অন্যের জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ধান্দা by কাজী আনিছ
মালিক সেজে আরেক জনের জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল একটি চক্র। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জমির মালিক। সম্প্রতি ওই মামলায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন মতিউর রহমান ও আলমাস। ঘটনার পর পুলিশ মতিউরকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে। আলমাস ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
জমির মালিকপক্ষের দাবি, মতিউর ও আলমাস জমি বন্ধক রেখে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমির মালিক জনৈক শামসুল ইসলাম ও তাঁর দুই ভাই। তাঁরা ওই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে মতিউর রহমান ও মো. আলমাস নামের দুজন শামসুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা একটি কোম্পানির কাছে জমি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান। তাঁরা শামসুলের কাছ থেকে জমির কাগজপত্রের ফটোকপি ও শামসুলের অপর দুই ভাইয়ের পাসপোর্টের ফটোকপি নেন। এরপর শামসুল হজ্ব করতে চলে যান। হজ্ব থেকে ফেরার পর গত ১ ডিসেম্বর সকালে শামসুল খিলগাঁওয়ের ওই জমি দেখতে গিয়ে দেখেন, সেখানে মতিউর ও আলমাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তিনজন ভদ্রগোছের লোক। তিনি ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল প্রধান শাখা থেকে এসেছেন বলে জানান। তাঁরা আরও জানান, মতিউর ও আলমাস ওই জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাই তারা তদারকি করতে এসেছেন। এসব কথা শুনে শামসুল অবাক বলেন, তিনিই জমির মালিক। তখন ব্যাংক কর্মকর্তারাও আশ্চর্য হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে ব্যাংকের সঙ্গে কোন শামসুল ইসলাম কথা বললেন? ’ এসব কথাবার্তার মধ্যেই মতিউর ও আলমাস দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে শামসুল দৌড়ে মতিউরকে ধরে ফেলেন। তবে আলমাস পালিয়ে যান। পরে শামসুল মতিউরকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে যান। ওই দিন তিনি মতিউর ও আলমাসের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন।
শামসুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলমাস স্থানীয় লোক বলে তারে বিশ্বাস করে সব জমির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে দিছিলাম। কিন্তু সে যে এমন প্রতারণার করবে তা কোনোদিনই ভাবি নাই।’
সম্প্রতি মতিঝিলে ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তারা জানান, পুরান ঢাকার নারায়ন চন্দ্র সরকার নামের এক কাগজ ব্যবসায়ী ঋণের আবেদন করেছেন। পরে শামসুল ইসলাম পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁর তৃতীয় পক্ষ হয়ে ব্যাংকে যান। তিনি খিলগাঁওয়ের ওই জমির মালিক বলে নারায়নের ঋণ বাবদ ওই জমি বন্ধক রাখার কথা জানান। জমির কাগজপত্রের ফটোকপিও দেওয়া হয়। ওই জমি তদারকি করতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। ঋণ আবেদন বাতিল করার বিষয়টি নারায়নকে চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, নারায়ন এক কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে নিয়মানুযায়ী জমি তদারকির পর বাজারমূল্য অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করে ব্যাংক। কিন্তু প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ার পর অতদূর পর্যন্ত আর যেতে হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে নারায়ন বলেন, তিনি তাঁর জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে খিলগাঁওয়ের কারও জমি বন্ধক রাখার আবেদনের কথা তিনি জানেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন প্রথম আলো কে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষে মতিউর ও আলমাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে শুধু ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে কাগজপত্র না পাওয়ায় টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
আসামিরা হলেন মতিউর রহমান ও আলমাস। ঘটনার পর পুলিশ মতিউরকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে। আলমাস ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
জমির মালিকপক্ষের দাবি, মতিউর ও আলমাস জমি বন্ধক রেখে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমির মালিক জনৈক শামসুল ইসলাম ও তাঁর দুই ভাই। তাঁরা ওই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে মতিউর রহমান ও মো. আলমাস নামের দুজন শামসুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা একটি কোম্পানির কাছে জমি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান। তাঁরা শামসুলের কাছ থেকে জমির কাগজপত্রের ফটোকপি ও শামসুলের অপর দুই ভাইয়ের পাসপোর্টের ফটোকপি নেন। এরপর শামসুল হজ্ব করতে চলে যান। হজ্ব থেকে ফেরার পর গত ১ ডিসেম্বর সকালে শামসুল খিলগাঁওয়ের ওই জমি দেখতে গিয়ে দেখেন, সেখানে মতিউর ও আলমাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তিনজন ভদ্রগোছের লোক। তিনি ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল প্রধান শাখা থেকে এসেছেন বলে জানান। তাঁরা আরও জানান, মতিউর ও আলমাস ওই জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাই তারা তদারকি করতে এসেছেন। এসব কথা শুনে শামসুল অবাক বলেন, তিনিই জমির মালিক। তখন ব্যাংক কর্মকর্তারাও আশ্চর্য হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে ব্যাংকের সঙ্গে কোন শামসুল ইসলাম কথা বললেন? ’ এসব কথাবার্তার মধ্যেই মতিউর ও আলমাস দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে শামসুল দৌড়ে মতিউরকে ধরে ফেলেন। তবে আলমাস পালিয়ে যান। পরে শামসুল মতিউরকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে যান। ওই দিন তিনি মতিউর ও আলমাসের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন।
শামসুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলমাস স্থানীয় লোক বলে তারে বিশ্বাস করে সব জমির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে দিছিলাম। কিন্তু সে যে এমন প্রতারণার করবে তা কোনোদিনই ভাবি নাই।’
সম্প্রতি মতিঝিলে ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তারা জানান, পুরান ঢাকার নারায়ন চন্দ্র সরকার নামের এক কাগজ ব্যবসায়ী ঋণের আবেদন করেছেন। পরে শামসুল ইসলাম পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁর তৃতীয় পক্ষ হয়ে ব্যাংকে যান। তিনি খিলগাঁওয়ের ওই জমির মালিক বলে নারায়নের ঋণ বাবদ ওই জমি বন্ধক রাখার কথা জানান। জমির কাগজপত্রের ফটোকপিও দেওয়া হয়। ওই জমি তদারকি করতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। ঋণ আবেদন বাতিল করার বিষয়টি নারায়নকে চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, নারায়ন এক কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে নিয়মানুযায়ী জমি তদারকির পর বাজারমূল্য অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করে ব্যাংক। কিন্তু প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ার পর অতদূর পর্যন্ত আর যেতে হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে নারায়ন বলেন, তিনি তাঁর জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে খিলগাঁওয়ের কারও জমি বন্ধক রাখার আবেদনের কথা তিনি জানেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন প্রথম আলো কে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষে মতিউর ও আলমাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে শুধু ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে কাগজপত্র না পাওয়ায় টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
No comments