শিশু আবু সাঈদ হত্যা- মামাতো দুই ভাইকেও অপহরণের হুমকি দিয়েছিল ঘাতকেরা
সিলেটে
স্কুলছাত্র আবু সাঈদের ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন
স্থানে মিছিল ও সভা অব্যাহত রয়েছে। সাঈদকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সিলেটের
স্কুলশিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা আতঙ্কিত। গতকাল রায়নগর এলাকাবাসী বিক্ষোভ
মিছিল করেছেন। সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্য কর্তৃক স্কুলছাত্র সাঈদকে
নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির
নেতারা।
এ দিকে ঘাতকেরা আবু সাঈদকেই শুধু হত্যা নয়, তার মামাতো দুই ভাইকেও অপহরণের হুমকি দিয়েছিল। সাঈদকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ দিতে গড়িমসি করায় তারা তার মামাতো ভাই সৌরভ ও আবু মুসাকেও অপহরণ করা হবে বলে এসএমএস পাঠিয়ে হুমকি দেয়। এমন তথ্যই জানিয়েছেন আবু সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন। তিনি জানান, গত বুধবার সাঈদ অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। শুক্রবার অপহরণকারীদের একজন ফোনে জানায়, তার মা অসুস্থ, টাকার প্রয়োজন। দুই লাখ টাকা পেলেই তারা সাঈদকে ছেড়ে দেবে। টাকা নিয়ে তারা পর্যায়ক্রমে হজরত শাহজালাল রহ: মাজার, আম্বরখানা চায়না মার্কেট, বাদাঘাট এবং সর্বশেষ ওসমানী বিমানবন্দরসংলগ্ন বাইশটিলায় যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা ফোনে জানায়, পুলিশকে জানালে তারা সাঈদকে খুন করে ফেলবে। তারা এও জানায়, টাকা ওই সব এলাকার কোনো স্থানে রেখে আসার জন্য। পরে তারা টাকাগুলো সংগ্রহ করবে। কিন্তু তারা সরাসরি মুক্তিপণের টাকা নিতে আসেনি। পর দিন শনিবার সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে এসএসএস পাঠিয়ে জানায়, মুক্তিপণের টাকা না পেলে তারা তার ছেলে সৌরভ ও ভাতিজা আবু মুসাকেও অপহরণ করবে। বিষয়টি সাথে সাথে পুলিশে জানানো হয়।
এলাকাবাসীর বিােভ : সাঈদের হত্যাকারীদের শাস্তি দাবিতে গতকাল সন্ধ্যায় বিােভ করেছেন এলাকাবাসী। রায়নগর এলাকাবাসী এ বিােভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রায়নগর এলাকা থেকে বের হয়ে দাদাপীর র: মোকামসহ শিবগঞ্জ রাস্তা প্রদণি করে।
মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ (৯)। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর কুমারপাড়া ঝরনারপাড় এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর ছাড়াও আটক করা হয় জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও র্যাব-পুলিশের কথিত সোর্স গেদা মিয়াকে। রোববার এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর। সোমবার স্বীকারোক্তি দেয় রাকিব। আর গেদাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
রেস্টুরেন্টে বসে পরিকল্পনা হয় সাঈদ অপহরণের
‘নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে গত ১০ মার্চ স্কুলছাত্র আবু সাঈদ অপহরণের পরিকল্পনা হয়। ওই বৈঠকে গ্রেফতারকৃত তিনজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তি। সাঈদের দুই মামা প্রবাসী ও বিত্তবান হওয়ায় তারা তাকে অপহরণের টার্গেট নেয়। পরিকল্পনামাফিক ১১ মার্চ সাঈদকে অপহরণ করা হয়।’
সিলেট মহানগর হাকিম-১ এর বিচারক শাহেদুল করিমের আদালতে সোমবার এ স্বীকারোক্তি দেয় আটক মহানগর ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব। আদালতে রেকর্ড করা জবানবন্দীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের একাধিক সূত্র। সোমবার বেলা ২টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিচারকের খাস কামরায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দীতে রাকিব ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এর আগের দিন পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর (কনস্টেবল নম্বর-৯৩৯) একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ জানান, এবাদুর এবং রাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছে না গেদা। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ হত্যার পরিকল্পনায় মোট পাঁচজন অংশ নেয়। এর মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি একজনের পরিচয় জানা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনার একজন সাীর সন্ধান মিলেছে। ওই সাী পেশায় সিএনজিচালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, সাঈদের তিন মামার মধ্যে দুইজন প্রবাসী। তারা হলেন শামসুজ্জামান কবির ও বোরহান উদ্দিন। এ ছাড়া অপর এক মামা দেশে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, অসচ্ছল হওয়ায় মামারাই সাঈদের পরিবারের দেখভাল করতেন।
জড়িত পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি
সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্য কর্তৃক স্কুলছাত্র সাঈদকে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতারা। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপি নেতা বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য চাঁদার জন্য স্কুলছাত্রকে হত্যার ঘটনায় গোটা সিলেটবাসী বাকরুদ্ধ। সরকারদলীয় কয়েকজন সদস্য পুলিশের সহায়তায় সাঈদ হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। কোনো বিবেকবান নাগরিক এ ঘটনা মেনে নিতে পারেন না। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নেতার এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ টাকার জন্য নিরীহ মানুষকে খুন করতে দ্বিধা করে না। এসব সন্ত্রাসীর হাতে ভবিষ্যতে আর কোনো নিরীহ ছাত্রকে যাতে সাঈদের মতো পরিণতি ভোগ করতে না হয় সে জন্য এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতি প্রদানকারীরা সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহমদ চৌধুরী।
এ দিকে ঘাতকেরা আবু সাঈদকেই শুধু হত্যা নয়, তার মামাতো দুই ভাইকেও অপহরণের হুমকি দিয়েছিল। সাঈদকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ দিতে গড়িমসি করায় তারা তার মামাতো ভাই সৌরভ ও আবু মুসাকেও অপহরণ করা হবে বলে এসএমএস পাঠিয়ে হুমকি দেয়। এমন তথ্যই জানিয়েছেন আবু সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন। তিনি জানান, গত বুধবার সাঈদ অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। শুক্রবার অপহরণকারীদের একজন ফোনে জানায়, তার মা অসুস্থ, টাকার প্রয়োজন। দুই লাখ টাকা পেলেই তারা সাঈদকে ছেড়ে দেবে। টাকা নিয়ে তারা পর্যায়ক্রমে হজরত শাহজালাল রহ: মাজার, আম্বরখানা চায়না মার্কেট, বাদাঘাট এবং সর্বশেষ ওসমানী বিমানবন্দরসংলগ্ন বাইশটিলায় যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা ফোনে জানায়, পুলিশকে জানালে তারা সাঈদকে খুন করে ফেলবে। তারা এও জানায়, টাকা ওই সব এলাকার কোনো স্থানে রেখে আসার জন্য। পরে তারা টাকাগুলো সংগ্রহ করবে। কিন্তু তারা সরাসরি মুক্তিপণের টাকা নিতে আসেনি। পর দিন শনিবার সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে এসএসএস পাঠিয়ে জানায়, মুক্তিপণের টাকা না পেলে তারা তার ছেলে সৌরভ ও ভাতিজা আবু মুসাকেও অপহরণ করবে। বিষয়টি সাথে সাথে পুলিশে জানানো হয়।
এলাকাবাসীর বিােভ : সাঈদের হত্যাকারীদের শাস্তি দাবিতে গতকাল সন্ধ্যায় বিােভ করেছেন এলাকাবাসী। রায়নগর এলাকাবাসী এ বিােভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রায়নগর এলাকা থেকে বের হয়ে দাদাপীর র: মোকামসহ শিবগঞ্জ রাস্তা প্রদণি করে।
মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ (৯)। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর কুমারপাড়া ঝরনারপাড় এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর ছাড়াও আটক করা হয় জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও র্যাব-পুলিশের কথিত সোর্স গেদা মিয়াকে। রোববার এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর। সোমবার স্বীকারোক্তি দেয় রাকিব। আর গেদাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
রেস্টুরেন্টে বসে পরিকল্পনা হয় সাঈদ অপহরণের
‘নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে গত ১০ মার্চ স্কুলছাত্র আবু সাঈদ অপহরণের পরিকল্পনা হয়। ওই বৈঠকে গ্রেফতারকৃত তিনজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তি। সাঈদের দুই মামা প্রবাসী ও বিত্তবান হওয়ায় তারা তাকে অপহরণের টার্গেট নেয়। পরিকল্পনামাফিক ১১ মার্চ সাঈদকে অপহরণ করা হয়।’
সিলেট মহানগর হাকিম-১ এর বিচারক শাহেদুল করিমের আদালতে সোমবার এ স্বীকারোক্তি দেয় আটক মহানগর ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব। আদালতে রেকর্ড করা জবানবন্দীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের একাধিক সূত্র। সোমবার বেলা ২টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিচারকের খাস কামরায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দীতে রাকিব ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এর আগের দিন পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর (কনস্টেবল নম্বর-৯৩৯) একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ জানান, এবাদুর এবং রাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছে না গেদা। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ হত্যার পরিকল্পনায় মোট পাঁচজন অংশ নেয়। এর মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি একজনের পরিচয় জানা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনার একজন সাীর সন্ধান মিলেছে। ওই সাী পেশায় সিএনজিচালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, সাঈদের তিন মামার মধ্যে দুইজন প্রবাসী। তারা হলেন শামসুজ্জামান কবির ও বোরহান উদ্দিন। এ ছাড়া অপর এক মামা দেশে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, অসচ্ছল হওয়ায় মামারাই সাঈদের পরিবারের দেখভাল করতেন।
জড়িত পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি
সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্য কর্তৃক স্কুলছাত্র সাঈদকে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতারা। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপি নেতা বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য চাঁদার জন্য স্কুলছাত্রকে হত্যার ঘটনায় গোটা সিলেটবাসী বাকরুদ্ধ। সরকারদলীয় কয়েকজন সদস্য পুলিশের সহায়তায় সাঈদ হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। কোনো বিবেকবান নাগরিক এ ঘটনা মেনে নিতে পারেন না। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নেতার এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ টাকার জন্য নিরীহ মানুষকে খুন করতে দ্বিধা করে না। এসব সন্ত্রাসীর হাতে ভবিষ্যতে আর কোনো নিরীহ ছাত্রকে যাতে সাঈদের মতো পরিণতি ভোগ করতে না হয় সে জন্য এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতি প্রদানকারীরা সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহমদ চৌধুরী।
No comments