ফেসবুকে স্ট্যাটাস কেড়ে নিল জীবনের প্রাণ, রাজশাহীতে গুলিতে নিহত ব্যক্তি যুবদল কর্মী
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিধবা। তার ওপর পাঁচ মাস বয়সী সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। স্বামীকে হারিয়ে মুহূর্তেই যেন শূন্য হয়ে গেল সোনিয়া খাতুনের চারপাশ l শহীদুল ইসলাম |
রাজশাহীতে
গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনার সূত্রপাত
হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র
করে। আর সেই দ্বন্দ্বে সাঙ্গ হলো জীবনের প্রাণ।
নিহত জীবন শেখ (২৫) ছাত্রলীগ কর্মী বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি যুবদল কর্মী। জীবন তাঁর বন্ধু সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল আরেফিন রবিনের পক্ষে মারামারি করতে গিয়েছিলেন। রাজশাহীর রানিবাজার এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়।
জীবনের বাড়ি নগরের হেতেম খাঁ কারিগরপাড়ায়। তাঁর বাবা হোসেন আলী শেখ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা শামসুলের সঙ্গে সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান তুহিনের মধ্যে ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে।
আশিকুর জানায়, সে বুঝতে পারেনি যে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সে ফেসবুকে ঢুকে দেখে, তার আইডি থেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে ‘ইডিয়ট’ ও ‘রাসকল’ বলে দুটি গালি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলে। ইতিমধ্যে শামসুল ফেসবুকে বারবার বার্তা পাঠিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। তাঁর কথা শোনার জন্য বিকেলে নগরের রাজারহাতা এলাকায় যাওয়া মাত্র শামসুল তাকে ধরে মারতে শুরু করেন। এর জেরে রাতে রানিবাজর এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
আশিকের বাবা আতিকুর রহমান নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা পছন্দ করেন না তিনি। এ জন্য তাঁর ছেলেকে মারার জন্য তিনি কাউকে মারতে যাননি। থানায় শুধু একটি অভিযোগ করেছেন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই রাগে রাতে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মারধর করা হয় তাঁর বড় ছেলে রেজাউনুর রহমান তুষারকে। তিনি বলেন, ‘পরে যখন এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়, তখন আমার ছেলের পক্ষের লোকজন ওদের কাছে ভিড়তেই পারেনি। অথচ যে ছেলের গুলি লেগেছে, তাকে কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে শামসুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ। তাঁর বাবা আবু বাক্কার কিনু একজন বিএনপি-সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনিও ফোন ধরেননি।
যোগাযোগ করা হলে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, জীবন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বয়স কম হওয়ার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিলেও ছাত্রদলের সঙ্গেই থাকতেন। মাস তিনেক হয়েছে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাঁর চলাফেরা।
জীবনের বাবা হোসেন আলী বলেন, তাঁর ছেলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিনি মাঝেমধ্যে পাইপলাইনের কাজ করতেন। তাঁর পাঁচ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
হোসেন আলী বলেন, তাঁর ছেলে বিএনপির রাজনীতি করতেন। ছাত্রলীগ নেতা শামসুল তাঁর বন্ধু। শামসুলই তাঁর ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। ছেলের লাশ দাফনের পর খোঁজখবর নিয়ে আইনের আশ্রয় নেবেন।
গতকাল দুপুরে জীবনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (১৬) ছেলেকে কোলে নিয়ে চিৎকার করে কাঁদছেন। হাউমাউ করে বলছেন, ‘এই ছেলে নিয়ে আমি কোথায় যাব? আমি মরে যাব। আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার স্বামীকে মানুষে খুন করেছে...।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, জীবনের বাঁ চোখের নিচে গুলি লেগে বাঁ কানের পেছন দিয়ে বের হয়ে গেছে। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার ওসি মাহামুদুর রহমান দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় নাশকতার অভিযোগে করা পাঁচটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জীবন। তিনি জামিনে ছিলেন।
নিহত জীবন শেখ (২৫) ছাত্রলীগ কর্মী বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি যুবদল কর্মী। জীবন তাঁর বন্ধু সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল আরেফিন রবিনের পক্ষে মারামারি করতে গিয়েছিলেন। রাজশাহীর রানিবাজার এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়।
জীবনের বাড়ি নগরের হেতেম খাঁ কারিগরপাড়ায়। তাঁর বাবা হোসেন আলী শেখ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা শামসুলের সঙ্গে সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান তুহিনের মধ্যে ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে।
আশিকুর জানায়, সে বুঝতে পারেনি যে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সে ফেসবুকে ঢুকে দেখে, তার আইডি থেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে ‘ইডিয়ট’ ও ‘রাসকল’ বলে দুটি গালি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলে। ইতিমধ্যে শামসুল ফেসবুকে বারবার বার্তা পাঠিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। তাঁর কথা শোনার জন্য বিকেলে নগরের রাজারহাতা এলাকায় যাওয়া মাত্র শামসুল তাকে ধরে মারতে শুরু করেন। এর জেরে রাতে রানিবাজর এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
আশিকের বাবা আতিকুর রহমান নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা পছন্দ করেন না তিনি। এ জন্য তাঁর ছেলেকে মারার জন্য তিনি কাউকে মারতে যাননি। থানায় শুধু একটি অভিযোগ করেছেন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই রাগে রাতে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মারধর করা হয় তাঁর বড় ছেলে রেজাউনুর রহমান তুষারকে। তিনি বলেন, ‘পরে যখন এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়, তখন আমার ছেলের পক্ষের লোকজন ওদের কাছে ভিড়তেই পারেনি। অথচ যে ছেলের গুলি লেগেছে, তাকে কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে শামসুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ। তাঁর বাবা আবু বাক্কার কিনু একজন বিএনপি-সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনিও ফোন ধরেননি।
যোগাযোগ করা হলে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, জীবন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বয়স কম হওয়ার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিলেও ছাত্রদলের সঙ্গেই থাকতেন। মাস তিনেক হয়েছে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাঁর চলাফেরা।
জীবনের বাবা হোসেন আলী বলেন, তাঁর ছেলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিনি মাঝেমধ্যে পাইপলাইনের কাজ করতেন। তাঁর পাঁচ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
হোসেন আলী বলেন, তাঁর ছেলে বিএনপির রাজনীতি করতেন। ছাত্রলীগ নেতা শামসুল তাঁর বন্ধু। শামসুলই তাঁর ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। ছেলের লাশ দাফনের পর খোঁজখবর নিয়ে আইনের আশ্রয় নেবেন।
গতকাল দুপুরে জীবনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (১৬) ছেলেকে কোলে নিয়ে চিৎকার করে কাঁদছেন। হাউমাউ করে বলছেন, ‘এই ছেলে নিয়ে আমি কোথায় যাব? আমি মরে যাব। আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার স্বামীকে মানুষে খুন করেছে...।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, জীবনের বাঁ চোখের নিচে গুলি লেগে বাঁ কানের পেছন দিয়ে বের হয়ে গেছে। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার ওসি মাহামুদুর রহমান দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় নাশকতার অভিযোগে করা পাঁচটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জীবন। তিনি জামিনে ছিলেন।
No comments