নেতানিয়াহুর দিন শেষ?
ইসরাইলে
দীর্ঘদিনের শাসননীতিতে এবার পরিবর্তন ঘটে। কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুর দিন শেষ। আর নেতানিয়াহু যুগ নয়, ইসরাইলের পত্রিকায় এবার নতুন
যুগের সূচনা হবে। নির্বাচনের একদিন আগে সোমবার এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন
মধ্য বামপন্থী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ। রয়টার্স
বিভিন্ন জরিপ থেকেও দেখা যাচ্ছে, এবার নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ইসরাইলিরা এখন ইরানকে ভয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোতে বেশি আগ্রহী। নেতানিয়াহুর উগ্র ইহুদিবাদী লিকুদ পার্টির অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার হচ্ছে ইসরাইলিদের ইরানের ভয় দেখানো।
সাবেক টেলিভিশন সংবাদ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপক ইয়াইর লাপিদের মধ্য বামপন্থী দল ইয়েশ আতিদ পার্টি ২০১১ সালের নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে। নতুন দল হয়েও তা নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
৫১ বছর বয়সী লাপিদের যুক্তি হচ্ছে, ইসরাইলিরা এবার পরিবর্তন চায়। এক সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কারণ এখন আমাদের জন্য নিরাপত্তা ইস্যুটি প্রধান নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোই এখন প্রধান।"
লাপিদ এক সময় নেতানিয়াহু মন্ত্রিপরিষদের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না কখনোই।
আইজ্যাক হারজোগ ও জিপি লিভনির জোট এবার বেশ আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে। কয়েক মাস আগে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করায় উভয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পরেই জোট ভাঙার হুমকিতে পড়ে নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি। মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত ওই দুই নেতাই নেতানিয়াহুর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লেবার পার্টির নেতা হারজোগ। তবে কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে কোনো পক্ষ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ইসরাইলের গত ৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠিত হতে পারে। তবে সর্বশেষ জরিপগুলোতে মধ্য বামপন্থী জায়োনিস্ট ইউনিয়নের প্রার্থী আইজ্যাক হারজোগই এগিয়ে থাকায় ঐক্য সরকারের সম্ভাবনা কমে এসেছে।
এদিকে হারজোগ-লিভনি অবশ্য পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফিলিস্তিন ও ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের বিষয়টি তুলে ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। ক্ষমতায় এলে এ সব সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন বলেও প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন তারা। বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ।
এদিকে, টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে আশাবাদী নেতানিয়াহু। এবার জয়ী হলে ইসরাইলের ইতিহাসে তিনিই হবেন দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণার মূল ইস্যু হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভয় দেখানো এবং গাজার ইসলামপন্থী সশস্ত্র গ্র“পগুলোর তৎপরতার ভয় দেখানো।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া তার ভাষণের পর থেকে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা দেশে ও দেশের বাইরে কমতে থাকে। তাই এই ভাষণকেই ধরে নেয়া হচ্ছে নেতানিয়াহুর জন্য টার্নিং পয়েন্ট।
বিভিন্ন জরিপ থেকেও দেখা যাচ্ছে, এবার নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ইসরাইলিরা এখন ইরানকে ভয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোতে বেশি আগ্রহী। নেতানিয়াহুর উগ্র ইহুদিবাদী লিকুদ পার্টির অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার হচ্ছে ইসরাইলিদের ইরানের ভয় দেখানো।
সাবেক টেলিভিশন সংবাদ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপক ইয়াইর লাপিদের মধ্য বামপন্থী দল ইয়েশ আতিদ পার্টি ২০১১ সালের নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে। নতুন দল হয়েও তা নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
৫১ বছর বয়সী লাপিদের যুক্তি হচ্ছে, ইসরাইলিরা এবার পরিবর্তন চায়। এক সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কারণ এখন আমাদের জন্য নিরাপত্তা ইস্যুটি প্রধান নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোই এখন প্রধান।"
লাপিদ এক সময় নেতানিয়াহু মন্ত্রিপরিষদের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না কখনোই।
আইজ্যাক হারজোগ ও জিপি লিভনির জোট এবার বেশ আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে। কয়েক মাস আগে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করায় উভয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পরেই জোট ভাঙার হুমকিতে পড়ে নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি। মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত ওই দুই নেতাই নেতানিয়াহুর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লেবার পার্টির নেতা হারজোগ। তবে কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে কোনো পক্ষ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ইসরাইলের গত ৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠিত হতে পারে। তবে সর্বশেষ জরিপগুলোতে মধ্য বামপন্থী জায়োনিস্ট ইউনিয়নের প্রার্থী আইজ্যাক হারজোগই এগিয়ে থাকায় ঐক্য সরকারের সম্ভাবনা কমে এসেছে।
এদিকে হারজোগ-লিভনি অবশ্য পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফিলিস্তিন ও ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের বিষয়টি তুলে ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। ক্ষমতায় এলে এ সব সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন বলেও প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন তারা। বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ।
এদিকে, টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে আশাবাদী নেতানিয়াহু। এবার জয়ী হলে ইসরাইলের ইতিহাসে তিনিই হবেন দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণার মূল ইস্যু হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভয় দেখানো এবং গাজার ইসলামপন্থী সশস্ত্র গ্র“পগুলোর তৎপরতার ভয় দেখানো।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া তার ভাষণের পর থেকে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা দেশে ও দেশের বাইরে কমতে থাকে। তাই এই ভাষণকেই ধরে নেয়া হচ্ছে নেতানিয়াহুর জন্য টার্নিং পয়েন্ট।
No comments