্বশেষ মনিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মা নুরনাহারকে বড়ভাই সফুর কর্তৃক তিনমাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা খুলে বলে। এরপর মনিকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় চিকিৎসক। উপজেলার মরিয়মনগর এলাকার এক চিকিৎসকের মাধ্যমে গত ৮ মে কিশোরীমাতা মনির গর্ভপাত ঘটানো হয়। ৯ মে শুক্রবার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জুমার নামাজের পর এলাকাবাসীর মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। রাতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাঙ্গুনিয়া থানায় এসে মা নুরনাহার বেগম ওসিকে ঘটনা খুলে বলে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ লম্পট মো. সফুরকে আটক করে।
গত রোববার (১০ মে) ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস মনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাদ্দেক মিনহাজের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলে, ‘আমি একটি মাদরাসায় ক্লাস সেভেনে পড়ি। আপন বড়ভাই সফুর তিন মাস পূর্বে প্রথম আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তখন বুঝতে পারিনি। এতে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। ঘটনা জানতে পেরে আমার মা গর্ভপাত ঘটানোর ব্যবস্থা করেন।’ এদিকে পুলিশের কাছে লম্পট মো. সফুর ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস মনির সাথে অবৈধ মেলামেশার ঘটনা ১৬১ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ্ বলেন, এজাতীয় ঘটনা মহাশাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। গায়ের জোরে আইনকে পাল্টিয়ে দেয়া যাবে না। ধনী গরীব সবার জন্য আইন সমান। সত্যের পথে থেকে প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম আদালতে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছে। অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সফুর। ঘটনাটি নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান। -দৈনিক পূর্বকোণ
ভিকটিমের মা’র দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, তিনি একই এলাকার বাদশা মিয়া কেজি স্কুলে আয়ার কাজ করেন। আর স্বামী কবির আহমদ রিক্শা চালান। উপার্জনের জন্য স্বামী-স্ত্রী দু’জনই থাকেন ঘরের বাইরে। এ সুযোগে তার ছেলে মো. সফুর নিজগৃহে প্রায় তিনমাস পূর্ব থেকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মেয়ে মনির সাথে। তিনমাস ধরে মনির সাথে অবাধে মেলামেশা করে বড় ভাই সফুর। গত ১ মে সর্বশেষ মনিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মা নুরনাহারকে বড়ভাই সফুর কর্তৃক তিনমাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা খুলে বলে। এরপর মনিকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় চিকিৎসক। উপজেলার মরিয়মনগর এলাকার এক চিকিৎসকের মাধ্যমে গত ৮ মে কিশোরীমাতা মনির গর্ভপাত ঘটানো হয়। ৯ মে শুক্রবার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জুমার নামাজের পর এলাকাবাসীর মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। রাতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাঙ্গুনিয়া থানায় এসে মা নুরনাহার বেগম ওসিকে ঘটনা খুলে বলে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ লম্পট মো. সফুরকে আটক করে।
গত রোববার (১০ মে) ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস মনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাদ্দেক মিনহাজের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলে, ‘আমি একটি মাদরাসায় ক্লাস সেভেনে পড়ি। আপন বড়ভাই সফুর তিন মাস পূর্বে প্রথম আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তখন বুঝতে পারিনি। এতে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। ঘটনা জানতে পেরে আমার মা গর্ভপাত ঘটানোর ব্যবস্থা করেন।’ এদিকে পুলিশের কাছে লম্পট মো. সফুর ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস মনির সাথে অবৈধ মেলামেশার ঘটনা ১৬১ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ্ বলেন, এজাতীয় ঘটনা মহাশাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। গায়ের জোরে আইনকে পাল্টিয়ে দেয়া যাবে না। ধনী গরীব সবার জন্য আইন সমান। সত্যের পথে থেকে প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম আদালতে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছে। অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সফুর। ঘটনাটি নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান। -দৈনিক পূর্বকোণ
No comments