আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকেই ইঙ্গিত
বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ গতকাল মঙ্গলবারও
সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাঁকে নিয়ে গেছে। এদিকে যে বাসা
থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই এলাকার নিরাপত্তাকর্মী এবং একাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীও একই রকম মন্তব্য করেছেন।
হাসিনা আহমদ গতকাল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই দায়িত্ব তাঁকে আদালতের সম্মুখে, আমাদের সবার সম্মুখে হাজির করা। আমরা এক অজানা আশঙ্কায় আছি যে ওনার কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়!’
সালাহ উদ্দিন আহমদকে খুঁজতে পুলিশের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। র্যাবের আইন ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করতে সব ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাই তাঁকে খুঁজছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান গতকাল বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে সালাহ উদ্দিনের জীবনে কী ঘটেছে। উনি সত্যি বেঁচে আছেন কি না।’
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ আগেও লুকিয়েই ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে নেই, আমরা চেষ্টা করছি আসলে কী ঘটেছে তা জানার। আমরা প্রথম থেকেই তাঁকে খুঁজছি।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত সোমবার রাতে ওই বাসায় (যে বাসা থেকে নিখোঁজ হন) গিয়েছিলেন। তাঁরা শুধু ঘটনাস্থলটি দেখেই চলে আসেন।
সোমবার রাতে ডিবির কর্মকর্তারা ওই স্থান থেকে চলে আসার পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়। একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে জানান, সালাহ উদ্দিনকে অপহরণের রাত অর্থাৎ ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ বি নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাঁকে ধরে নেওয়ার আগে একটি বাহিনীর পিকআপ সেখানে গিয়েছিল। ওই ভ্যানে আসা ব্যক্তিরা ১৩বি নম্বর সড়কটির অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন সেখানে কর্তব্যরত ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে।
কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের একজন সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আনুমানিক রাত নয়টার দিকে তিনি উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের কাছেই কর্তব্য পালন করছিলেন। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যান এসে সেখানে থামে। তিনি বলেন, ‘বাহিনীর গাড়ি দেখে আমি আগায়া যাই। স্যারেরা আমাকবলল, ১৩বি নম্বর রোড কোন দিকে। আমি সালাম দিলাম। দেখায়া দিয়া বললাম, স্যার মাঠের পাশ দিয়া যাইতে হবে। এরপর ওরা চলে গেল।’
সালাহ উদ্দিন আহমদের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত অন্য নিরাপত্তা সদস্যরাও ওই সদস্যের কাছ থেকে এই গল্প শুনেছেন। তাঁদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি আসে ১৩বি নম্বর রোডের লোকেশন জানতে চায়। নিরাপত্তাকর্মী সেটা দেখায় দিছে।’
নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, রাত নয়টার পরেই ১৩বি নম্বর সড়কের আশপাশের কয়েকটি ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় সাইকেল, বাঁশি আর টর্চলাইট নিয়ে নেমে পড়েন।
সোমবার রাতে ১৩বি নম্বর সড়কে ঢোকার মুখেই স্থানীয় কিছু তরুণ-তরুণীকে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়। আনসার সদস্যরা জানান, সেদিনও (১০ মার্চ) এই তরুণ-তরুণীরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। তাঁদের একজন বলেন, নয়টার দিকে ১৩বি রোডের মাথায় একটা কালো পিকআপ এসে থামল। এরপর আরও মাইক্রোবাস ওই সড়কে ঢোকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ ভ্যান-মাইক্রোবাস দেখে ছেলেরা ঘটনা কী জানার জন্য গলির মুখে উৎসুক হয়ে জড়ো হন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, ‘ভাইয়া আপনারা বাসায় যান। ঝামেলা হতে পারে।’ এরপর খেলা ভেঙে যায়। ছেলেমেয়েরা যে যার মতো বাসায় চলে যান। এর মধ্যে একজন নিজের বাসার দোতলার বারান্দা থেকে ৪৯/এ নম্বর বাসার সামনে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। কিছুক্ষণ পরে গাড়িগুলো চলে যায়। তবে বিশেষ কোনো হইচই এর শব্দ ছিল না। পরের দিনও পিকআপ ভ্যানটি ওই এলাকায় টহল দিয়েছে এবং ১৩বি নম্বর সড়কের মাথায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানায়, এ রকম কোনো তথ্য তারা জানে না।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর অভিযোগ, ১০ মার্চ রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যান। সেখানে এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ১১ মার্চ রাতে তিনি এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ করেন। তবে আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ দাবি করেছে, ওই বাড়িতে যে সালাহ উদ্দিন ছিলেন, সেটাই নিশ্চিত নয়।
এদিকে নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি হয়েছে।
বিএনপিপন্থী শিক্ষকনেতা অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সালাহ উদ্দিনের গুলশানের বাসায় গিয়ে হাসিনা আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হাসিনা আহমদ গতকাল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই দায়িত্ব তাঁকে আদালতের সম্মুখে, আমাদের সবার সম্মুখে হাজির করা। আমরা এক অজানা আশঙ্কায় আছি যে ওনার কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়!’
সালাহ উদ্দিন আহমদকে খুঁজতে পুলিশের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। র্যাবের আইন ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করতে সব ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাই তাঁকে খুঁজছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান গতকাল বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে সালাহ উদ্দিনের জীবনে কী ঘটেছে। উনি সত্যি বেঁচে আছেন কি না।’
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ আগেও লুকিয়েই ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে নেই, আমরা চেষ্টা করছি আসলে কী ঘটেছে তা জানার। আমরা প্রথম থেকেই তাঁকে খুঁজছি।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত সোমবার রাতে ওই বাসায় (যে বাসা থেকে নিখোঁজ হন) গিয়েছিলেন। তাঁরা শুধু ঘটনাস্থলটি দেখেই চলে আসেন।
সোমবার রাতে ডিবির কর্মকর্তারা ওই স্থান থেকে চলে আসার পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়। একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে জানান, সালাহ উদ্দিনকে অপহরণের রাত অর্থাৎ ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ বি নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাঁকে ধরে নেওয়ার আগে একটি বাহিনীর পিকআপ সেখানে গিয়েছিল। ওই ভ্যানে আসা ব্যক্তিরা ১৩বি নম্বর সড়কটির অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন সেখানে কর্তব্যরত ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে।
কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের একজন সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আনুমানিক রাত নয়টার দিকে তিনি উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের কাছেই কর্তব্য পালন করছিলেন। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যান এসে সেখানে থামে। তিনি বলেন, ‘বাহিনীর গাড়ি দেখে আমি আগায়া যাই। স্যারেরা আমাকবলল, ১৩বি নম্বর রোড কোন দিকে। আমি সালাম দিলাম। দেখায়া দিয়া বললাম, স্যার মাঠের পাশ দিয়া যাইতে হবে। এরপর ওরা চলে গেল।’
সালাহ উদ্দিন আহমদের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত অন্য নিরাপত্তা সদস্যরাও ওই সদস্যের কাছ থেকে এই গল্প শুনেছেন। তাঁদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি আসে ১৩বি নম্বর রোডের লোকেশন জানতে চায়। নিরাপত্তাকর্মী সেটা দেখায় দিছে।’
নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, রাত নয়টার পরেই ১৩বি নম্বর সড়কের আশপাশের কয়েকটি ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় সাইকেল, বাঁশি আর টর্চলাইট নিয়ে নেমে পড়েন।
সোমবার রাতে ১৩বি নম্বর সড়কে ঢোকার মুখেই স্থানীয় কিছু তরুণ-তরুণীকে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়। আনসার সদস্যরা জানান, সেদিনও (১০ মার্চ) এই তরুণ-তরুণীরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। তাঁদের একজন বলেন, নয়টার দিকে ১৩বি রোডের মাথায় একটা কালো পিকআপ এসে থামল। এরপর আরও মাইক্রোবাস ওই সড়কে ঢোকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ ভ্যান-মাইক্রোবাস দেখে ছেলেরা ঘটনা কী জানার জন্য গলির মুখে উৎসুক হয়ে জড়ো হন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, ‘ভাইয়া আপনারা বাসায় যান। ঝামেলা হতে পারে।’ এরপর খেলা ভেঙে যায়। ছেলেমেয়েরা যে যার মতো বাসায় চলে যান। এর মধ্যে একজন নিজের বাসার দোতলার বারান্দা থেকে ৪৯/এ নম্বর বাসার সামনে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। কিছুক্ষণ পরে গাড়িগুলো চলে যায়। তবে বিশেষ কোনো হইচই এর শব্দ ছিল না। পরের দিনও পিকআপ ভ্যানটি ওই এলাকায় টহল দিয়েছে এবং ১৩বি নম্বর সড়কের মাথায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানায়, এ রকম কোনো তথ্য তারা জানে না।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর অভিযোগ, ১০ মার্চ রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যান। সেখানে এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ১১ মার্চ রাতে তিনি এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ করেন। তবে আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ দাবি করেছে, ওই বাড়িতে যে সালাহ উদ্দিন ছিলেন, সেটাই নিশ্চিত নয়।
এদিকে নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি হয়েছে।
বিএনপিপন্থী শিক্ষকনেতা অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সালাহ উদ্দিনের গুলশানের বাসায় গিয়ে হাসিনা আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
No comments