প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী- খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ
নিখোঁজ
স্বামীকে ফেরত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বিএনপি নেতা সালাহ
উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদনের
জন্য একটি মর্মস্পর্শী চিঠি তিনি ও তার সন্তানরা লিখছেন। আজ এটি লেখা শেষ
হলে কাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। হাসিনা আহমেদ ও তার
সন্তানরা যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আবেদন তারা নিজ হাতেই দিতে চান বলে
যুগান্তরকে জানান হাসিনা আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার কষ্ট বুঝবেন।
স্বজন হারানোর কষ্ট কী তা তিনি জানেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশা নিয়ে
যাব, তিনি আমার ও আমার সন্তানদের কথা ভেবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ আগেও আত্মগোপনে ছিলেন, এখনও আত্মগোপনেই রয়েছেন
বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ৮ দিন হয়ে গেলেও এখনও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসিনা আহমেদের দাবি, ওই রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি রোডের ৪৯/বি নম্বর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে স্বামীর খোঁজ নেই। এদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ-অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যুগান্তরকে বলেন, নিখোঁজ সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এদিকে স্বজনকে এতদিনেও ফেরত না পেয়ে সালাহ উদ্দিনের পরিবার উৎকণ্ঠায় রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমেদের গুলশান-২ নম্বরের ৭২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) একটি প্রতিনিধি দল যায়। তাদেরও হাসিনা আহমেদ বলেন, আমার স্বামী কোথায় আছে, কেমন আছে তার কিছুই জানি না। স্বামীকে আমি ফেরত চাই। আমার বাচ্চারা তার বাবাকে ফেরত চায়। আর কত দিন তিনি ফিরবেন না- জানতে চেয়ে হাসিনা আহমেদ বলেন, উনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, তাহলে জনসম্মুখে বা আদালতে হাজির করা হোক। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। হাসিনা আহমেদ বলেন, স্বামীকে ফেরত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব। তার হস্তক্ষেপ কামনা করব।
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেন, আমরা অস্বস্তিকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। স্বামীর খোঁজে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, আমার ঘরে কোনো রান্না-বান্না হয় না। পাশের বাসার ভাবীরা রান্না করে খাবার পাঠান। বাচ্চারা কীভাবে আছে, কী খায় কিছুই বলতে পারি না।
সালাহ উদ্দিনকে ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার স্বামী যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে আদালতে হাজির করে তার বিচার করুন। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে ফিরে পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি না। এই আট দিনের মধ্যে গত সোমবার সিটি এসবির একজন সাব ইন্সপেক্টর আমার সঙ্গে দেখা করেছেন মাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দারের নেতৃত্বে ইউট্যাবের ওই প্রতিনিধি দল সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানায়।
অধ্যাপক ইউসূফ হায়দার বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ সফল ব্যক্তি ছিলেন। তার রাজনৈতিক সফলতা অনেক। সমাজ থেকে এভাবে একজন মানুষকে উঠিয়ে নেয়া হবে এটা আমাদের কাম্য নয়। এ ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত।
একটি সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়ার মতো নয়। তিনিও সরকারের কাছে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে দিতে আহ্বান জানান। প্রতিনিধি দলটির সদস্য হিসেবে ছিলেন, ইউট্যাব প্রেসিডেন্ট ড. সুকমল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপদ ড. মোরশেদ হাসান খান ও ইশরাফিল রতন।
এদিকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের জন্য শুক্রবার দেশের মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া করার জন্য ২০ দলীয় জোট অনুরোধ জানিয়েছে।
বাবাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরতের আকুতি জানায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা। স্কলাস্টিকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী রাইদার আবেদন, আব্বুকে সুস্থ অবস্থায় যেন ফেরত দেয়া হয়। এটাই আমার চাওয়া।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করেন। ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা দেশেই থাকেন। স্বামীর সন্ধানে সুশীল সমাজসহ দেশবাসীকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান হাসিনা।
এর আগে ২০১২ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। কিন্তু ইলিয়াস রহস্যের কূল-কিনারা হয়নি তিন বছরেও।
স্বামীর খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেন হাসিনা আহমেদ। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেনি। তার কোনো খোঁজও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল হাইকোর্টে আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আহূত অবরোধ ও হরতালকালীন রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে সালাহ উদ্দিনের নামেই গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে হরতালের বার্তা দেয়া হচ্ছিল।
সালাহ উদ্দিন এখনও আত্মগোপনে -স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : সালাহ উদ্দিন আহমেদ আগেও আত্মগোপনে ছিলেন, এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের আসামি নূর হোসেনসহ যেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানরা। মঙ্গলবার রাতে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করেন তারা। এ সময় সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ, ছোট ছেলে ইউসুফ আহমেদ, মেয়ে ফারিবা আহমেদ ও ভাবী শামীম আরা ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।
১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ৮ দিন হয়ে গেলেও এখনও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসিনা আহমেদের দাবি, ওই রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি রোডের ৪৯/বি নম্বর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে স্বামীর খোঁজ নেই। এদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ-অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যুগান্তরকে বলেন, নিখোঁজ সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এদিকে স্বজনকে এতদিনেও ফেরত না পেয়ে সালাহ উদ্দিনের পরিবার উৎকণ্ঠায় রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমেদের গুলশান-২ নম্বরের ৭২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) একটি প্রতিনিধি দল যায়। তাদেরও হাসিনা আহমেদ বলেন, আমার স্বামী কোথায় আছে, কেমন আছে তার কিছুই জানি না। স্বামীকে আমি ফেরত চাই। আমার বাচ্চারা তার বাবাকে ফেরত চায়। আর কত দিন তিনি ফিরবেন না- জানতে চেয়ে হাসিনা আহমেদ বলেন, উনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, তাহলে জনসম্মুখে বা আদালতে হাজির করা হোক। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। হাসিনা আহমেদ বলেন, স্বামীকে ফেরত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব। তার হস্তক্ষেপ কামনা করব।
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেন, আমরা অস্বস্তিকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। স্বামীর খোঁজে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, আমার ঘরে কোনো রান্না-বান্না হয় না। পাশের বাসার ভাবীরা রান্না করে খাবার পাঠান। বাচ্চারা কীভাবে আছে, কী খায় কিছুই বলতে পারি না।
সালাহ উদ্দিনকে ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার স্বামী যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে আদালতে হাজির করে তার বিচার করুন। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে ফিরে পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি না। এই আট দিনের মধ্যে গত সোমবার সিটি এসবির একজন সাব ইন্সপেক্টর আমার সঙ্গে দেখা করেছেন মাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দারের নেতৃত্বে ইউট্যাবের ওই প্রতিনিধি দল সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানায়।
অধ্যাপক ইউসূফ হায়দার বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ সফল ব্যক্তি ছিলেন। তার রাজনৈতিক সফলতা অনেক। সমাজ থেকে এভাবে একজন মানুষকে উঠিয়ে নেয়া হবে এটা আমাদের কাম্য নয়। এ ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত।
একটি সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়ার মতো নয়। তিনিও সরকারের কাছে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে দিতে আহ্বান জানান। প্রতিনিধি দলটির সদস্য হিসেবে ছিলেন, ইউট্যাব প্রেসিডেন্ট ড. সুকমল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপদ ড. মোরশেদ হাসান খান ও ইশরাফিল রতন।
এদিকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের জন্য শুক্রবার দেশের মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া করার জন্য ২০ দলীয় জোট অনুরোধ জানিয়েছে।
বাবাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরতের আকুতি জানায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা। স্কলাস্টিকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী রাইদার আবেদন, আব্বুকে সুস্থ অবস্থায় যেন ফেরত দেয়া হয়। এটাই আমার চাওয়া।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করেন। ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা দেশেই থাকেন। স্বামীর সন্ধানে সুশীল সমাজসহ দেশবাসীকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান হাসিনা।
এর আগে ২০১২ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। কিন্তু ইলিয়াস রহস্যের কূল-কিনারা হয়নি তিন বছরেও।
স্বামীর খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেন হাসিনা আহমেদ। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেনি। তার কোনো খোঁজও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল হাইকোর্টে আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আহূত অবরোধ ও হরতালকালীন রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে সালাহ উদ্দিনের নামেই গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে হরতালের বার্তা দেয়া হচ্ছিল।
সালাহ উদ্দিন এখনও আত্মগোপনে -স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : সালাহ উদ্দিন আহমেদ আগেও আত্মগোপনে ছিলেন, এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের আসামি নূর হোসেনসহ যেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানরা। মঙ্গলবার রাতে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করেন তারা। এ সময় সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ, ছোট ছেলে ইউসুফ আহমেদ, মেয়ে ফারিবা আহমেদ ও ভাবী শামীম আরা ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।
No comments