সবাইকে জানানো হয় টাকা না দিলে ক্ষুধায় মরতে হবে -একজন মানব পাচারকারীর ভাষ্য
কামরুল রহমানের (ছদ্মনাম) সঙ্গে কথা বলছেন বিবিসির সাংবাদিক জাস্টিন রোলাট (ডানে) l ছবি: বিবিসি অনলাইন |
সাগরপথে
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নৌকায় তোলা প্রতিটি ব্যক্তিকেই জানানো হয়,
টাকা দিতে না পারলে বন্দী করা হবে। খাবারও দেওয়া হবে না। না খেয়ে মরতে
হবে। এই দাবি করলেন নিজেকে মানব পাচারকারী বলে পরিচয় দেওয়া কামরুল রহমান
(ছদ্মনাম)।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এই কামরুলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়ার করেসপনডেন্ট জাস্টিন রোলাট। ত্রিশের কোঠায় বয়স কামরুলের। জানালেন, নিজে একসময় জেলে ছিলেন। টাকার লোভে মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রোলাটের সঙ্গে আলাপকালে মানব পাচারের বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি। খবর বিবিসির।
কামরুল জানালেন, বন্দিশিবির হলো তাঁদের ‘ব্যবসার’ অপরিহার্য একটি অংশ। অভিবাসনপ্রত্যাশী সবাই তাঁদের এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। তিনি বলেন, ‘চুক্তি হয় সোজাসাপটা। সংশ্লিষ্ট সবাই এটা বোঝে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছার পর আপনাকে মূল টাকাটা (প্রায় দুই লাখ) দিতে হবে।’
কামরুলের কথা শুনে অবাক রোলাটের প্রশ্ন, ‘তার মানে নৌকায় ওঠা প্রত্যেকেই জানেন মালয়েশিয়ায় পৌঁছার আগে তাঁদের থাইল্যান্ডের শিবিরে থাকতে হবে?’ কামরুলের নির্লিপ্ত জবাব, ‘রওনা হওয়ার আগে আমরা তাদের বলি, টাকা দিতে না পারলে বন্দী করা হবে। তুমি কোনো খাবার পাবে না, না খেয়ে মরতে হবে। আর যদি টাকা দাও, সম্মানের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পথে রওনা হবে।’
ব্যতিক্রম ছাড়া অনেক অভিবাসী ও অভিবাসীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে কামরুলের দাবির সত্যতা মিলেছে। তাঁরা জানেন, পুরো টাকা শোধ না করা পর্যন্ত থাইল্যান্ডে বন্দী থাকতে হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি স্টিনা এলজাংডেলও বলেন, অনেক অভিবাসীই জানেন সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তাঁদের কী পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।
কামরুল বলেন, ‘প্রত্যেককেই বলি সফলভাবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে পারলে প্রতি মাসে পরিবারকে ৩০ হাজারের মতো করে টাকা পাঠাতে পারবে।’
কিন্তু অনেক অভিবাসীর পক্ষেই সেটা সম্ভব হয় না। কামরুল জানান, তিনি গড়ে পাঁচজনের মধ্যে একজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে ব্যর্থ হন। অনেকে থাইল্যান্ডে শিবিরে পৌঁছার আগেই মারা যান। তিনি বলেন, ‘কেউ নৌকায় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মারা যায়, কেউ মানসিক চাপে পড়ে মারা যায়, কেউ মারা যায় খাদ্যের অভাবে।’
যাঁরা মারা যায় তাঁদের সম্পর্কে কামরুলের মন্তব্য, ‘এটা তাদের ভাগ্য।’
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এই কামরুলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়ার করেসপনডেন্ট জাস্টিন রোলাট। ত্রিশের কোঠায় বয়স কামরুলের। জানালেন, নিজে একসময় জেলে ছিলেন। টাকার লোভে মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রোলাটের সঙ্গে আলাপকালে মানব পাচারের বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি। খবর বিবিসির।
কামরুল জানালেন, বন্দিশিবির হলো তাঁদের ‘ব্যবসার’ অপরিহার্য একটি অংশ। অভিবাসনপ্রত্যাশী সবাই তাঁদের এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। তিনি বলেন, ‘চুক্তি হয় সোজাসাপটা। সংশ্লিষ্ট সবাই এটা বোঝে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছার পর আপনাকে মূল টাকাটা (প্রায় দুই লাখ) দিতে হবে।’
কামরুলের কথা শুনে অবাক রোলাটের প্রশ্ন, ‘তার মানে নৌকায় ওঠা প্রত্যেকেই জানেন মালয়েশিয়ায় পৌঁছার আগে তাঁদের থাইল্যান্ডের শিবিরে থাকতে হবে?’ কামরুলের নির্লিপ্ত জবাব, ‘রওনা হওয়ার আগে আমরা তাদের বলি, টাকা দিতে না পারলে বন্দী করা হবে। তুমি কোনো খাবার পাবে না, না খেয়ে মরতে হবে। আর যদি টাকা দাও, সম্মানের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পথে রওনা হবে।’
ব্যতিক্রম ছাড়া অনেক অভিবাসী ও অভিবাসীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে কামরুলের দাবির সত্যতা মিলেছে। তাঁরা জানেন, পুরো টাকা শোধ না করা পর্যন্ত থাইল্যান্ডে বন্দী থাকতে হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি স্টিনা এলজাংডেলও বলেন, অনেক অভিবাসীই জানেন সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তাঁদের কী পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।
কামরুল বলেন, ‘প্রত্যেককেই বলি সফলভাবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে পারলে প্রতি মাসে পরিবারকে ৩০ হাজারের মতো করে টাকা পাঠাতে পারবে।’
কিন্তু অনেক অভিবাসীর পক্ষেই সেটা সম্ভব হয় না। কামরুল জানান, তিনি গড়ে পাঁচজনের মধ্যে একজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে ব্যর্থ হন। অনেকে থাইল্যান্ডে শিবিরে পৌঁছার আগেই মারা যান। তিনি বলেন, ‘কেউ নৌকায় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মারা যায়, কেউ মানসিক চাপে পড়ে মারা যায়, কেউ মারা যায় খাদ্যের অভাবে।’
যাঁরা মারা যায় তাঁদের সম্পর্কে কামরুলের মন্তব্য, ‘এটা তাদের ভাগ্য।’
No comments