কার হেফাজতে হেফাজত by আহমেদ জামাল
হেফাজতে
ইসলামের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব এবং অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বহুল
আলোচিত-সমালোচিত সংগঠনটির ভবিষ্যৎ আমীর কে হবেন তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে
নেতাকর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সংগঠনের আমীর আল্লামা আহমদ শফী বয়োবৃদ্ধ এবং
শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নেতৃত্ব নিয়ে তিন
ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা। এক ভাগ আমীর পুত্র আনাস মাদানীর
পক্ষে। এক ভাগ মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে। আর এক ভাগ চায় নায়েবে আমীর
মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে।
এ ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মানবজমিনকে বলেন, নিষ্ক্রিয় হলেও সংগঠনের নেতৃত্ব কর্তৃত্ব এখনো আমীরের হাতে। মহাসচিব হলেও আমি আমীরের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার রাখি না। তিনি বলেন, পরিবেশ না থাকায় আমীর কোন তৎপরতা চালাতে চান না। তার আশঙ্কা কোন কর্মসূচি দিলেই সরকার তরফে বিএনপি-জামায়াতের দালাল বলে আখ্যায়িত করা হবে। তবে নৈতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ১৩ দফা কর্মসূচি চালু রাখার পক্ষে মত দেন হেফাজতের শীর্ষ এই নেতা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন ভাগে বিভক্ত হেফাজত নেতাদের একটি অংশের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। আরেকটি অংশ ঘনিষ্ঠ বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে। হঠাৎ উত্থান হওয়া হেফাজতে ইসলাম মূলত মিইয়ে যায় শাপলা চত্বরে। ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর সংগঠনটির তৎপরতা থেমে যায়। দলের নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হন। একের পর এক দায়ের করা হয় মামলা। তবে এরই মধ্যে সরকারের একটি প্রভাবশালী অংশ হেফাজতের সঙ্গে যোগাযোগও করে। এক ধরনের সমঝোতায়ও পৌঁছায় উভয়পক্ষ। যে কারণে হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা কোন মামলাই আর এগুচ্ছে না। নানা সাহায্য-সহযোগিতাও পাচ্ছে। সূত্র জানায়, সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের নামে একদিকে মামলা, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও সার্বক্ষণিক নজরদারি, দলের আমীর ও তার সন্তানের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ঘন ঘন যোগাযোগ, সব মিলিয়ে হেফাজতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। এতে কর্মসূচি পালনের মতো নৈতিক শক্তি-সামর্থ্য হারিয়ে যায় হেফাজতের।
চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতের এক দায়িত্বশীল নেতা জানান, গত বছর লালদীঘির মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনের আগের দিন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হেফাজত আমীর ও তার পুত্র আনাসের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। এরপর গত বছরের ১৭ই মার্চ গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। একই বছরের ২২শে এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আহমদ শফির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে হেফাজত আমীর ও আনাস ছাড়া দলের অন্য কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি হেফাজতের মহাসচিবও নয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, নেতৃত্বের টানাপড়েন, আনাসের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টাসহ নানা কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে হেফাজত। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকার নীতি-নির্ধারকরা। সংগঠনের দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়, আনাসের নেতৃত্ব দখলের খায়েশ সংগঠনটিকে এমন পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। পিতার শারীরিক দুর্বলতার অজুহাতে সংগঠনের কর্তৃত্ব মুষ্টিবদ্ধ করতে চান আনাস। এ নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুরু হয় পিতাপুত্রের টানাপড়েন। পদচ্যুত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুতে এই সঙ্কট আরও প্রকট হয়। এই ইস্যুতে হেফাজতের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ব্যাপক সমালোচনার মুখেও নীরবতা ভাঙেনি তাদের। এ পর্যায়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন চাইছেন সংগঠনের বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীরা। মহাসচিব মাওলানা জুরায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতকে গতিশীল করতে চান অনেকেই। কিন্তু আনাসের বাধায় সেটা হয়ে উঠছে না।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েক জন হেফাজত নেতা মনে করেন, গত বছর ২৭শে ডিসেম্বর উচ্চপদস্থ এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর থেকেই হেফাজত আমীরের আচরণে পরিবর্তন শুরু হয়। সে থেকে ১৩ দফা দাবি নিয়ে কোন বক্তৃতা বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি তাকে। তখন থেকেই হুজুর নীরবতা পালন করে যাচ্ছেন। অনেকের মতে বার্ধক্যের কারণে হেফাজত আমীর সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা অক্ষম হয়ে পুত্রের প্রতি অত্যধিক স্নেহ ও নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন আনাস। এ পর্যায়ে সংগঠনের ভেতর বহমান তিন ধারা সম্পর্কে দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, আল্লামা আহমদ শফী যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন আমীর পদ নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই। তবে তার অবর্তমানে কে হেফাজতের হাল ধরবেন তা নিয়ে খানিকটা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য বিষয়টি নির্ধারণ করার দায়িত্ব মজলিসে শূরার। আমীর পদে একাধিক আগ্রহী থাকা প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, এ সংগঠনে উত্তরাধিকার সূত্রে আমীর হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এলেম, আমল, বয়স আধ্যাত্মিক জ্ঞান, শারীরিক যোগ্যতা বিবেচনা করে আমীর নির্বাচন করবে মজলিসে শূরা। ওদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতার মতে, শাপলা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে গত দুই বছর ধরে হেফাজত নেতাদের মাঝে বিভক্তি বিরাজ করছে। হেফাজতের একটি অংশ সরকার বিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের পক্ষে ছিল। তারা সুদ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য ও হিজাব পরা নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানায়। এমনকি এই ইস্যুতে হরতালের ঘোষণাও দিয়েছিল তারা। কিন্তু সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা আরেকটি অংশের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। সব মিলিয়ে বিপুল সমর্থক গোষ্ঠীর আদর্শিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম আছে-আবার নেই এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
এ ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মানবজমিনকে বলেন, নিষ্ক্রিয় হলেও সংগঠনের নেতৃত্ব কর্তৃত্ব এখনো আমীরের হাতে। মহাসচিব হলেও আমি আমীরের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার রাখি না। তিনি বলেন, পরিবেশ না থাকায় আমীর কোন তৎপরতা চালাতে চান না। তার আশঙ্কা কোন কর্মসূচি দিলেই সরকার তরফে বিএনপি-জামায়াতের দালাল বলে আখ্যায়িত করা হবে। তবে নৈতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ১৩ দফা কর্মসূচি চালু রাখার পক্ষে মত দেন হেফাজতের শীর্ষ এই নেতা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন ভাগে বিভক্ত হেফাজত নেতাদের একটি অংশের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। আরেকটি অংশ ঘনিষ্ঠ বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে। হঠাৎ উত্থান হওয়া হেফাজতে ইসলাম মূলত মিইয়ে যায় শাপলা চত্বরে। ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর সংগঠনটির তৎপরতা থেমে যায়। দলের নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হন। একের পর এক দায়ের করা হয় মামলা। তবে এরই মধ্যে সরকারের একটি প্রভাবশালী অংশ হেফাজতের সঙ্গে যোগাযোগও করে। এক ধরনের সমঝোতায়ও পৌঁছায় উভয়পক্ষ। যে কারণে হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা কোন মামলাই আর এগুচ্ছে না। নানা সাহায্য-সহযোগিতাও পাচ্ছে। সূত্র জানায়, সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের নামে একদিকে মামলা, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও সার্বক্ষণিক নজরদারি, দলের আমীর ও তার সন্তানের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ঘন ঘন যোগাযোগ, সব মিলিয়ে হেফাজতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। এতে কর্মসূচি পালনের মতো নৈতিক শক্তি-সামর্থ্য হারিয়ে যায় হেফাজতের।
চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতের এক দায়িত্বশীল নেতা জানান, গত বছর লালদীঘির মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনের আগের দিন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হেফাজত আমীর ও তার পুত্র আনাসের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। এরপর গত বছরের ১৭ই মার্চ গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। একই বছরের ২২শে এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আহমদ শফির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে হেফাজত আমীর ও আনাস ছাড়া দলের অন্য কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি হেফাজতের মহাসচিবও নয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, নেতৃত্বের টানাপড়েন, আনাসের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টাসহ নানা কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে হেফাজত। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকার নীতি-নির্ধারকরা। সংগঠনের দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়, আনাসের নেতৃত্ব দখলের খায়েশ সংগঠনটিকে এমন পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। পিতার শারীরিক দুর্বলতার অজুহাতে সংগঠনের কর্তৃত্ব মুষ্টিবদ্ধ করতে চান আনাস। এ নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুরু হয় পিতাপুত্রের টানাপড়েন। পদচ্যুত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুতে এই সঙ্কট আরও প্রকট হয়। এই ইস্যুতে হেফাজতের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ব্যাপক সমালোচনার মুখেও নীরবতা ভাঙেনি তাদের। এ পর্যায়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন চাইছেন সংগঠনের বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীরা। মহাসচিব মাওলানা জুরায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতকে গতিশীল করতে চান অনেকেই। কিন্তু আনাসের বাধায় সেটা হয়ে উঠছে না।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েক জন হেফাজত নেতা মনে করেন, গত বছর ২৭শে ডিসেম্বর উচ্চপদস্থ এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর থেকেই হেফাজত আমীরের আচরণে পরিবর্তন শুরু হয়। সে থেকে ১৩ দফা দাবি নিয়ে কোন বক্তৃতা বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি তাকে। তখন থেকেই হুজুর নীরবতা পালন করে যাচ্ছেন। অনেকের মতে বার্ধক্যের কারণে হেফাজত আমীর সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা অক্ষম হয়ে পুত্রের প্রতি অত্যধিক স্নেহ ও নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন আনাস। এ পর্যায়ে সংগঠনের ভেতর বহমান তিন ধারা সম্পর্কে দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, আল্লামা আহমদ শফী যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন আমীর পদ নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই। তবে তার অবর্তমানে কে হেফাজতের হাল ধরবেন তা নিয়ে খানিকটা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য বিষয়টি নির্ধারণ করার দায়িত্ব মজলিসে শূরার। আমীর পদে একাধিক আগ্রহী থাকা প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, এ সংগঠনে উত্তরাধিকার সূত্রে আমীর হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এলেম, আমল, বয়স আধ্যাত্মিক জ্ঞান, শারীরিক যোগ্যতা বিবেচনা করে আমীর নির্বাচন করবে মজলিসে শূরা। ওদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতার মতে, শাপলা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে গত দুই বছর ধরে হেফাজত নেতাদের মাঝে বিভক্তি বিরাজ করছে। হেফাজতের একটি অংশ সরকার বিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের পক্ষে ছিল। তারা সুদ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য ও হিজাব পরা নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানায়। এমনকি এই ইস্যুতে হরতালের ঘোষণাও দিয়েছিল তারা। কিন্তু সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা আরেকটি অংশের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। সব মিলিয়ে বিপুল সমর্থক গোষ্ঠীর আদর্শিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম আছে-আবার নেই এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
No comments