নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বন্দরের কাছে রণগোপালদী নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান গতকাল শুরু হয়। দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
পটুয়াখালীর
গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বন্দরের কাছে রণগোপালদী নদীর তীরের জমি অবৈধভাবে
দখল করে গড়ে তোলা ১১০টি স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ গতকাল মঙ্গলবার শুরু
হয়েছে। জেলা প্রশাসন এই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে।
সকাল থেকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব আলম, পটুয়াখালীর নির্বাহী হাকিম মঈন উদ্দিন খন্দকার ও গোকুল চন্দ্র কবিরাজের নেতৃত্বে উচ্ছেদ শুরু হয়। এ সময় গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির অনুসারীরা ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে উলানিয়া বন্দরের পূর্ব পাশে রণগোপালদী নদীর পশ্চিম তীরের সাড়ে চার একরের বেশি জমি দখল করে বালু ভরাট করেন। পরে ভরাট জমিতে আধা শতাংশ করে প্লট বানিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয়। উলানিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ওই সময় প্রতিটি আধা শতাংশের প্লট দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এভাবে ১২৩টি প্লট বিক্রি করা হয়।
উলানিয়া বন্দরের মন্টু সাহা বলেন, তিনি ওই সময় রনির অনুসারীদের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আধা শতাংশের একটি প্লট কিনে সেখানে ঘর তুলে ধান-চালের ব্যবসা করছেন। যাঁরা প্লট বিক্রি করেছেন, তাঁরা তাঁকে ওই জমির একসনা বন্দোবস্ত (ডিসিআর) পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি। চলতি উচ্ছেদ-প্রক্রিয়ায় তাঁর ঘরটি ভেঙে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
ইউএনও মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস ধরে রণগোপালদী নদীর তীরের এই জমিসহ উলানিয়া বন্দরের বিভিন্ন দাগের সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছিল।
প্রথম পর্যায়ে ১০৯টি উচ্ছেদ মামলা করা হয়। স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। দখলকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বেশ কিছু আপত্তি ছিল, সেগুলোর শুনানি নিয়ে তা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এরপর এক মাস আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ করা হয়েছে। ১০৯টি উচ্ছেদ মামলার বিপরীতে ১১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ গতকাল শুরু হয়েছে।
সকাল থেকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব আলম, পটুয়াখালীর নির্বাহী হাকিম মঈন উদ্দিন খন্দকার ও গোকুল চন্দ্র কবিরাজের নেতৃত্বে উচ্ছেদ শুরু হয়। এ সময় গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির অনুসারীরা ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে উলানিয়া বন্দরের পূর্ব পাশে রণগোপালদী নদীর পশ্চিম তীরের সাড়ে চার একরের বেশি জমি দখল করে বালু ভরাট করেন। পরে ভরাট জমিতে আধা শতাংশ করে প্লট বানিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয়। উলানিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ওই সময় প্রতিটি আধা শতাংশের প্লট দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এভাবে ১২৩টি প্লট বিক্রি করা হয়।
উলানিয়া বন্দরের মন্টু সাহা বলেন, তিনি ওই সময় রনির অনুসারীদের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আধা শতাংশের একটি প্লট কিনে সেখানে ঘর তুলে ধান-চালের ব্যবসা করছেন। যাঁরা প্লট বিক্রি করেছেন, তাঁরা তাঁকে ওই জমির একসনা বন্দোবস্ত (ডিসিআর) পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি। চলতি উচ্ছেদ-প্রক্রিয়ায় তাঁর ঘরটি ভেঙে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
ইউএনও মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস ধরে রণগোপালদী নদীর তীরের এই জমিসহ উলানিয়া বন্দরের বিভিন্ন দাগের সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছিল।
প্রথম পর্যায়ে ১০৯টি উচ্ছেদ মামলা করা হয়। স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। দখলকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বেশ কিছু আপত্তি ছিল, সেগুলোর শুনানি নিয়ে তা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এরপর এক মাস আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ করা হয়েছে। ১০৯টি উচ্ছেদ মামলার বিপরীতে ১১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ গতকাল শুরু হয়েছে।
No comments